Wednesday, April 30, 2025

‘এবার কর্মফল ভোগ করার সময় শুরু’, অভিষেক-শার্লি’র বিয়ে হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট অভিষেকের প্রাক্তন প্রেমিকার



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল : ২৯ শে এপ্রিল কিছু কাছের মানুষের উপস্থিতিতে আইনি বিয়ে সারেন অভিনেতা অভিষেক বসু এবং অভিনেত্রী শার্লি মোদক। দুজনেই বর্তমানে ফুলকি ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। তাদের বিয়ের খবর আগে থেকে কেউ টের পায়নি। বিয়ের একদিন আগে আইবুড়ো ভাতের ছবি দেখে সকলে চমকে যান।


তাদের বিয়ের ভিডিও সামনে আসতেই নেটিজেনরা কটাক্ষ শুরু করেন। কারণ অভিনেতা অভিষেক বসু বহু বছর ধরে মিঠাই খ্যাত শ্রীতমা ওরফে অভিনেত্রী দিয়া মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। গঙ্গারামের ধারাবাহিক চলাকালীন দিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে অভিষেক আর তারপরেই গঙ্গারাম ধারাবাহিকের সহ-অভিনেত্রী সুরভী মল্লিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।



শোনা গিয়েছিল, ২০২৪ সালে সুরভী আর অভিষেক বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন। তবে তার আগেই ভেঙে যায় তাদের প্রেমের সম্পর্ক। এরপর ফুলকি’র অভিনেত্রী শার্লি মোদকের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।


এদিকে প্রাক্তন প্রেমিকের বিয়ের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিত পূর্ণ পোস্ট শেয়ার করলেন অভিনেত্রী সুরভী মল্লিক। এই মুহূর্তে যাকে আপনারা পরিণীতা ধারাবাহিকে রায়ানের বিপরীতে দেখতে পারছেন।


সুরভী তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। পোস্টে লেখা, ‘ঈশ্বর জানতেন, আমি জানতাম, এবার সবাই জানবে। এবার কর্মফল ভোগ করার সময় শুরু হল।’ সুরভীর এই পোস্টের পর নেটিজেনরা বলছেন প্রাক্তন প্রেমিকের উদ্দেশ্যেই তার এই পোস্ট। কারণ শার্লির সাথে অভিষেক প্রেমের সম্পর্ক গোপন রেখেছিলেন এতদিন। আর সেটাই ইঙ্গিত করে পোস্ট করেছেন সুরভী, এমনটাই মন্তব্য নেটিজেনদের।

পরিবারের মঙ্গলের জন্য রোজ অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য একটি টোটকা মেনে চলেন, কি সেই টোটকা? প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল : আজ অক্ষয়তৃতীয়া। আজ সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান এমন জায়গায় থাকে, যা পৃথিবীর উপর সুপ্রভাব। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে আজকের দিনটি অত্যন্ত শুভ। তাই কিছু ঘরোয়া টোটকা পরিবারের শান্তি বজায় রাখতে পারে। আজকের দিনে অনেকেই শুভ হিসাবে সোনা কেনেন। জ্যোতিষশাস্ত্রেও ভীষণভাবে বিশ্বাস রাখেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। অক্ষয়তৃতীয়াতেও বেশ কিছু বিষয় মেনে চলেছেন অভিনেত্রী। আনন্দ বাজার অনলাইনের কাছে সেই টিপস শেয়ার করলেন। অপরাজিতা এই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘এই দিন পুজো করলে, মানুষের সুখশান্তি অক্ষয় থাকে। পরিবারে সমৃদ্ধি আসে। ধনতেরসের দিন কুবেরের পুজো হয়। অক্ষয়তৃতীয়ার দিনেও কুবেরের পুজো হয়। সারাবছর লক্ষ্মীর সঙ্গে কুবেরের পুজো হয় না। কিন্তু এই বিশেষ দিন দু’টিতে হয়। তার ফলে সমৃদ্ধির বিকাশ হয়।’ অভিনেত্রী আরও বলেন, অক্ষয়তৃতীয়ায় কালো রঙের কোনও জিনিস কিনতে নেই। কালো রঙের কোনও জিনিস দান করতে নেই। কালো পোশাক, কালো বাসন— কোনও জিনিসই ঘরেও আনতে নেই। বিশেষ করে, কালো রঙের প্লাস্টিক একেবারেই আনতে নেই এই দিন। ছোটবেলা থেকে এটা মেনে এসেছি। এছাড়াও পরিবারের মঙ্গলের জন্য অভিনেত্রী রোজ একটি টোটকা মেনে চলেন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ‘রোজ বাড়িতে একটু কর্পূর জ্বালালে, পোকামাকড় দূর হয় বটেই। আর কর্পূরের সঙ্গে একটু লবঙ্গ জ্বালালে, নেতিবাচক প্রভাব দূর হয়। রোজ সম্ভব না হলে, মঙ্গলবার ও শনিবার এটা করা যেতে পারে।’

 পরিবারের মঙ্গলের জন্য রোজ অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য একটি টোটকা মেনে চলেন, কি সেই টোটকা?





প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল : আজ অক্ষয়তৃতীয়া। আজ সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান এমন জায়গায় থাকে, যা পৃথিবীর উপর সুপ্রভাব। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে আজকের দিনটি অত্যন্ত শুভ। তাই কিছু ঘরোয়া টোটকা পরিবারের শান্তি বজায় রাখতে পারে।


আজকের দিনে অনেকেই শুভ হিসাবে সোনা কেনেন। জ্যোতিষশাস্ত্রেও ভীষণভাবে বিশ্বাস রাখেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। অক্ষয়তৃতীয়াতেও বেশ কিছু বিষয় মেনে চলেছেন অভিনেত্রী।



আনন্দ বাজার অনলাইনের কাছে সেই টিপস শেয়ার করলেন। অপরাজিতা এই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘এই দিন পুজো করলে, মানুষের সুখশান্তি অক্ষয় থাকে। পরিবারে সমৃদ্ধি আসে। ধনতেরসের দিন কুবেরের পুজো হয়। অক্ষয়তৃতীয়ার দিনেও কুবেরের পুজো হয়। সারাবছর লক্ষ্মীর সঙ্গে কুবেরের পুজো হয় না। কিন্তু এই বিশেষ দিন দু’টিতে হয়। তার ফলে সমৃদ্ধির বিকাশ হয়।’


অভিনেত্রী আরও বলেন, অক্ষয়তৃতীয়ায় কালো রঙের কোনও জিনিস কিনতে নেই। কালো রঙের কোনও জিনিস দান করতে নেই। কালো পোশাক, কালো বাসন— কোনও জিনিসই ঘরেও আনতে নেই। বিশেষ করে, কালো রঙের প্লাস্টিক একেবারেই আনতে নেই এই দিন। ছোটবেলা থেকে এটা মেনে এসেছি।


এছাড়াও পরিবারের মঙ্গলের জন্য অভিনেত্রী রোজ একটি টোটকা মেনে চলেন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ‘রোজ বাড়িতে একটু কর্পূর জ্বালালে, পোকামাকড় দূর হয় বটেই। আর কর্পূরের সঙ্গে একটু লবঙ্গ জ্বালালে, নেতিবাচক প্রভাব দূর হয়। রোজ সম্ভব না হলে, মঙ্গলবার ও শনিবার এটা করা যেতে পারে।

‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ ধারাবাহিকের পর আবার ছোটপর্দায় ফিরছেন শুভস্মিতা, নায়ক কে জানেন!



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল : হরগৌরী পাইস হোটেল’ ধারাবাহিকের হাত ধরেই সিরিয়ালে পা রেখেছিলেন অভিনেত্রী শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায়। একাধিক ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয় মুখ তিনি। তবে ছোটপর্দায় এই প্রথম কাজ অভিনেত্রীর। ঐশানি চরিত্রের হাত ধরে এখন দর্শকের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছে সে।


তবে একটা সিরিয়াল করেই বাজিমাত করেছেন ঐশানি ওরফে শুভস্মিতা। ওয়েব সিরিজ, সিরিয়ালের পর এবার নতুন যাত্রায় পা রাখতে চলেছেন অভিনেত্রী।


স্টার জলসার হরগৌরী পাইস হোটেল ধারাবাহিকের হাত ধরেই বাংলা সিরিয়ালে পা রেখেছেন অভিনেত্রী শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায়। যিনি ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয় মুখ। হরগৌরী পাইস হোটেল ধারাবাহিক ছিল তার প্রথম ধারাবাহিক।



ঐশানী চরিত্রে অভিনয় করে অল্প সময়ের মধ্যে দর্শকের মন জয় করে। ঐশানী আর দুর্গা দুই চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ সাড়া ফেলেছিলেন। তবে এই মুহূর্তে টেলি পাড়ার জোর গুঞ্জন ফের নাকি স্টার জলসার হাত ধরেই ফিরতে চলেছেন ঐশানী ওরফে শুভস্মিতা। বেঙ্গল টকিজ নতুন ধারাবাহিকে নাকি দেখা যাবে তাকে। যদিও এখনো অফিশিয়ালি কিছু ঘোষণা হয়নি।


গুঞ্জন উঠেছে নতুন ধারাবাহিকে শুভস্মিতার বিপরীতে নাকি নায়ক হিসাবে দেখা যেতে পারে অভিনেতা রেজওয়ান রব্বানি শেখকে। যাকে শেষবারের মতো বধূয়া সিরিয়ালে দেখা যাবে।

জাতিগণনায় রাজি মোদী সরকার! আদমশুমারি নিয়ে বড় ঘোষণা



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৪১:০১ : মোদী মন্ত্রিসভা জাতি গণনার অনুমোদন দিয়েছে। জাতি গণনা মূল আদমশুমারিতেই করা হবে। বুধবার অনুষ্ঠিত সিসিপিএ বৈঠকে মোদী সরকার এই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তথ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, কংগ্রেস সরকার জাতি গণনার বিরোধিতা করেছে। প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেস কেবল একটি জরিপ করেছে। কংগ্রেস এটিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। অনেক রাজ্য জাতি গণনা করেছে, যার ফলে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। জাতি গণনা মূল আদমশুমারিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, "সামাজিক কাঠামোর কথা মাথায় রেখে সংবিধানে স্পষ্ট বিধানের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে ডঃ মনমোহন সিং বলেছিলেন যে জাতি গণনার বিষয়টি মন্ত্রিসভায় বিবেচনা করা উচিত। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য মন্ত্রীদের একটি দল গঠন করা হয়েছিল। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল জাতি গণনার সুপারিশ করেছিল।"


তিনি বলেন, তা সত্ত্বেও, কংগ্রেস সরকার জাতি গণনার পরিবর্তে এসইসিসি নামে পরিচিত একটি জরিপ পরিচালনা করা উপযুক্ত বলে মনে করেছে। এটা ভালোভাবেই বোঝা যায় যে কংগ্রেস এবং তার মিত্ররা জাতি গণনাকে কেবল রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। কিছু রাজ্য জাতি গণনার জন্য জরিপ পরিচালনা করেছে। কিছু রাজ্য এই কাজটি ভালোভাবেই করেছে। একই সাথে, কিছু রাজ্য কেবল রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অস্বচ্ছভাবে এই ধরনের জরিপ পরিচালনা করেছে। এই ধরনের জরিপ সমাজে সন্দেহ তৈরি করে। রাজনীতির দ্বারা আমাদের সামাজিক কাঠামো যাতে নষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য, জরিপের পরিবর্তে জাতি গণনাকে আদমশুমারিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "আজ প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আসন্ন আদমশুমারিতে জাতি গণনা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সরকারের এই পদক্ষেপ দেখায় যে আমরা দেশ ও সমাজের স্বার্থ এবং মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর আগেও, যখন সমাজের দরিদ্র শ্রেণীর জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তখন সমাজে কোনও উত্তেজনা তৈরি হয়নি।"


তিনি বলেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিলচর থেকে শিলং এবং শিলং থেকে শিলচর পর্যন্ত একটি অত্যন্ত বড় প্রকল্প, হাই স্পিড করিডোর হাইওয়ে যা মেঘালয় ও আসামকে সংযুক্ত করে, অনুমোদিত হয়েছে। এর আনুমানিক ব্যয় ২২,৮৬৪ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে ২০২৫-২৬ সালের জন্য আখের ন্যায্য ও লাভজনক মূল্য প্রতি কুইন্টাল ৩৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটিই মানদণ্ড মূল্য। এর নিচে কেনা যাবে না। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে, আখ চাষীরা ১ লক্ষ ১১ হাজার ৭০১ কোটি টাকা পাবেন।

আখ চাষীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি ২০২৫-২৬ (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) এর জন্য ১০.২৫% মূল পুনরুদ্ধার হারের জন্য প্রতি কুইন্টাল ৩৫৫ টাকা হারে আখের ন্যায্য ও লাভজনক মূল্য (FRP) অনুমোদন করেছে।

এতে, ১০.২৫% এর বেশি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রতি ০.১% বৃদ্ধির জন্য প্রতি কুইন্টালে ৩.৪৬ টাকা প্রিমিয়াম প্রদান করা হবে। এছাড়াও, পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রতি ০.১% হ্রাসের জন্য, প্রতি কুইন্টালে FRP ৩.৪৬ টাকা হ্রাস করা হবে।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে অন্নপ্রাশনের দিনেই সামনে এলো কাঞ্চন মল্লিকের মেয়ের ছবি



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল : গত বছরের ২ নভেম্বর কন্যা সন্তানের জন্ম দেন শ্রীময়ী। জন্মের পর থেকে মেয়ের মুখ এখনও প্রকাশ্যে আনেননি তাঁরা। যদিও নীলষষ্ঠীর দিনে আংশিক দেখা মিলেছিল ছোট্ট কৃষভির, তবে মুখ দেখা যায়নি সেদিনও। এবার বুধবার, ইসকন মন্দিরে কৃষভির মুখে প্রসাদ তুলে দেওয়া হয়েছে এবং এদিনই হল অনুরাগীদের অপেক্ষার অবসান। কারণ এদিনই প্রথমবার দেখা মিলল কৃষভির। মঙ্গলবারই সকলের কাছে পৌঁছে যায় নিমন্ত্রণ পত্র। সকলকে এই বিশেষ দিনে আমন্ত্রণ জানান জুটি। আর সেখানেই উল্লেখ রয়েছে ইস্কনের মন্দিরে এই অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান হয়েছে।


 দেখতে দেখতে পাঁচ মাস হয়ে গেল কাঞ্চন-শ্রীময়ীর কন্যা কৃষভির। জন্মের পর থেকে নিজের মেয়েকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আড়ালেই রেখেছেন তারকা দম্পতি। তবে অবশেষে মেয়ের অন্নপ্রাশনের দিন প্রকাশ্যে এলো কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজের মেয়ে কৃষভি মুখ।


বেশ ধুমধাম করেই মেয়ের অন্নপ্রাশন আয়োজন করেছেন কাঞ্চন মল্লিক। বুধবার ইসকনের মন্দিরে মেয়ের অন্নপ্রাশন উদযাপন করেন।


লাল টুকটুকে বেনারসি শাড়িতে সেজেছিল ছোট মিষ্টি কৃষভি। লাল বেনারসি শাড়ি পড়েছেন শ্রীময়ী। মেয়ের অন্নপ্রাশনে সাদা পাঞ্জাবী পরেছিলেন কাঞ্চন। ছবি সামনে আসতেই কৃষভিকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা।


জামিন পেলেন সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস


ঢাকা, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:১০:০৯: জামিন পেলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। বুধবার বাংলাদেশ হাইকোর্ট ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দিয়েছে। গত বছর ২৫ নভেম্বরে বাংলাদেশে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর গ্রেফতারের পর অনেক বিতর্ক তৈরি হয়, যা ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও উত্তেজনা তৈরি করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মতো গুরুতর অভিযোগ আনে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। এই অভিযোগগুলিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও গুরুত্বের সাথে নিয়েছে।


বুধবার শুনানি শেষে বাংলাদেশ হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দেন। তাঁর আইনজীবী প্রলাদ দেব নাথ বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন যে, তিনি আশা করেন হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের পর চিন্ময় দাসকে জেল থেকে মুক্ত করে দেওয়া হবে, যদি না সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আদেশ স্থগিত করে। চিন্ময় দাসের আরেক আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় দাস কোনও বিচার ছাড়াই কারাগারে ছিলেন এবং সেখানে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে।


উল্লেখ্য, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে অনেক বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ঢাকা পুলিশের বিশেষ শাখা তাকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে হিন্দু সমাবেশে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে।


তবে বাংলাদেশ সরকার বলছে যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সরকার বলছে যে, স্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, "এই ধরণের ভিত্তিহীন অভিযোগ কেবল সত্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে না বরং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার সম্পর্কেরও পরিপন্থী।"


গত বছর আগস্টে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপরেই সেখানে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ব্যাপক সহিংসতার মুখোমুখি হয়। হাসিনা সরকার উৎখাতের পর থেকে দেশের ৫০টিরও বেশি জেলায় তাঁর বিরুদ্ধে শত শত হামলার ঘটনা ঘটেছে। চিন্ময় দাস এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী করেছিলেন।

স্বামীর দাড়ি পছন্দ নয়, রাগে দেওরের সাথে পালালেন মহিলা


ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৪০:০০: স্বামীর দাড়ি একেবারেই পছন্দ নয়। দাড়ি কামাতেও নারাজ স্বামী। অগত্যা রাগে ক্লিন শেভড দেওরের সঙ্গে পালালেন মহিলা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মিরাটে। ওই মহিলা তার স্বামীর দাড়ি এতটাই অপছন্দ করতেন যে তিনি তা কামিয়ে ফেলার জন্য বারবার জোরাজুরি করতেন। কিন্তু যখন তার স্বামী তা করতে অস্বীকার করেন তখন তিনি রেগে যান এবং তার ক্লিন-শেভড দেওরের সাথে পালিয়ে যান। এবারে স্বামী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, তার স্ত্রী তার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করছেন।


এই ঘটনাটি ঘটেছে মিরাটের লিসাদি গেট থানা এলাকার উজ্জ্বল গার্ডেন কলোনিতে। এখানকার বাসিন্দা মাওলানা শাকির প্রায় ৭ মাস আগে ইনচাউলির বাসিন্দা আরশি নামে এক যুবতীর সাথে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই আরশি শাকিরের দাড়ি পছন্দ করতেন না। তিনি শাকিরকে বলেন, যদি একসাথে থাকতে হয়, তাহলে তাঁকে তাঁর দাড়ি কামিয়ে ফেলতে হবে। শাকির স্পষ্টভাবে না করে দেন কারণ দাড়ি তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসের একটি অংশ। আর এই বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। শাকির তাঁর স্ত্রীর পরিবারকেও এই কথা বলেছিলেন, কিন্তু কোনও সমাধান পাওয়া যায়নি বরং এই সময়ে শাকির জানতে পারেন যে, স্ত্রী তার দেওরের সাথে আরও বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আর তারপর প্রায় ৩ মাস আগে, অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি, আরশি তার সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে তার দেওরের সাথে পালিয়ে যায়। 


শাকির বিষয়টি নিয়ে থানার দ্বারস্থ হন এবং তাঁর স্ত্রী ও ভাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি আরশির পরিবারের সদস্যদেরও বিষয়টি জানিয়েছিলেন, কিন্তু তারা জানিয়ে দেন তাঁদের মেয়ের সাথে আর কোনও সম্পর্ক নেই।


শাকিরের কথায়, এখন আরশি তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তিনি এই বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং ন্যায়বিচার দাবী করেছেন। মিরাটের এসপি সিটি আয়ুশ বিক্রম সিং বলেছেন যে, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। সমস্ত তথ্য নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথেই পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান! দিনমজুরকে পিটিয়ে খুন, গ্ৰেফতার ২০


ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:০০:০০: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা এবং নিরীহ মানুষদের নৃশংস খুনের পর গোটা দেশে ক্ষোভের পরিবেশ বিরাজ করছে। এই আবহেই ঘটে গেল এক অপ্রীতিকর ঘটনা। পাকিস্তান সমর্থক স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ দিনমজুরকে পিটিয়ে খুন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে 

কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরু জেলায়। রবিবার ম্যাঙ্গালুরুতে ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন "পাকিস্তান সমর্থক স্লোগান" দেওয়ার অভিযোগে একজন দিনমজুরকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে।


সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান সমর্থক স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে খুন হওয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার জেলা পুলিশ জানিয়েছে যে, মৃত ব্যক্তির নাম আশরাফ এবং তিনি কেরালার ওয়ানাড়ের বাসিন্দা। এই মামলায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে, বাকি ৫ জনের খোঁজ এখনও চলছে।


গত রবিবার বিকেল ৫.৩০ মিনিটের দিকে পুলিশ যখন একটি অজ্ঞাত মৃতের খবর পায়, তখন ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। শরীরে বাইরের কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। প্রাথমিকভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ওয়েনলক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কুলশেখরের বাসিন্দা দীপক কুমার এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ছবি এবং ভিডিওর ভিত্তিতে পুলিশ এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। 


প্রাথমিক তদন্তে, অভিযুক্তরা পুলিশকে জানিয়েছে, ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন আশরাফ "পাকিস্তান জিন্দাবাদ" স্লোগান দেয় বলে অভিযোগ, যার ফলে ২৫ জন যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে আশরাফকে পিটিয়ে মারে।


ম্যাঙ্গালুরুর কুডুপুতে গণপিটুনির ঘটনায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। তবে, সিদ্দারামাইয়া আরও বলেছেন যে, যারা পাকিস্তানের সমর্থনে স্লোগান তুলবে তারাও ভুল। এটা দেশদ্রোহিতার কাজ।

সকালে খালি পেটে এলাচের জল পান শরীরের জন্য অমৃতের মতো, উপকারিতা পেতে তৈরি করুন এভাবে


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৩০:০০: ছোট এলাচ খাবারের স্বাদ এবং গন্ধকে দ্বিগুণ করে। শুধু তাই নয়, এটি অনেক উপকারও দেয়। ছোট সবুজ এলাচের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, যা শরীরকে নানাভাবে উপকার করে। আপনি খাবারের পর মাউথ রিফ্রেশার হিসেবে ছোট এলাচ খেতে পারেন। পাশাপাশি নিয়মিত এটি খাওয়াও স্বাস্থ্যকর হতে পারে। প্রতিদিন একটি করে এলাচ খেতে পারেন। শুধু তাই নয়, এলাচ চিবানোর পাশাপাশি এলাচের জল পান করাও বেশ উপকারী। আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান তাহলে এলাচের জল পান করতে পারেন।


এলাচ জল পানের স্বাস্থ্য উপকারিতা-

- ওজন বাড়তে থাকলে এলাচের জল পান করতে পারেন। এটিতে কিছু উপাদান রয়েছে, যা সঞ্চালন উন্নত করে এবং ক্যালোরি পোড়ায়। এলাচের জল পান করলে আপনি পূর্ণতা অনুভব করতে পারেন, যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে সাহায্য করতে পারে।


- এলাচের জল পান করলে ত্বকেরও উপকার হয়। এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে। ব্রেকআউট কমায়। ত্বক পরিষ্কার হয়ে যায়। এই জল শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, যা ত্বকের অ্যালার্জি প্রতিরোধ করতে পারে। ত্বক উজ্জ্বল ও চকচকে হয়।


- হজম প্রক্রিয়া যাঁদের প্রায়ই খারাপ থাকে, যাঁদের পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না, তাঁদেরও এলাচের জল পান করা উচিৎ। এটি হজমের স্বাস্থ্য বাড়ায়। এইভাবে আপনি পেট সংক্রান্ত সমস্যা যেমন জ্বালাপোড়া, গ্যাস, বদহজম, ডিসপেপসিয়া, ফোলাভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি এড়াতে পারেন।


- নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকেরই হয়। অনেক সময় মাড়ি ও দাঁতে গহ্বরের কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়। এর জন্য নিয়মিত এলাচ চিবানো এবং এলাচের জল পান শুরু করতে পারেন। এটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা দুর্গন্ধ দূর করতে এবং মুখকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এটি ওরাল হাইজিনও ভালো রাখে।


- এলাচের জলে রয়েছে পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হার্টের স্বাস্থ্যকেও সাপোর্ট করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে সৃষ্ট ক্ষতি হ্রাস করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও এলাচের মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান, যা প্রদাহ কমায়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।


- এলাচের জল মেটাবলিজমও বাড়ায়। এই মেটাবলিজম বাড়ানো আপনাকে ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে। আপনার বিপাক যত বেশি সক্রিয়, শরীর তত বেশি কার্যকরভাবে ক্যালোরি পোড়াবে। এমন পরিস্থিতিতে যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এই প্রাকৃতিক পানীয়টি সেরা প্রমাণিত হতে পারে।


কীভাবে বানাবেন এলাচের জল?

প্রথমে ২ থেকে ৩টি ছোট এলাচ নিন। এটিকে গুঁড়ো করে নিন যাতে এতে উপস্থিত ফ্লেভার এবং এসেনশিয়াল অয়েল জলে ভালোভাবে দ্রবীভূত হয়। এক গ্লাস জলে এই এলাচ গুঁড়ো দিন। এভাবে সারা রাত রেখে দিন। সকালে এটি ছেঁকে খালি পেটে পান করুন।

এই দেশে সোনার দরে বিক্রি হয় জল, এক লিটারের দাম শুনলে তেষ্টা মিটে যাবে



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩০:০১ : আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, যে জল আমাদের কাছে সহজেই পাওয়া যায়, পৃথিবীর অনেক দেশই সেই জলের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে। ভারতে জল সহজেই পাওয়া যায় এবং খুবই সস্তা। এখানে এক লিটারের বোতল জল মাত্র ২০ টাকায় পাওয়া যায়। একই সাথে, এমন কিছু দেশ আছে যেখানে নাগরিকদের এক লিটার জল পান করার জন্য অনেক টাকা খরচ করতে হয়।




ভাবুন তো, যদি আপনাকেও এক লিটার জলের জন্য শত শত টাকা খরচ করতে হয় তাহলে আপনার কেমন লাগবে? আজ জানুন বিশ্বের এমন একটি দেশের কথা, যেখানে মানুষ এক বোতল জল কিনতে বিপুল টাকা খরচ করে।




ভারতে, যদি আমরা বোতলজাত জল বাদ দেই, তবে এটি বিনামূল্যেও পাওয়া যায়, কিন্তু সুইজারল্যান্ড এমন একটি দেশ যেখানে মানুষ তাদের বেতনের একটি বড় অংশ এক লিটার জলের জন্য ব্যয় করে। এখানে প্রায় ৩৩০ মিলিলিটার জলের একটি ছোট বোতলের দাম প্রায় ৩৪৭ টাকা। যদি একজনকে এক লিটার জল কিনতে হয়, তাহলে তাকে ১০০০ টাকারও বেশি খরচ করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে, এখানকার মানুষ তাদের বেতনের একটি বড় অংশ ব্যয় করে সারাদিনের জলের চাহিদা মেটাতে। 




ভারতে পানীয় জল সহজেই পাওয়া যায় এবং এখানে প্রচুর প্রাকৃতিক জলের উৎসও রয়েছে। কিন্তু সুইজারল্যান্ডে তা হয় না। এখানে প্রাকৃতিক উৎস থেকে জল সহজে পাওয়া যায় না, শুধু তাই নয়, সুইজারল্যান্ডে জল পরিষ্কার করার প্রযুক্তিও খুব ব্যয়বহুল। এর পাশাপাশি, সেখানকার মজুরিও অনেক বেশি। সরকার সমস্ত খরচ বহন করে নাগরিকদের পানীয় জল সরবরাহে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে, যার কারণে এখানকার মানুষ জলের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার অমিল, থালা-বাটি হাতে বিক্ষোভ


মালদা, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩০:০০: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়মিত খাবার দেওয়া হয় না। কেন্দ্রে আসেন না কর্মী। এমনকি ফোনে অভিযোগ জানালে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার খাবার না পেয়ে থালা, বাটি হাতে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলা ও শিশুরা। ঘটনা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বারোঘরিয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের কর্মী দুলালী খাতুনের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, এদিন খাবারের দাবীতে মহিলারা বিক্ষোভ দেখালে সেই বাড়ির মালিক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর পক্ষ নেন এবং বিক্ষোভকারী মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি রয়েছে। কেন্দ্রে সরকারি সহায়িকা তথা রাঁধুনি নেই। স্থানীয় এক মহিলাকে রেখে রান্নার কাজ করানো হয়। অভিযোগ, ওই কেন্দ্রে নিয়মিত খাবার দেওয়া হয় না। বিভিন্ন অজুহাতে কেন্দ্র ছুটি রাখেন কর্মী। প্রায় ১৫ দিন ধরে কেন্দ্রে খাবার বিলি বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রে মাঝেমধ্যে যা খিচুড়ি দেওয়া হয় তা খাবার অযোগ্য। কোনওদিন ভাত দেওয়া হয় না। মাসে এক থেকে দু'দিন ডিম দেওয়া হয়, তাও আবার পচা দুর্গন্ধযুক্ত। 


স্থানীয় মহিলা রুবা খাতুন, মালেকা বিবি, বেলি খাতুন ও কেমলি রায়রা বলেন, 'কেন্দ্রের কর্মী কোনওদিন আসেন না। নিজের ইচ্ছে মতো কেন্দ্র চালান। স্থানীয় এক বেসরকারি মহিলাকে রেখেছেন রান্নার কাজে। মাসের বেশিদিনই কেন্দ্র বন্ধ থাকে। শিশুরা গিয়েও খাবার না পেয়ে ফিরে আসে। ফোন করে কর্মীকে অভিযোগ জানালে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। কেন্দ্রের কর্মী ও সেন্টারের জায়গা পরিবর্তনের দাবি করছি।'


এই বিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী দুলালী খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের শিশু কল্যাণ প্রকল্প আধিকারিক (সিডিপিও) আব্দুল সাত্তার ফোনে জানান, ওই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে। এবারে সব খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বড়বাজারের হোটেলে ভয়াবহ আগুনে মৃত ১৪, দায় কার?অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন


কলকাতা, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৩:০০: কলকাতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। মঙ্গলবার রাতে শহরের ব্যস্ততম এলাকা বড় বাজারের মাছুয়া ফল পট্টির একটি হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এদিন রাত ৮:১৫-র দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।


প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। মানুষ নিজেকে বাঁচাতে উপরের তলার দিকে ছুটতে থাকে। এসময় একজন কর্মচারী প্রাণ বাঁচাতে উপর থেকে লাফ দিলেও গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল। কিন্তু সরু রাস্তা এবং যানজটের কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হয় হয় দমকল বাহিনীকে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনকে গ্রাস করে। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে দমকল বাহিনীকে দেওয়াল ভেঙে ভেতরে ঢুকতে হয়। ত্রাণ অভিযান চলাকালীন, প্রায় ৫০ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়, তবে ১৪ জনের মৃত্যু হয় এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে। 


আগুনের সূত্রপাত কিভাবে?

প্রাথমিক তদন্তে ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, হোটেলের রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত, যা ধীরে ধীরে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। হোটেলটিতে অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় গুরুতর অবহেলা প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনাস্থলে কোনও কার্যকর অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতি ছিল না বলেও অভিযোগ। এদিকে ঘটনার পর থেকেই হোটেলের মালিক পলাতক।


অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে এবং সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান পুলিশ কমিশনার। পাশাপাশি ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'এফআইআর হবে, তদন্ত হবে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে।' এছাড়াও বুধবার ফরেন্সিক টিমের হোটেলে যাওয়ার কথা।

টানা ছয় দিন! নিয়ন্ত্রণ রেখায় ৬টি স্থানে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৯:০১ : পাকিস্তানি সেনা ফের সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। টানা ষষ্ঠ দিনের মতো তাদের দিক থেকে গুলিবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ২৯-৩০ এপ্রিল রাতে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পোস্টগুলি জম্মু-কাশ্মীরের নওশেরা, সুন্দরবানি এবং আখনুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে বিনা উস্কানিতে ছোট অস্ত্রের গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ ছাড়া, বারামুল্লা এবং কুপওয়ারা জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশাপাশি পারগালওয়াল সেক্টরেও গুলিবর্ষণ করা হয়।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৈন্যরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যথাযথ জবাব দেয়। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার সময়ে এই ধরণের গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। গত কয়েকদিনে, ভারতে অনেক পাকিস্তানি সাংবাদিক, ক্রিকেটার এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পদ্ধতি, লক্ষ্য এবং সময় নির্ধারণের জন্য সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রতিরক্ষা প্রধান (সিডিএস) অনিল চৌহান এবং তিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানরা উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে সন্ত্রাসবাদকে দমন করা আমাদের জাতীয় সংকল্প। প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতার উপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "আমাদের প্রতিক্রিয়ার পদ্ধতি, লক্ষ্য এবং সময় নির্ধারণের জন্য তাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।"

২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি বাহিনী ভারতের সীমান্ত এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিএসএফ পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে নিযুক্ত, এসএসবি নেপাল ও বাংলাদেশের সীমান্ত পাহারা দেয়। আসাম রাইফেলস মায়ানমার সীমান্ত পাহারা দেয় এবং এনএসজি ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাস দমন প্রতিরক্ষা বাহিনী।

পহেলগাম হামলার পর আজ প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন। এই বৈঠকের আগে তিনি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটিরও সভাপতিত্ব করবেন। পহেলগাম হামলার পর থেকে ভারতে উচ্চ পর্যায়ের একাধিক বৈঠক চলছে।

চন্দনোৎসব' উপলক্ষে উপচে পড়া ভিড়, মন্দিরে ধসে পড়ল দেওয়াল; একের পর এক মৃত্যু


ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৮:০০: মন্দিরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার গভীর রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের বিখ্যাত শ্রী বরাহ লক্ষ্মী নরসিংহ স্বামী মন্দিরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত আটজন ভক্তের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। 'চন্দনোৎসব' উপলক্ষে ভক্তরা 'নিজরূপ দর্শন'-এর জন্য লাইনে দাঁড়ানোর সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, এই মন্দিরটি সিংহচলম মন্দির নামেও পরিচিত।


সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন গভীর রাত আড়াইটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রবল বর্ষণে কাতার রোডের পাশে অবস্থিত একটি শপিং কমপ্লেক্সের কাছে মন্দির পরিসরের একটি দেওয়াল হঠাৎ ধসে পড়ে। বলা হচ্ছে, দেওয়ালটি নতুন করে নির্মিত এবং বৃষ্টির কারণে মাটি আলগা হয়ে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।


রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গালাপুদি অনিথা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন এবং বলেছেন যে, প্রবল বৃষ্টি এবং ভক্তদের চাপের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি বলেন, "ভক্তরা ৩০০ টাকা মূল্যের বিশেষ দর্শন টিকিট নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বৃষ্টির কারণে দেওয়ালটি জলে ভিজে দুর্বল হয়ে পড়েছে।"


ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) এবং স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ শুরু করে। বিশাখাপত্তনমের জেলা কালেক্টর হরেন্দ্র প্রসাদ এবং পুলিশ কমিশনার শঙ্খ ব্রত বাগচিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। রাজ্য সরকার দুর্ঘটনার উচ্চ-পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।


অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, 'এই দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আছি। মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তৎপরতা পর্যালোচনা করেন এবং আহতদের পূর্ণ চিকিৎসা সহায়তা প্রদান এবং ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।


দুর্ঘটনায় তিন মহিলার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং মৃতদেহগুলিকে বিশাখাপত্তনমের কিং জর্জ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে আহতদের চিকিৎসাও চলছে।মৃতদের মধ্যে ৫ জন পুরুষও রয়েছেন।


উল্লেখ্য, চন্দনৎসবম উত্সব হল সিংহাচলম মন্দিরের একটি বার্ষিক উত্সব, যেখানে ভগবান নরসিংহ স্বামীকে বছরে একবার চন্দনের লেপ অপসারণের পরে ভক্তদের কাছে তাঁর 'আসল রূপে' দেখানো হয়। এই উপলক্ষটি হাজার হাজার ভক্তের জন্য অত্যন্ত শুভ এবং বিরল বলে বিবেচিত হয়। মঙ্গলবার গভীর রাত ১ টায়, 'সুপ্রভাত সেবা' দিয়ে ভগবানকে জাগ্রত করা হয় এবং বিশেষ রৌপ্য যন্ত্রের সাহায্যে চন্দনের লেপ অপসারণের মাধ্যমে তাঁর আসল রূপ প্রকাশ করা হয়। এর পরে, অভিষেকম এবং অন্যান্য বৈদিক আচারগুলি যথাযথভাবে সম্পাদন করা হয়।


ঐতিহ্যগতভাবে, মন্দিরের উত্তরাধিকারী ট্রাস্টি পুষ্পপতি অশোক গজপতি রাজু এবং তার পরিবারকে প্রথম দর্শন দেওয়া হয এবং চন্দনের নৈবেদ্য প্রথম পূজা করা হয়। রাজ্য সরকারের তরফে রাজস্ব মন্ত্রী অঙ্গনি সত্য প্রসাদ প্রভুকে রেশম বস্ত্র উপহার দেন।

বাড়িতে কালো জাদুর প্রভাব পড়েছে? জানুন এটি এড়ানোর সহজ উপায়গুলি



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩০:০১ : আপনার কি বারবার একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকছেই? আর্থিক পরিস্থিতি কি আরও খারাপ হতে চলেছে? আপনি কি একের পর এক আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন? বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, যদি এই লক্ষণগুলি আপনার সাথে বারবার দেখা দেয়, তাহলে এর অর্থ হল নেতিবাচক শক্তি আপনার ঘরে প্রবেশ করেছে। সাধারণ ভাষায়, একে কালো জাদু বলা হয়। এই কালো জাদু থেকে নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে কীভাবে রক্ষা করবেন তার কিছু সহজ প্রতিকার এখানে দেওয়া হল।



প্রথমত, জেনে রাখুন যে যদি কোনও ব্যক্তি কালো জাদুর প্রভাবে থাকে, তাহলে তিনি কিছুটা মানসিকভাবে অস্থির হয়ে পড়েন। কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পায়। যদি আপনার উপর কালো জাদুর প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে, তাহলে আপনি আপনার মন এবং মস্তিষ্কে দুর্বলতা অনুভব করতে শুরু করবেন। রাতে ঘুমানোর সময় ভয়ানক স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। কালো জাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা একাকীত্ব পছন্দ করতে শুরু করেন। ক্ষুধার্ত বা তৃষ্ণার্ত বোধ করেন না, বেশিরভাগ সময় অসুস্থ বোধ করেন। এছাড়াও, ঘরে উপস্থিত তুলসীও শুকিয়ে যেতে শুরু করে।


বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, আপনি ১ টাকার মুদ্রা নিয়ে যেকোনও মন্দিরে উৎসর্গ করতে পারেন। আপনার সমস্যা নিয়ে কথা বলার পর, মন্দিরের এক কোণে এক মুঠো চাল রাখুন। এটি করলে, কালো জাদু শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে।

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, শুক্রবার, আপনার বাড়ির মন্দিরে ঈশ্বরের সামনে একটি মঞ্চ তৈরি করুন এবং তাতে জল ভর্তি একটি কলসি রাখুন এবং সেই কলসিতে জাফরান দিয়ে স্বস্তিকা চিহ্ন তৈরি করুন এবং আপনি ১ টাকার মুদ্রাও রাখতে পারেন।

প্রতিদিন সন্ধ্যায় পূজার পর, বাড়ির প্রধান দরজার কোণে একটি চারমুখী ঘি প্রদীপ জ্বালান এবং তাতে একটি এক টাকার মুদ্রা রাখুন। এটি কেবল ঘর থেকে দারিদ্র্য দূর করে না, বরং ঘরের নেতিবাচক শক্তিও দূর করে।

আপনার পকেটে সর্বদা একটি ময়ূরের পালক এবং একটি এক টাকার মুদ্রা রাখুন। এটি আপনার ভাগ্যকে শক্তিশালী করবে। জীবনে নতুন সুযোগ আসবে এবং নেতিবাচক শক্তিও শেষ হবে।

পহেলগাম হামলার পর দিল্লীতে একের পর এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় ধরণের পদক্ষেপের প্রস্তুতি!


ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৮:০০: জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপের প্রস্তুতি জোরদার করেছে। এই হামলায় ২৬ জন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক, নিহত হয়। ধর্মীয় পরিচয় জিজ্ঞেস করে সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে তাঁদের খুন করে। এই আবহে আজ বুধবার, দিল্লীতে চারটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হতে চলেছে যা দেখায় যে ভারত সন্ত্রাসবাদের কড়া জবাব দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত। এসব বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপের একটি নীলনকশা তৈরি করা হবে।


আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

১: ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটির বৈঠক 

পহেলগাম হামলার পর এটি সিসিএসের দ্বিতীয় বৈঠক। সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হল পহেলগাম হামলার পর নিরাপত্তা প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা। সূত্র জানায়, এই বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীকে কর্মপন্থা, লক্ষ্য ও সময় নির্ধারণে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। প্রতিবেদন ইন্ডিয়া টিভি হিন্দির। 


২: সভাক্যাবিনেট কমিটি অন পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক 

সিসিএসের পর অনুষ্ঠিতব্য রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিপিএ) বৈঠকে রাজনৈতিক প্রভাব ও পদক্ষেপের প্রভাব নিয়ে আলোচনা হবে। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে থাকবেন এবং এতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়করি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং অন্যান্য সিনিয়র মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। এই বৈঠকে ভারতের পদক্ষেপের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা হবে।


৩: ক্যাবিনেট কমিটি অন ইকোনমি অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক 

তৃতীয় বৈঠকটি হবে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির, যেখানে পাকিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে। উরি ও পুলওয়ামা হামলার পর ভারত ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করতে সফল হয়েছে। এই বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা। বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং বাণিজ্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে।


৪: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক

দিনের শেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, যেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের চূড়ান্ত নীল নকশা তৈরি করা হবে। এ বৈঠকে সব মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশল অনুমোদন করা হবে। উল্লেখ্য, ভারত একদিকে যখন সামরিক প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, অন্যদিকে কূটনীতিতেও জোর দিচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মঙ্গলবার ফোনে ৯টি দেশের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভারত সন্ত্রাসবাদের মাস্টারদের যোগ্য জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।


পহেলগাম হামলার পর ভারতের অবস্থান-

প্রতিরোধ ফ্রন্ট (টিআরএফ), লস্কর-ই-তৈবার সাথে সম্পৃক্ত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, পহেলগামের বৈসারন উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছিল। এই হামলাকে পাকিস্তান মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, যার পরে ভারত বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ করেছে। ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত প্রথম সিসিএস বৈঠকে, ভারত নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত নেয়:-


সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা: ১৯৬০ সালের চুক্তি অবিলম্বে স্থগিত করা হয়।  


আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ: সমন্বিত চেক পোস্ট অবিলম্বে বন্ধ।  


পাকিস্তানি কূটনীতিকদের ওপর ক্র্যাকডাউন: পাকিস্তান হাই কমিশনের প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ব্যক্তিত্বহীন ঘোষণা করা হয়েছিল এবং এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। 


সার্ক ভিসা বাতিল: পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সার্ক ভিসা ছাড় স্কিম বাতিল করা হয়েছে, এবং ভারতে উপস্থিত এই জাতীয় নাগরিকদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।


এর পাশাপাশি গতকাল মঙ্গলবার একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, 'সন্ত্রাসবাদকে উপযুক্ত আঘাত করা আমাদের জাতীয় সংকল্প। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদার দক্ষতায় আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পদ্ধতি, লক্ষ্য এবং সময় সেনা ঠিক করুক।' এই বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ ত্রিপাঠি উপস্থিত ছিলেন।


এদিকে ভারতের প্রস্তুতি নিয়ে পাকিস্তানে আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দাবী করেছেন যে, তাঁর কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ২৪-৩৬ ঘন্টার মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ করতে পারে। তারার ভারতকে "ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট অভিযোগ" করার জন্য অভিযুক্ত করেছে এবং বলেছে যে পাকিস্তান যে কোনও সামরিক পদক্ষেপের "নির্দিষ্ট এবং সিদ্ধান্তমূলক" জবাব দেবে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ভারতের কর্মকাণ্ডের দায় নিতে আবেদন করেছেন।


দিল্লীতে তোলপাড়, ইসলামাবাদে অস্থিরতা

আজ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকগুলি পাকিস্তানে অস্বস্তি বাড়িয়েছে। এই সিরিজের বৈঠকগুলি একটি ইঙ্গিত দেয় যে ভারত শুধুমাত্র পহেলগাম হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত নয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে৷ ঘড়ির কাঁটা যতই এগোচ্ছে, ততই পাকিস্তানের ওপর ভারতের পাল্টা হামলার আশঙ্কা আরও গভীর হচ্ছে।

নেতিবাচক শক্তি এড়াতে চাইলে ঘরে রাখুন এই মাছ



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩০:০১ : বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘরে ফিশ অ্যাকোয়ারিয়াম রাখা শুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়। যদিও মানুষ ফিশ অ্যাকোয়ারিয়ামে রঙিন মাছ, বিশেষ করে সোনালী মাছ রাখে, কিন্তু আপনি কি জানেন বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে অ্যাকোয়ারিয়ামে কোন মাছ রাখা উচিত?


কোন মাছ আপনার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং আপনার সমস্ত নেতিবাচক শক্তি শোষণ করে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে জানুন আপনার বাড়িতে কোন মাছ স্থাপন করা উচিত যাতে আপনার ঘরের নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।


যদি আপনি বাড়িতে একটি অ্যাকোয়ারিয়াম থাকে, তাহলে সাধারণত ৯টি মাছ থাকা উচিত, যার মধ্যে ১টি কালো মাছ এবং অন্য ৮টি সোনালী মাছ। সোনালী মাছ যেমন শুভতার প্রতীক, ঠিক তেমনই, বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘরে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখাও শুভ বলে বিবেচিত হয়। অ্যারোওয়ানা মাছ সুখ, সমৃদ্ধি, সম্পদ এবং সুস্বাস্থ্যের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। ঘরে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং বাড়ির ভিতরে ইতিবাচক শক্তি প্রবাহিত হয়।

অনেকেই প্রায়শই বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখতে চান না, এমন ক্ষেত্রে আপনি অ্যারোওয়ানা মাছের মূর্তিও স্থাপন করতে পারেন। বাড়ির উত্তর-পূর্ব বা পূর্ব দিকে অ্যারোওয়ানা মাছের মূর্তি রাখা উপকারী। এটি ঘরে সুখ এবং সম্পদও নিয়ে আসে। মুখে মুদ্রা সহ অ্যারোওয়ানা মাছের মূর্তি খুব শুভ ফল দেবে।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।

অক্ষয় তৃতীয়ায় কী কিনবেন এবং কী দান করবেন? সম্পূর্ণ তালিকা পড়ুন

 


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩০:০১ : অক্ষয় তৃতীয়া আগামীকাল অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে এই উৎসব উদযাপনের ঐতিহ্য রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, এই দিনে ত্রেতা যুগ শুরু হয়েছিল এবং ভগবান পরশুরাম অবতারিত হয়েছিলেন। এছাড়াও, এই দিনে দান, সৎকর্ম, বিবাহ অনুষ্ঠান, গৃহস্থালি ইত্যাদি শুভ বলে বিবেচিত হয়।


অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে বিবাহ, সম্পর্ক নিশ্চিতকরণ, ব্যবসা শুরু করা, গৃহস্থালি, যানবাহন কেনা, চাকরিতে যোগদান ইত্যাদি শুভ কাজ কোনও শুভ সময় ছাড়াই করা যেতে পারে। এই দিনে দানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে দানের ফলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধি আসে। দুধ, দই, চিনি, ক্ষীর, শঙ্খ এবং সাদা পোশাক, শস্যের মতো সাদা জিনিস দান করুন। এ ছাড়া, এই দিনে জল, কুলহার, পাখা, ছাতা, লবণ, ঘি, তরমুজ ইত্যাদি মরসুমী ফল দান করলে অক্ষয় পুণ্য লাভ হয়।

বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি ২৯ এপ্রিল বিকেল ৫:৩১ টা থেকে শুরু হয়ে ৩০ এপ্রিল দুপুর ২:১২ টা পর্যন্ত চলবে। উদয়তিথি অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়া ৩০ এপ্রিল পালিত হবে। কেনাকাটার জন্য শুভ সময় - চর চৌঘড়িয়া সকাল ১০:৩৭ থেকে দুপুর ১২:১৬ - অমৃত চৌঘড়িয়া দুপুর ১:৫৬ থেকে বিকেল ৩:৩৫।

অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা ও রূপা কিনতে না পারলে মাটির পাত্র কিনতে পারেন। এটি জীবনে স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি এবং স্থায়ী সুখ নিয়ে আসে। এই দিনে আপনি শঙ্খ, কড়ি, শস্য, লবণ, নারকেল, ফল, লাল কাপড়, শ্রীযন্ত্র কিনতে পারেন। ধনেপাতাও এই দিনে কেনা উচিত।

লক্ষ্মীর পূজার জন্য একচোখা নারকেল, লাল কাপড়, জাফরান, হলুদ, রোলি, গঙ্গাজল, ধূপ, প্রদীপ এবং ফুলও কেনা উচিত। সন্ধ্যায় পূজা করার পর, এগুলি আপনার সিন্দুকের মধ্যে রাখুন। এই দিনে, সন্ধ্যায় তুলসী তলায় একটি প্রদীপও জ্বালানো উচিত।

কেমন কাটবে ৩০ এপ্রিল? পড়ুন রাশিফল



প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০০:০১ : বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে মোট ১২টি রাশির চিহ্ন বর্ণিত হয়েছে।  প্রতিটি রাশির অধিপতি একটি গ্রহ।  রাশিফল ​​গ্রহ এবং নক্ষত্রের গতিবিধি দ্বারা মূল্যায়ন করা হয়। ৩০ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার।  জেনে নিন ৩০ এপ্রিল কোন রাশির চিহ্নগুলি উপকৃত হবে এবং কোন রাশির চিহ্নগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে।  মেষ থেকে মীন রাশির অবস্থা পড়ুন।




মেষ: আজ সুখী থাকার জন্য প্রেম জীবনের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা সমাধান করুন। পেশাগতভাবে আপনি ভালো এবং ভাগ্যবান থাকবেন। ছোটখাটো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকবে এবং আপনার সম্পদ অক্ষুণ্ণ থাকবে। আপনি আজ অফিসেও ভালো পারফর্ম করবেন।



বৃষ: আজ অফিসে আপনার পারফর্মেন্স চমৎকার হতে চলেছে। সারা দিন আর্থিক এবং স্বাস্থ্য উভয়ই ভালো থাকবে, যা আপনাকে আনন্দের মুহূর্তগুলি অনুভব করাবে। একই সাথে, একটি সুখী সম্পর্ক ব্যবসায়িক সাফল্যের সমর্থনও পায়। বুদ্ধিমানের সাথে অর্থ ব্যয় করুন।



মিথুন: আজ আপনার দক্ষতা প্রমাণ করার জন্য অফিসে প্রতিটি সমস্যা সমাধান করুন। আজ বিনিয়োগের জন্য একটি ভালো দিন তবে বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। আজ স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। একই সাথে, প্রেম জীবনও দুর্দান্ত থাকবে।



কর্কট: সম্পর্কের ক্ষেত্রে ছোটখাটো ঝগড়া সত্ত্বেও, আপনার প্রেম জীবন ভালো থাকবে। ক্যারিয়ারে সফল হতে, প্রতিটি আসন্ন চ্যালেঞ্জ পূর্ণ তীব্রতার সাথে সমাধান করুন। একজন ভালো শ্রোতা হোন এবং আপনার সঙ্গীর সাথে সময় কাটান।



সিংহ: আপনি প্রতিটি আকর্ষণীয় ব্যক্তির উপর বাম দিকে সোয়াইপ করে অবিলম্বে প্রেমে পড়তে পারবেন না। আপনাকে নিজেকে সময় দিতে হবে। ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া এড়িয়ে চলুন। কোনও বন্ধু আপনাকে সাহায্য করতে পারে। পরিবার কোনও অনুষ্ঠানে আপনার সাথে যোগ দিতে পারে।



কন্যা: কর্মক্ষেত্রে আপস করার জন্য তাড়াহুড়ো করবেন না। আপনার ব্যস্ততার কারণে আজ আপনার অসুবিধা হতে পারে। তর্ক-বিতর্ক হতে পারে তবে শেষ পর্যন্ত আপনি সহজেই বিরোধের সমাধান করবেন।



তুলা: আজ সম্পদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে শক্তি কিছুটা কম থাকতে পারে। অবিবাহিতদের অনেক হতাশাজনক প্রচেষ্টার পরেও প্রেম খুঁজে পাওয়া থেকে বিরতি নেওয়া উচিত। এই বিরতি তাদের সঙ্গীর কাছ থেকে আসলে কী চায় তা জানতে সাহায্য করবে।




বৃশ্চিক: আজ আপনি কাজের সাথে সম্পর্কিত একটি ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন কারণ সবকিছু আপনার পক্ষে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রেম সম্পর্কিত প্রত্যাশা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি ভুল জায়গায় প্রেম খুঁজছেন। আপনার যা আছে তা নিজেই আপনার কাছে আসবে।




ধনু: অর্থ সমস্যা ফাটল তৈরি করতে পারে। তর্ক করা এড়িয়ে চলুন। নিজেকে মনে করিয়ে দিন কেন আপনি এবং আপনার সঙ্গী একসাথে আছেন। দ্বন্দ্ব মোকাবেলা করুন এবং তারপরে অর্থ পরিস্থিতি সমাধানের জন্য কাজ করুন।




মকর: আজ আপনার কাজের উপর সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া উচিত। বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে ছোটখাটো বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিতে পারে। যোগাযোগ করা এবং একে অপরের জন্য সময় বের করা বাঞ্ছনীয়। আপনার পরিবারকে ছোটখাটো ঝগড়ায় জড়ানো থেকে বিরত রাখা উচিত।



কুম্ভ: আজ খরচ নিয়ন্ত্রণ করুন। স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিন। একজন আকর্ষণীয় ব্যক্তি, যার রসবোধ ভালো, আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার অজান্তেই আপনার দুজনের মধ্যে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাবে। আপনার তারকারা আগামী দিনে আপনার জন্য একটি সুখী সম্পর্কের পূর্বাভাস দিচ্ছেন।



মীন: আপনার বন্ধু আজ আপনাকে বিশেষ কারও সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারে, যিনি আপনাকে ভালো বোধ করাবেন। আপনি তাদের উপস্থিতিতে খুশি বোধ করবেন, যা আপনাকে আবার তাদের সাথে দেখা করতে আগ্রহী করবে। আপনার প্রেমের তারকারা আজ আপনাকে সমর্থন করবে। তাই ধৈর্য ধরুন।

Tuesday, April 29, 2025

অভিনয় নয়, তার স্বপ্ন ছিল নৃত্যশিল্পী হওয়ার, সেই মেয়ে এখন বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেঘা



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল : পিলু মছলন্দপুরের এক সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা মেয়েটি আজ সকলের প্রিয় অভিনেত্রী। নিজের প্রথম ধারাবাহিকে সাবলীল অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জিততে খুব বেশিদিন সময় নেননি ছোটপর্দার অভিনেত্রী মেঘা দাঁ।


যেকোনো তারকার জন্য প্রথম অভিনয় বেশ কঠিন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মেঘার অভিনয় খুব সহজেই দর্শকের মন ছুঁয়েছে। ‘পিলু’ ধারাবাহিক শুরু হওয়ার প্রথমদিকেই অধিকাংশ দর্শক জানিয়েছিলেন ‘মেঘা অসাধারণ একজন অভিনেত্রী, যার মধ্যে কোন ন্যাকামি নেই’। প্রথম ধারাবাহিকের হাত ধরেই টেলি পাড়ায় জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মেঘা। এরপর কথা ধারাবাহিকে ভিলেন চরিত্রেও দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করেন।



নায়িকা হোক বাঃ ভিলেন মেঘা সবেতেই দারুণ দক্ষ। তবে জানেন কি অভিনয় দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও সে কখনো ভাবেইনি পেশা হিসাবে অভিনয়কে বেছে নেবে।  আনন্দ বাজার অনলাইনের একবার এক সাক্ষাৎকারে মেঘা জানিয়েছিলেন, তার ছোট থেকে নাচ এবং গানের প্রতি ভালোবাসা। স্বপ্ন ছিল ভালো নৃত্যশিল্পী হওয়ার। কিন্তু ভাগ্য তাকে অভিনয় জগতে টেনে আনে। যদিও নাচের পাশাপাশি অভিনয়টাও ভালো করে রপ্ত করতে চান এই অভিনেত্রী।


‘ডান্স বাংলা ডান্স’ চলাকালীন মেঘাকে অনেকেই বলেছিলেন তার মধ্যে অভিনেত্রী-সুলভ ব্যাপার রয়েছে। সকলেই তাকে বলত একবার চেষ্টা করে দেখতে। আচমকাই অভিনয়ের সুযোগ আসে ওই মঞ্চ থেকে। সেই মুহূর্তেও অভিনেত্রী নাচ নিয়ে থাকতে চেয়েছিলেন কিন্তু তার বাবা-মা তাকে অনেক বোঝায়। তখন অভিনেত্রী সিদ্ধান্ত নেয় একবার চেষ্টা করে দেখার।  খেয়ালি ঘোষ দস্তিদারের কাছে ওয়ার্কশপও করেছিলেন তিনি। সেখান থেকে আজ বাংলার ঘরে ঘরে ‘পিলু’ হয়ে উঠেছেন মেঘা।

তিন বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে, জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও কেন সিরিয়ালে কাজ পাচ্ছেন না রুদ্রজিৎ-প্রমিতা?



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল : ছোটপর্দার জনপ্রিয় জুটি রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় ও প্রমিতা চক্রবর্তী। ধারাবাহিকে অভিনয় দিয়েই বিনোদন জগতে যাত্রা শুরু করেছিলেন এই জুটি। তবে বহুদিন যাবদ গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে এই জুটি। পর্দা থেকে দূরে বর্তমানে কি করছেন তারা?


ছোটপর্দায় জনপ্রিয় জুটি রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং প্রমিতা চক্রবর্তী। ‘সাত ভাই চম্পা’ ধারাবাহিকের হাত ধরে রাঘব আর পায়েলের জুটি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। অভিনেত্রী প্রমিতা চক্রবর্তী ‘বধূবরণ’ ধারাবাহিকের হাত ধরে ভালো জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।



অন্যদিকে রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় ‘বধূবরণ’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘পটল কুমার গানওয়ালা’ এবং ‘বিজয়িনী’ মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন। দুজনের ক্যারিয়ার বেশ ভালো জায়গায় ছিল। তাদের একসঙ্গে শেষবারের মতো দেখা যায় পিলু ধারাবাহিকে। এরপর টানা ৩ বছর তাদের হাতে কোনও কাজ নেই।



একসঙ্গে বিয়ে করার পর তারা জীবনে নতুন পথ খুঁজে নিয়েছেন। কাজ না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে বসে থাকেনি বরং ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লগিং শুরু করেন। বাংলা সিরিয়ালের কাজ না করলেও তাদের দর্শকরা তাদের ভোলেননি। তাই ইউটিউবের হাত ধরেই আয়ের পথ খুঁজে নিয়েছেন তারকা দম্পতি।


'আপনাদের সকলের ঘরের আলো নিভিয়ে দেবেন ', নতুন ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ওয়াইসির

 


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:০২:০১ : AIMIM সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বিষয়ে একটি বড় ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, "নতুন ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড ৩০ এপ্রিল আলো নিভিয়ে দেবেন। বুধবার রাত ৯টা থেকে রাত ৯:১৫ টা পর্যন্ত আলো নিভিয়ে দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হয়েছে।" তিনি বলেন, 'আমি জনগণকে তাদের বাড়ি/দোকানের আলো নিভিয়ে এই প্রতিবাদে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করছি, যাতে আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বার্তা দিতে পারি যে এই আইন মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।'


আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমন এক সময়ে এই বক্তব্য দিয়েছেন যখন মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫-এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে ১৩টি নতুন আবেদন বিবেচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আদালত বলেছে যে এটি আরও আবেদন যুক্ত করতে পারে না কারণ এটি পরিচালনা করা কঠিন হবে। বেশ কয়েকটি আবেদনকারীর আইনজীবী ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চকে বিদ্যমান আবেদনের সাথে তাদের আবেদনগুলি শুনানির জন্য অনুরোধ করেছেন। এর পর, বেঞ্চ বলে, 'আমরা এখন আবেদনের সংখ্যা বাড়াবো না। এগুলো বাড়তেই থাকবে এবং এগুলো পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে।'

সোমবার আদালত একই রকম নির্দেশ দিয়েছে এবং ওয়াকফ সংশোধনী আইন, ২০২৫ এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে একটি নতুন আবেদন বিবেচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তিনি বলেছেন যে তিনি এই বিষয়ে শত শত আবেদন শুনতে পারবেন না। বেঞ্চ আবেদনকারী সৈয়দ আলী আকবরের আইনজীবীকে ৫টি বিচারাধীন মামলায় হস্তক্ষেপ আবেদন দাখিল করতে বলেছে, যার শুনানি ৫ মে হবে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া হবে। ১৭ এপ্রিল, বেঞ্চ তার আগে মোট আবেদনের মধ্যে মাত্র পাঁচটি শুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

দিঘার জগন্নাথ ধামে চলছে যজ্ঞ, পূর্ণাহুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা



কলকাতা, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৪৬:০১ : পূর্বনির্ধারিত সময় অনুসারে, মঙ্গলবার বিকেলে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে পূর্ণাহুতি দিলেন। পূর্ণাহুতি অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ৪:১৫ নাগাদ। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভক্ত রাজেশ দ্বৈতপতি এবং ইসকনের কর্মকর্তা রাধারমণ দাসও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। পূর্ণাহুতির পরে, মুখ্যমন্ত্রীকে আরতি করতেও দেখা গেছে।

আগামীকাল, অর্থাৎ বুধবার, ভগবান জগন্নাথের প্রাণপ্রতিষ্ঠা এবং মন্দিরের দরজা খোলার অনুষ্ঠান হবে। সোমবার থেকে, এই উপকূলীয় শহরে ভক্তদের ভিড় বাড়ছে। মঙ্গলবার আরও বেশি ভক্ত এসেছেন। মন্দিরের ভেতরে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান চললেও, বিশাল জনসমাগম সামলাতে দিঘায় পুলিশের নজরদারি দৃশ্যমান।

সূত্রের খবর, দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনকে সামনে রেখে ২৫ এপ্রিল থেকে হোম যজ্ঞ শুরু হয়েছে। রাজেশ দ্বৈতপতি সহ আরও ৫৭ জন ভক্ত পুরী থেকে দিঘায় এসেছেন পূজা অনুষ্ঠান করতে। এছাড়াও, ইসকনের ১৭ জন সাধুর তত্ত্বাবধানে যজ্ঞের কাজ চলছে। মন্দিরে জগন্নাথের প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে ভক্তরা মোট এক কোটি বার নৃসিংহ মন্ত্র জপ করছেন। মঙ্গলবারের হোম যজ্ঞের জন্য ১০০ কুইন্টাল আম, বেল কাঠ এবং ২ কুইন্টাল ঘি অর্ডার করা হয়েছে।

বলা হচ্ছে যে ইতিমধ্যে বাকি দেবদেবীর আহ্বান পর্ব শেষ হয়েছে। জগন্নাথকেও দুধ দিয়ে স্নান করানো হয়েছে। পুরীর মতো, এখানেও সুদর্শন দেব, দেবী লক্ষ্মী, বিমলা এবং সত্যভামা প্রতিষ্ঠা করা হবে।

মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য রাধা রমন দাস বলেন, আজ মূল যজ্ঞের পর সন্ধ্যায় ভগবান জগন্নাথকে ফুল দিয়ে সজ্জিত বিছানায় শুইয়ে দেওয়া হবে। পরের দিন অর্থাৎ অক্ষয় তৃতীয়ায় ভগবান জগন্নাথ এবং রাধা-কৃষ্ণের পাথরের মূর্তি স্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, "অক্ষয় তৃতীয়ার দিন প্রথমে ভগবানকে সোনা, রুপো ও তামার তার দিয়ে বেঁধে সেই তারকে প্রধান পুরোহিতের কোমড়ে বাঁধা হবে। এরপর ঘট স্থাপন, কুণ্ড ও অবশেষে প্রতিবিম্ব।"

সোমবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী তদারকির কাজ পরিদর্শন করতে দিঘায় পৌঁছেছেন। তিনি দাঁড়িয়ে সবকিছু পরিদর্শন করছেন। তিনি বিকেল ও সন্ধ্যায় মন্দির পরিদর্শন করেছেন। সকাল থেকে তিনি মন্দির প্রাঙ্গণে ছিলেন। বিকেলে পূর্ণাহুতি দিলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, পর্যটকরা সমুদ্র ভ্রমণের জন্য দিঘায় আসেন, এখন জগন্নাথ মন্দিরও এর সাথে যুক্ত হয়েছে। ফলস্বরূপ, দিঘা আধ্যাত্মিকতা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গমস্থলে পরিণত হয়েছে। যা ভবিষ্যতে একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে।

ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কেন্দ্রের! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী সহ বহু সাংবাদিকের এক্স অ্যাকাউন্ট ব্যান



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:০১:০১ : ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ভারত পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সহ আইএসপিআর এবং আইএসআই-এর সাথে যুক্ত অনেক পাকিস্তানি সাংবাদিকের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


এর আগে, ভারত সম্পর্কে মিথ্যা, উস্কানিমূলক এবং সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল বিষয়বস্তু সম্প্রচারের অভিযোগে সরকার ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করেছিল এবং পহেলগাম হামলার বিষয়ে বিবিসির প্রতিবেদনের তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল।

নিষিদ্ধ করা ইউটিউব চ্যানেলগুলির মধ্যে রয়েছে ডন নিউজ, ইরশাদ ভাট্টি, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ, বোল নিউজ, রাফতার, দ্য পাকিস্তান রেফারেন্স, জিও নিউজ, সামা স্পোর্টস, জিএনএন, উজাইর ক্রিকেট, উমর চিমা এক্সক্লুসিভ, আসমা শিরাজি, মুনিব ফারুক, সুনো নিউজ এবং রাজি নামা।


আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে, ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীরের মর্মান্তিক পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।


বিবিসি ইন্ডিয়ার প্রধান জ্যাকি মার্টিনকে লেখা এক চিঠিতে, বিদেশ মন্ত্রক পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবেদনের প্রতি দেশের তীব্র অনুভূতি জ্ঞাপন করেছে। পহেলগাম হামলার প্রতিবেদনে সন্ত্রাসীদের চরমপন্থী হিসেবে আখ্যা দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে।

এক সংবাদে, বিবিসি জানিয়েছে যে কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর মারাত্মক হামলার পর পাকিস্তান ভারতীয়দের ভিসা স্থগিত করেছে। সরকার এটিকে আপত্তিকর বলে অভিহিত করেছে। এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেছেন যে কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের উপর হামলার পর ভারত পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।

আসিফ বলেছেন যে পাকিস্তান উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং তাদের অস্তিত্বের উপর সরাসরি আক্রমণ হলেই তারা তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার তদন্তের জন্য একটি আন্তর্জাতিক কমিশন গঠনের জন্য ভারতকে আহ্বান জানিয়েছেন।

পহেলগাম হামলার পিছনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সরাসরি যোগসূত্র! হামলাকারী হাশিম মুসা নিয়ে বড় প্রকাশ

 


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৩০:০১ : জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা বড় তথ্য পেয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হাশিম মুসার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে যে সন্ত্রাসী হওয়ার আগে মুসা পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে প্যারা কমান্ডো ছিলেন।



সূত্র অনুসারে, হাশিম মুসা পহেলগাম হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সাথে পাহেলগাম ঘটনাটি ঘটিয়েছিল মুসা।



সূত্র বলছে যে হাশিম মুসাকে লস্কর-ই-তৈয়বা প্রশিক্ষণ দিয়েছিল এবং হামলার জন্য কাশ্মীরে পাঠিয়েছিল। মুসা এখানে ৩ জন স্থানীয় সন্ত্রাসীর সাথে পুরো ঘটনাটি ঘটিয়েছিল।



মুসা এবং তার সঙ্গীরা সেনার পোশাক পরে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছিল যাতে কেউ তাদের সন্দেহ না করে। জম্মু-কাশ্মীরের পরিবেশ উত্তেজনাপূর্ণ করার জন্য পর্যটকদের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল।


উপত্যকায় পর্যটকদের উপর এত বড় সন্ত্রাসী হামলা চালানোর ঘটনা এটিই প্রথম। সূত্র জানিয়েছে যে মুসার আইএসআইয়ের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে এবং সে লস্কর-ই-তৈয়বায় যোগ দিয়েছিল।


মুসা অতীতে অনেক সন্ত্রাসী ঘটনার সাথে জড়িত ছিল। মুসার গোপন অভিযানের প্রশিক্ষণ রয়েছে। বলা হচ্ছে যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম প্রচেষ্টা হল মুসাকে খুন করা।



পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে সিনিয়র পাকিস্তানি সাংবাদিক আদিল রাজা একটি বড় দাবী করেছেন। আদিলের মতে, পহেলগামে হামলা মুনিরের নির্দেশে করা হয়েছিল।


আদিল তার একটি পোস্টে বলেছেন যে মুনির ৫ বছরের মেয়াদ চান, যার কারণে তিনি ভারতের বিরুদ্ধে উত্তেজনা তৈরি করেছেন।


প্রকৃতপক্ষে, পহেলগাম হামলার তিন দিন আগে মুনির একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এই বক্তৃতায় মুনির ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিলেন। এই কারণেই পহেলগামে সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য মুনিরকে সরাসরি দায়ী করা হচ্ছে।

টেলিপাড়ার একজনের কারণেই আজ সে বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় নায়ক হয়েছেন, সেই রহস্য ফাঁস করলেন অভিনেতা রাহুল



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল : বর্তমানে দুর্গামণি ও বাঘ মাম্মাতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা রাহুল দেব বোস। বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ তিনি। এর আগে একাধিক ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি। শুধু সিরিয়ালে নন, কাজ করেছেন সিরিজ এবং সিনেমাতেও।


তবে জানেন কি টেলি পাড়ার একজনের সুবাদেই আজ ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় নাম হয়ে উঠতে পেরেছেন। কে বলুন তো? তিনি আর কেউ নয়, ‘রান্নাঘরের রানী’ সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।



সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ই রাহুলকে প্রথম কাজের সুযোগ করে দেয়। আর তারপর থেকে প্রতিটা মুহূর্ত সুদীপার পাশে থাকেন রাহুল।


আজ সঞ্চালিকা সুদীপার শুভ জন্মদিন। সুদীপার জন্মদিনে তার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে কৃতজ্ঞতা জানান রাহুল। ছবি পোস্ট করে রাহুল লেখেন, ‘আজ যদি তুমি আমাকে একজন হিরো হিসেবে দেখো, তাহলে সেটা একজনের উপর নির্ভর করে! সুদীপা দি আমাকে এমন একজন হিসেবে দেখেছিলেন যার হিরো হওয়ার সম্ভাবনা ছিল এবং তিনি আমাকে প্রথম সুযোগ দিয়েছিলেন! কিন্তু তা ছাড়া, সে আমার জীবনের এক অসাধারণ উপস্থিতি, সবসময় আমাকে উৎসাহিত করেছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাকে পথ দেখিয়েছে! শুভ জন্মদিন দিদি’।


'আপনার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ', মার্ক কার্নিকে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:১০:০১ : কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী এক্সে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, "কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার জয়লাভের জন্য @MarkJCarney এবং লিবারেল পার্টিকে অভিনন্দন। ভারত ও কানাডা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসনের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার এবং জনগণের মধ্যে প্রাণবন্ত সম্পর্কের দ্বারা আবদ্ধ। আমাদের অংশীদারিত্ব জোরদার করতে এবং আমাদের জনগণের জন্য আরও বেশি সুযোগ উন্মুক্ত করতে আপনার সাথে কাজ করার জন্য আমি উন্মুখ।"



মার্ক কার্নি কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, যিনি নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পোইলিভরকে পিছনে ফেলেছিলেন। এদিকে, তার নির্বাচনী প্রচারণার সময়, মার্ক কার্নি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন। ট্রাম্প বারবার কানাডাকে আমেরিকার সাথে একীভূত করার কথা বলেছিলেন, যার কার্নি তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন এবং তার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। জনসাধারণ তার অবস্থানের প্রশংসা করেছেন এবং বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে তাকে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন।




মার্ক জোসেফ কার্নি ১৬ মার্চ ১৯৬৫ সালে কানাডার ফোর্ট স্মিথে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার শৈশব কেটেছে এডমন্টনে। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। মার্ক কার্নি বিখ্যাত আর্থিক সংস্থা গোল্ডম্যান শ্যাক্সের সাথে একজন বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, টোকিও এবং টরন্টোর মতো বিশ্ব অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলিতে কাজ করে প্রচুর ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এর পরে, তিনি সরকারি চাকরির পথ বেছে নেন এবং ২০০৮ সালে তিনি ব্যাংক অফ কানাডার গভর্নর নিযুক্ত হন।

পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর সতর্কতা বৃদ্ধি, কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটন স্থান বন্ধ



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:১০:০১ : পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার কারণে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাশ্মীর উপত্যকার কিছু পর্যটন স্থান কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সংবেদনশীল এলাকায় অবস্থিত প্রায় ৫০টি পাবলিক পার্ক এবং উদ্যান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ভ্রমণকারী পর্যটকদের বিপদের সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে আধিকারিকরা কাশ্মীরে ৮৭টি পাবলিক পার্ক এবং ৪৮টি বাগান বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা বলেছেন যে নিরাপত্তা পর্যালোচনা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং আগামী দিনে তালিকায় আরও অনেক স্থান যুক্ত হতে পারে।


আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে বন্ধ পর্যটন স্থানগুলি কাশ্মীরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত। বিশেষ করে, গত ১০ বছরে খোলা কিছু নতুন স্থানও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে দুষ্পথ্রি, কোকেরনাগ, ডাকসুম, সিন্থান টপ, আছাবল, বঙ্গস ভ্যালি, মরগান টপ এবং তোষাময়দান।


এই বন্ধ পর্যটন স্থানগুলি সম্পর্কে আধিকারিকদের দ্বারা কোনও আনুষ্ঠানিক নির্দেশ জারি করা হয়নি। আপাতত, এই স্থানগুলিতে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনেক মুঘল উদ্যানের ক্ষেত্রে, এই স্থানগুলি পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পহেলগাম রিসোর্টের বৈসরান উপত্যকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২৬ জনের মৃত্যুর পর এই পর্যটন স্থানগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই পর্যটক। ২২ এপ্রিল তাদের সকলকেই গুলি করে খুন করা হয়।

নিহত ২৬ জনের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি নাগরিক। রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) প্রথমে এই হামলার দায় স্বীকার করলেও পরে তাদের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেয়। এই হামলার ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হামলার পর থেকে এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।

একদিকে, পহেলগামের ঘটনার পরও কিছু মানুষ জম্মু-কাশ্মীরে যাওয়ার জন্য আবেদন করছেন, অন্যদিকে, বিপুল সংখ্যক মানুষ এখানে যাওয়ার তাদের বর্তমান পরিকল্পনা স্থগিত করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে, এই পর্যটন স্থানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হলে সেখানকার পর্যটন খাতে প্রভাব পড়বে।

কানাডায় ফের ক্ষমতায় লিবারেল পার্টি! প্রধানমন্ত্রী থাকছেন মার্ক কার্নি



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৪:০১ : খালিস্তান সমর্থক তথা বিখ্যাত কানাডিয়ান নেতা জগমিত সিং বড় ধাক্কা খেয়েছেন। কানাডার সাধারণ নির্বাচনে জগমিতের এনডিপি দল শোচনীয় পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে। জগমিত নিজেও নির্বাচনে হেরে গেছেন। পরাজয়ের পর জগমিত তার পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।



কানাডার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, পুরো নির্বাচনে এনডিপি মাত্র ৭টি আসন জিতেছে। জগমিত তার নিজের আসনে তৃতীয় স্থানে পৌঁছেছেন, যার পরে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তির আলোচনাও শুরু হয়েছে।




প্রাথমিক ফলাফলের পর জগমিত কর্মীদের সাথে কথা বলেন। জগমিত বলেন, "আমি আন্দোলনকে দুর্বল হতে দেইনি, কিন্তু জনসাধারণ তা মেনে নেয়নি। আমি অবশ্যই হতাশ, কিন্তু হেরে যাইনি। আমি আরও চেষ্টা করব।"



জগমিত আবেগপ্রবণ হয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ২০২১ সালের নির্বাচনে জগমিতের দল ২৫টি আসন জিতেছিল। জগমিতের দল সরকারে কিংমেকারের ভূমিকায় ছিল।




শিখ সম্প্রদায়ের অন্তর্গত জগমিত সিং কানাডার বড় রাজনীতিবিদদের মধ্যে গণ্য। রাজনীতিতে যোগদানের আগে জগমিত আইন অনুশীলন করতেন। এই সময় তিনি খালিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।


জগমিতের বিরুদ্ধে খালিস্তান সমর্থকদের আইনি সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ভারত জগমিতকে নিষিদ্ধ করেছে। কানাডায় শিখ রাজনীতি উজ্জ্বল করার জন্য জগমিত খালিস্তান আন্দোলনের সাহায্য নেন।


কানাডায় শিখদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মর্যাদা রয়েছে। এখানে শিখদের মোট জনসংখ্যা ২.১ শতাংশ।



জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি আবার ক্ষমতায় আসছে। লিবারেল পার্টি ১৬৬টি আসন জিতছে বলে মনে হচ্ছে। কানাডায় সরকার গঠনের জন্য ১৭২ জন এমপির প্রয়োজন। লিবারেলরা গতবারের তুলনায় ৯টি আসন বেশি পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।


তবে এবার ট্রুডোর জায়গায় মার্ক কার্নি কানাডার প্রধানমন্ত্রী হবেন। বাস্তবে, লিবারেল পার্টির অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থায়, ট্রুডোর জায়গায় কার্নিকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়েছে।


অন্যদিকে, কনজারভেটিভ পার্টি প্রায় ১৪৫টি আসন জিতেছে। কনজারভেটিভ পার্টি আবারও ক্ষমতা থেকে সরে গেছে।

'আমরা পরমানু বোমা দিয়ে জবাব দেব', ভারতকে সরাসরি হুমকি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০১:০১ : পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন যে ভারত যেকোনও সময় আক্রমণ করতে পারে। তিনি বলেছেন যে পাকিস্তান সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং তার সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছে। তিনি বলেছেন যে যদি পাকিস্তানের অস্তিত্বের জন্য সরাসরি হুমকি থাকে, তাহলে তারা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।




গত এক সপ্তাহে খাজা আসিফ ভারতকে বেশ কয়েকবার যুদ্ধের সতর্ক করেছেন। কেবল তিনিই নন, পাকিস্তানের অন্যান্য নেতারাও ভারতকে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা অনেক বেড়েছে।



পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, "আমরা আমাদের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করেছি কারণ আমরা মনে করি যে আক্রমণ যেকোনও সময় ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যা আমরা নিয়েছি।" তিনি ভারতকে অভিযুক্ত করেছেন যে ভারতের পক্ষ থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য বাড়ছে এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সরকারকে জানিয়েছে যে ভারত আক্রমণ করতে পারে। তবে, তিনি বলেননি কেন তিনি মনে করেন যে আক্রমণটি নিকটবর্তী। মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে এবং যখনই মনে হবে দেশের অস্তিত্বের জন্য সরাসরি হুমকি, তখনই তারা তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে।



ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে রবিবার রাতের দিকে পাকিস্তান কোনও উস্কানি ছাড়াই গুলি চালিয়েছে। এই গুলিবর্ষণটি কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের অঞ্চলগুলিকে পৃথককারী ৭৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনে ঘটে।



সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে তারা এর জবাব দিয়েছে, তবে আর কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি এবং কারও আহত হওয়ার খবর নেই। একই সাথে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।




পাকিস্তানের মন্ত্রী হানিফ আব্বাসি ভারতকে হুমকি দিয়ে বলেছেন যে পাকিস্তানের কাছে ১৩০টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে এবং এগুলি সবই ভারতের জন্য রাখা হয়েছে।" আব্বাসি বলেছেন, "ভারত যদি পাকিস্তানের জল বন্ধ করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "আমরা যে গোরি, শাহিন এবং গজনভির মতো ক্ষেপণাস্ত্রগুলি তৈরি করেছি তা প্রদর্শনের জন্য নয়, বরং ভারতের জন্য রাখা হয়েছে। আমাদের ১৩০টি পারমাণবিক অস্ত্র কেবল প্রদর্শনের জন্য নয়। আপনি জানেন না যে আমরা পাকিস্তানের কোন অংশে সেগুলি রেখেছি।"

বিশ্বের এক অনন্য গ্রাম, যেখানে মানুষ এক দেশে খায় আর অন্য দেশে ঘুমোতে যায়



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩০:০১ : নেপাল এবং ভুটান ছাড়া, আপনি কি কখনও পাসপোর্ট এবং ভিসা ছাড়া অন্য কোনও দেশে যাওয়ার কথা ভেবেছেন? না। কিন্তু আপনি ভুল ভাবছেন। পৃথিবীতে এমন একটি গ্রাম আছে যেখানে মানুষ সহজেই পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়াই অন্যান্য দেশে ভ্রমণ করতে পারে। এখানে আশ্চর্যজনক বিষয় হল এই গ্রামের অর্ধেক ভারতে এবং অর্ধেক মায়ানমারে। শুধু তাই নয়, এখানকার মানুষের খামার এবং বাড়িঘরও বিভিন্ন দেশে। 



 বিশ্বের এই অনন্য গ্রামের নাম লংওয়া, যা মায়ানমারের সীমান্ত সংলগ্ন একমাত্র গ্রাম। এটি নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা থেকে ৩৮৯ কিলোমিটার দূরে উত্তর-পূর্ব দিকে মোন জেলায় অবস্থিত। এই গ্রামের সৌন্দর্য দেখার মতো। এই গ্রামটি মূলত বনের মাঝখানে অবস্থিত, যেখানে আদিবাসী সম্প্রদায় বাস করে। এর অর্ধেক ভারতে এবং অর্ধেক মায়ানমারে। আসলে, 1970-71 সালের মধ্যে, সীমান্তটি এই গ্রামের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল, তারপর থেকে এটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।




গ্রামটি দুটি ভাগে বিভক্ত হওয়ার কারণে, কিছু লোকের বাড়ির রান্নাঘর ভারতে এবং শোবার ঘর মায়ানমারে। এই কারণেই লোকেরা ভারতে খেতে আসে এবং ঘুমাতে মায়ানমারে যায়। গ্রামটি সীমান্তে থাকার কারণে, এখানকার লোকদের প্রযুক্তিগতভাবে দুই দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই, ভারতে ভ্রমণের জন্য তাদের পাসপোর্ট বা ভিসার প্রয়োজন হয় না। এই লোকেরা পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়াই দুই দেশে সহজেই ভ্রমণ করতে পারে।



এই গ্রামের বিশেষত্ব হল এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, যা দেখার পর মানুষ এর প্রতি পাগল হয়ে ওঠে। এখানে অনেক পর্যটন স্থান রয়েছে যেমন দোয়াং নদী, শিলাই হ্রদ, হংকং মার্কেট, নাগাল্যান্ড বিজ্ঞান কেন্দ্র ইত্যাদি। আপনি গাড়ি বা দুই চাকার গাড়িতে সহজেই এখানে পৌঁছাতে পারেন।

টানা পাঁচ দিন নিয়ন্ত্রণ রেখায় চলল পাকিস্তানের গুলি, মোক্ষম জবাব ভারতেরও



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪২:০১ : ২৮-২৯ এপ্রিল রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) জুড়ে বিনা উস্কানিতে ছোট অস্ত্রের গুলিবর্ষণ করে। এতে কুপওয়ারা এবং বারামুল্লা জেলার পাশাপাশি আখনুর সেক্টর লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এটি ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর টানা গুলিবর্ষণের পঞ্চম দিন।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, ২০২৫ সালের ২৮-২৯ এপ্রিল রাতে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে কুপওয়ারা এবং বারামুল্লা জেলার বিপরীত এলাকায়, পাশাপাশি আখনুর সেক্টরে বিনা উস্কানিতে ছোট অস্ত্রের গুলিবর্ষণ করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই উস্কানির কার্যকর জবাব দেয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে।

২২ এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর, নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে। এর ফলে নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এর আগে, ২৬-২৭ এপ্রিল রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলি চালানোর জবাব দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। এতে তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বেশ কয়েকটি এলাকা লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সোমবার দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করেন এবং জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।

তাদের ৪০ মিনিটের বৈঠকটি নিয়ন্ত্রণ রেখায় বেশ কয়েকটি ভারতীয় পোস্টে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলি চালানোর কয়েক ঘন্টা পরেই হয়েছিল। পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায়, ভারত বেশ কয়েকটি কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদের জল চুক্তি স্থগিত করা এবং আটারিতে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া।

"সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করে এমন একটি দুষ্কৃতী দেশ", জাতিসংঘে পাকিস্তানকে নিশানা ভারতের



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৫:০১ : জাতিসংঘে ভারতের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি (ডিপিআর) যোজনা প্যাটেল পাকিস্তানকে তীব্রভাবে তিরস্কার করেছেন। তিনি বলেছেন যে পাকিস্তান একটি 'দুষ্কৃতী দেশ' যারা সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেয় এবং সমগ্র অঞ্চলে অশান্তি ছড়িয়ে দেয়।

যোজনা প্যাটেল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের কথাও উল্লেখ করেছেন, যেখানে তিনি স্বীকার করেছেন যে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করা হয়েছে। প্যাটেল বলেছেন যে যখন মন্ত্রী নিজেই এটি স্বীকার করছেন, তখন আর কিছু বলার দরকার নেই। এটি পাকিস্তান নিজেকে প্রকাশ করছে।

জাতিসংঘের সন্ত্রাসবিরোধী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে যোজনা প্যাটেল বলেন, "পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্বীকার করেছেন যে পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দেয় এবং তাদের অর্থও দেয়। এটি স্পষ্ট করে যে পাকিস্তান বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি দেশ। এখন বিশ্বের এই হুমকি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া উচিত নয়।"

২২ এপ্রিল জাতিসংঘে যোজানা প্যাটেল পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি উত্থাপন করেন, যেখানে ২৬ জন নিহত হন। তিনি বলেন যে ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর এই হামলাটি ভারতে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা, যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে।

তিনি বলেন, "ভারত দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের শিকার এবং পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন যে সন্ত্রাসীদের তার দেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এটি নতুন কিছু নয়, পাকিস্তান আগেও এটি করে আসছে এবং আজও করছে।"

জাতিসংঘের সভায়, পহেলগাম হামলার পর ভারতকে সমর্থন করার জন্য একটি দেশের প্রতিনিধিরা এই প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করেছে এবং ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে, যোজানা প্যাটেল জাতিসংঘ এবং অন্যান্য দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন যে ভারত সন্ত্রাসবাদের শিকারদের কখনও ভুলবে না এবং তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সম্প্রতি স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন যে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন এবং সন্ত্রাসীদের অর্থায়নের পাকিস্তানের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কথোপকথনের সময় তিনি বলেন, "আমরা গত ৩০ বছর ধরে আমেরিকার জন্য এই নোংরা কাজ করে আসছি।" ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে খাজা আসিফ আরও বলেন যে লস্কর-ই-তৈয়বা এখন পাকিস্তানে শেষ। তিনি স্বীকার করেছেন যে আগে এই সন্ত্রাসী সংগঠনের পাকিস্তানের সাথে কিছু যোগাযোগ ছিল, কিন্তু এখন সেই সংগঠনটি আর নেই।

অক্ষয় তৃতীয়ায় ঝাড়ুর নিচে রাখুন এই একটি জিনিস, রাতারাতি বদলে যাবে ভাগ্য



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩০:০২ : অক্ষয় তৃতীয়া বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে পালিত হয়। অক্ষয় তৃতীয়াকে গ্রীষ্মের ধনতেরাসও বলা হয়। বৈশাখের মতো কোনও মাস নেই, সত্যযুগের মতো কোনও যুগ নেই, বেদের মতো কোনও শাস্ত্র নেই এবং গঙ্গার মতো কোনও তীর্থযাত্রা নেই... ঠিক তেমনই অক্ষয় তৃতীয়ার মতো আর কোনও তিথি নেই। অক্ষয় তৃতীয়াকে স্বয়ংসিদ্ধ মুহুর্ত বলা হয়, এই দিনে আপনি কোনও সন্দেহ ছাড়াই যেকোনও শুভ কাজ করতে পারেন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়ার রাতে ঝাড়ুর সাহায্যে আপনি দেবী লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে পারেন। এই প্রতিকারের মাধ্যমে আপনি আপনার সমস্ত কাজও সম্পন্ন করতে পারেন। আসুন জেনে নিন অক্ষয় তৃতীয়ার রাতে ঝাড়ুর কোন প্রতিকার আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ঘরে রাখা ঝাড়ু দেবী লক্ষ্মীর সাথে সম্পর্কিত এবং ঝাড়ুর সাথে সম্পর্কিত অনেক শুভ লক্ষণ রয়েছে। ঝাড়ু দারিদ্র্য, ঝগড়া সম্পর্কিত অনেক সমস্যা ঘর থেকে দূরে রাখে। এর সাথে, ঝাড়ু বাড়ির সদস্যদের থেকে অনেক ধরণের রোগ এবং দুঃখকেও দূরে রাখে। যদিও ঝাড়ুর অনেক ব্যবহার আছে, কিন্তু অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে করা এই মহান প্রতিকার আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। এই প্রতিকার আপনার অর্থ সম্পর্কিত অনেক সমস্যা দূর করতে পারে এবং আপনার ভাগ্যকেও উজ্জ্বল করতে পারে।

হোলির পরে শীতলা মাতার পূজা করা হয় এবং আপনি অবশ্যই দেখেছেন যে তাঁর এক হাতে ঝাড়ু থাকে। তাই, এই প্রতিকারটি করার সময়, কিছু জিনিসের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। যদিও কোনও দিন সূর্যাস্তের পরে ঝাড়ু দেওয়া উচিত নয়, তবে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে ভুল করেও এমন ভুল করা উচিত নয়। বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে দেবী লক্ষ্মী ক্রোধিত হন এবং ঘরে দারিদ্র্যের বাস হয়। এছাড়াও, সূর্যাস্তের পরে ঘরের আবর্জনা ফেলা উচিত নয়।

অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে ঝাড়ু কিনতে হবে এবং এই দিনে পুরানো ঝাড়ু সরিয়ে নতুন ঝাড়ু ব্যবহার করতে হবে। এই তিথিকে ঝাড়ু পরিবর্তনের জন্য সেরা তিথি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও, মনে রাখবেন যে এই শুভ দিনে ঝাড়ু খোলা আকাশের নীচে রাখবেন না। অনেকেই ছাদে বা বারান্দায় ঝাড়ু রাখেন, যা ভুল। ঝাড়ু খোলা জায়গায় রাখলে জীবনে ঝামেলা বাড়ে, তাই এটি করা এড়িয়ে চলুন। ঝাড়ু রাখার সবচেয়ে ভালো দিক হল উত্তর-পশ্চিম দিক।

অক্ষয় তৃতীয়ার দিন, ঝাড়ুর নীচে একটি রূপার মুদ্রা রাখুন এবং রাতে ঘুমানোর আগে এই প্রতিকারটি করুন। যদি আপনার কাছে রূপার মুদ্রা না থাকে, তাহলে আপনি এক টাকার মুদ্রাও রাখতে পারেন। রূপার মুদ্রা বা এক টাকা রাখার আগে, অক্ষয় তৃতীয়ার সকালে এটি ভালভাবে পরিষ্কার করে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিন। এর পরে, দেবী লক্ষ্মীর কাছে রাখুন, তারপর রাতে ঝাড়ুর নীচে রাখুন। এর পরে, পরের দিন অর্থাৎ ৩০শে এপ্রিল, অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসব, তাই ১ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে, টাকার জায়গায় রূপার মুদ্রা বা এক টাকা রাখুন। পরবর্তী অক্ষয় তৃতীয়া পর্যন্ত রূপার মুদ্রা বা এক টাকা সেখানেই থাকতে দিন।

পিরিয়ডের সময় আচার ধরলে কি সত্যিই নষ্ট হয়!



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩০:০১ : সমাজে এমন অনেক কথা আছে যা শুনলে সত্য বলে বিশ্বাস করা হয়, কিন্তু বাস্তবে এর কোনও দৃঢ় ভিত্তি নেই। এর মধ্যে একটি হল, মেয়েদের পিরিয়ডের সময় আচার স্পর্শ করা উচিত নয়, অন্যথায় আচার নষ্ট হয়ে যাবে। সম্প্রতি, সুপরিচিত প্রেরণাদায়ক বক্তা এবং গল্পকার জয়া কিশোরী এই বিষয়ে তার মতামত দিয়েছেন, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক আলোচিত হয়েছিল। জয়া কিশোরীর মতে, এখন সময় এসেছে এই পুরানো ধারণাগুলি নিয়ে আবার ভাবার এবং মহিলাদের প্রতি ছড়িয়ে থাকা ভয় এবং ভুল ধারণা দূর করার।



এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের উত্তরে জয়া কিশোরী বলেন যে আচার স্পর্শ করলে আচার নষ্ট হওয়ার আসলে কোনও শক্তিশালী কারণ নেই। তিনি বলেন, আগের সময়ে, যখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনও বিশেষ ব্যবস্থা ছিল না, তখন মহিলাদের কিছু সময়ের জন্য রান্নাঘর থেকে দূরে রাখা হত। কিন্তু আজকের সময়ে, যখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা রয়েছে, তখনও এমন কিছু চলছে, যার কোনও দৃঢ় ভিত্তি অবশিষ্ট নেই।



জয়া কিশোরী স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে অনেক সময় মেয়েরা ভয় পেত যে যদি তারা আচার স্পর্শ করে, তাহলে পুরো পাত্রের আচার নষ্ট হয়ে যাবে। এর ফলে মেয়েদের মনে ভয় তৈরি হয়। আসলে, এটি ছিল তাদের ভয় দেখানোর একটি উপায় যাতে তারা এমন কিছু না করে যা খাবারের জিনিসপত্র নোংরা করে, কারণ আগে তেমন কোনও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ছিল না এবং চিকিৎসার সুযোগও ছিল না।



তিনি আরও বলেন যে আগে প্যাড এবং ট্যাম্পনের মতো জিনিস ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে মহিলাদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হত। প্রাচীনকালে, পশুদের কাছ থেকেও বিপদ ছিল, কারণ রক্তের গন্ধে প্রাণীরা আকৃষ্ট হতে পারত। এমন পরিস্থিতিতে মহিলাদের ঘরের এক কোণে বা আলাদা ঘরে রাখা হত, যাতে তারা সুরক্ষিত থাকতে পারে।



জয়া কিশোরী আরও বলেন যে সময়ের সাথে সাথে এই ঐতিহ্যগুলিকে এতটাই অতিরঞ্জিত করা হয়েছিল যে মাসিকের সময় মহিলাদের 'অপবিত্র' বলে মনে করা শুরু হয়েছিল। কিন্তু যদি আমরা সঠিকভাবে চিন্তা করি, তাহলে দেখা যাবে যে এটি ছিল সেই সময়ের চাহিদা অনুসারে নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত, যা পরবর্তীতে ভুল উপায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।