Wednesday, April 23, 2025

জঙ্গি হামলার পরে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা ট্রাম্পের, তীব্র ভর্ৎসনা পুতিনের



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৯:০১ : জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা কেবল ভারতকেই নয়, সমগ্র বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। এই হামলায় অনেক নিরীহ পর্যটক নির্মমভাবে নিহত হন। এই হামলায় আরও অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর, ভারত এখন বড় কিছু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হামলার পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মীরে পৌঁছেছেন। ইতিমধ্যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে একটি ফোনালাপ হয়েছে।



রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার শিকারদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্প এই হামলার নিন্দা করে বলেন যে, "সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমেরিকা ভারতের পাশে রয়েছে এবং সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত।"



প্রধানমন্ত্রী মোদী রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পকে তার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, "ভারত নিশ্চিত করবে যে এই কাপুরুষোচিত ও জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার অপরাধী এবং সমর্থকদের বিচারের আওতায় আনা হবে।"




এই আহ্বান ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমেরিকার সহানুভূতি এবং সমর্থন ভারতকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন প্রদান করে। ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত অংশীদারিত্বের কথা বিবেচনা করে, এই কথোপকথন দুই দেশের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভারতের বিরুদ্ধে এই সন্ত্রাসী হামলার ট্রাম্পের নিন্দা ভারতকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জোরালোভাবে আওয়াজ তোলার সুযোগ করে দেবে।




রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন পহেলগাম হামলার প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, এটিকে অমানবিক অপরাধ বলে অভিহিত করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সাথে সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইজরায়েলও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে, "ইজরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত বিশ্বব্যাপী সমর্থন পাচ্ছে, যা এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সংহতির একটি উদাহরণ।"



হামলার পর, ভারত সরকার নিরাপত্তা বাহিনীকে ঘটনাস্থলে আরও সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দেয় এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একটি যৌথ অভিযান শুরু করে। এই অভিযান নিরাপত্তা বাহিনীর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে পরিণত হয়েছে যাতে আক্রমণকারীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেপ্তার করা যায় এবং এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা যায়।


No comments:

Post a Comment