ঢাকা, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:১০:০৯: জামিন পেলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। বুধবার বাংলাদেশ হাইকোর্ট ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দিয়েছে। গত বছর ২৫ নভেম্বরে বাংলাদেশে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর গ্রেফতারের পর অনেক বিতর্ক তৈরি হয়, যা ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও উত্তেজনা তৈরি করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মতো গুরুতর অভিযোগ আনে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। এই অভিযোগগুলিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও গুরুত্বের সাথে নিয়েছে।
বুধবার শুনানি শেষে বাংলাদেশ হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দেন। তাঁর আইনজীবী প্রলাদ দেব নাথ বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন যে, তিনি আশা করেন হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের পর চিন্ময় দাসকে জেল থেকে মুক্ত করে দেওয়া হবে, যদি না সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আদেশ স্থগিত করে। চিন্ময় দাসের আরেক আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় দাস কোনও বিচার ছাড়াই কারাগারে ছিলেন এবং সেখানে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে।
উল্লেখ্য, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে অনেক বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ঢাকা পুলিশের বিশেষ শাখা তাকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে হিন্দু সমাবেশে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে।
তবে বাংলাদেশ সরকার বলছে যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সরকার বলছে যে, স্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, "এই ধরণের ভিত্তিহীন অভিযোগ কেবল সত্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে না বরং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার সম্পর্কেরও পরিপন্থী।"
গত বছর আগস্টে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপরেই সেখানে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ব্যাপক সহিংসতার মুখোমুখি হয়। হাসিনা সরকার উৎখাতের পর থেকে দেশের ৫০টিরও বেশি জেলায় তাঁর বিরুদ্ধে শত শত হামলার ঘটনা ঘটেছে। চিন্ময় দাস এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী করেছিলেন।
No comments:
Post a Comment