মালদা, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩০:০০: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়মিত খাবার দেওয়া হয় না। কেন্দ্রে আসেন না কর্মী। এমনকি ফোনে অভিযোগ জানালে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার খাবার না পেয়ে থালা, বাটি হাতে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলা ও শিশুরা। ঘটনা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বারোঘরিয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের কর্মী দুলালী খাতুনের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, এদিন খাবারের দাবীতে মহিলারা বিক্ষোভ দেখালে সেই বাড়ির মালিক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর পক্ষ নেন এবং বিক্ষোভকারী মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি রয়েছে। কেন্দ্রে সরকারি সহায়িকা তথা রাঁধুনি নেই। স্থানীয় এক মহিলাকে রেখে রান্নার কাজ করানো হয়। অভিযোগ, ওই কেন্দ্রে নিয়মিত খাবার দেওয়া হয় না। বিভিন্ন অজুহাতে কেন্দ্র ছুটি রাখেন কর্মী। প্রায় ১৫ দিন ধরে কেন্দ্রে খাবার বিলি বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রে মাঝেমধ্যে যা খিচুড়ি দেওয়া হয় তা খাবার অযোগ্য। কোনওদিন ভাত দেওয়া হয় না। মাসে এক থেকে দু'দিন ডিম দেওয়া হয়, তাও আবার পচা দুর্গন্ধযুক্ত।
স্থানীয় মহিলা রুবা খাতুন, মালেকা বিবি, বেলি খাতুন ও কেমলি রায়রা বলেন, 'কেন্দ্রের কর্মী কোনওদিন আসেন না। নিজের ইচ্ছে মতো কেন্দ্র চালান। স্থানীয় এক বেসরকারি মহিলাকে রেখেছেন রান্নার কাজে। মাসের বেশিদিনই কেন্দ্র বন্ধ থাকে। শিশুরা গিয়েও খাবার না পেয়ে ফিরে আসে। ফোন করে কর্মীকে অভিযোগ জানালে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। কেন্দ্রের কর্মী ও সেন্টারের জায়গা পরিবর্তনের দাবি করছি।'
এই বিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী দুলালী খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের শিশু কল্যাণ প্রকল্প আধিকারিক (সিডিপিও) আব্দুল সাত্তার ফোনে জানান, ওই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে। এবারে সব খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment