রোজ রাতে বালিশের নীচে রেখে ঘুমান এগুলো! মিটে যাবে জীবনের অনেক সমস্যা - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, April 21, 2025

রোজ রাতে বালিশের নীচে রেখে ঘুমান এগুলো! মিটে যাবে জীবনের অনেক সমস্যা



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩০:০১ : ঘুম কেবল আমাদের শরীরকে বিশ্রাম দেয় না বরং মানসিক শান্তি এবং শক্তির পুনরুজ্জীবনেরও একটি মাধ্যম। আমাদের ঘুমের মান অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে - বিছানার ব্যবস্থা, ঘুমের সময়, পরিবেশ এমনকি বালিশের নীচে রাখা জিনিসপত্রও।


ভারতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বালিশের নিচে কিছু বিশেষ জিনিস রাখার একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই জিনিসগুলি নেতিবাচক শক্তি দূর করে, খারাপ স্বপ্ন প্রতিরোধ করে এবং সম্পদ বৃদ্ধি করে। 



১. ধর্মীয় গ্রন্থ বা মন্ত্র সম্বলিত কাগজ

অনেকেই বালিশের নিচে ধর্মীয় বই, যেমন ভগবদ গীতা, রামায়ণের কিছু অংশ অথবা মন্ত্র লেখা কাগজ রাখেন।

সুবিধা:

মানসিক শান্তি প্রদান করে

নেতিবাচক শক্তি চলে যায়

ঘুমের মধ্যে দেব-দেবীর আশীর্বাদ অনুভব করা যায়

ভয় এবং দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি দেয়

পরামর্শ: "ওম নমঃ শিবায়" অথবা "ওম হ্রিম ক্লীম শ্রীম" এর মতো বীজ মন্ত্র লিখে কাগজটি একটি লাল কাপড়ে বেঁধে বালিশের নীচে রাখুন।


২. লবঙ্গ এবং এলাচ

আয়ুর্বেদ এবং বাস্তুশাস্ত্র উভয় ক্ষেত্রেই লবঙ্গ এবং এলাচকে শুভ এবং ঔষধি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সুবিধা:

মন শান্ত হয়ে যায়

নেতিবাচক শক্তি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে

রাতে আরও গভীর ঘুম পান

প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে মাধুর্য বজায় থাকে

পরামর্শ: একটি ছোট বাক্সে ২টি লবঙ্গ এবং ১টি সবুজ এলাচ রেখে বালিশের নিচে রাখুন। প্রতি ৭ দিন অন্তর এগুলো পরিবর্তন করুন।



৩. লেবু বা ফিটকিরির টুকরো

তন্ত্রশাস্ত্রে, লেবু এবং ফিটকিরিকে খারাপ দৃষ্টি এবং নেতিবাচক শক্তি দূর করার জন্য বিবেচনা করা হয়।

সুবিধা:

খারাপ স্বপ্ন থেকে মুক্তি

জাদুবিদ্যা থেকে সুরক্ষা

ঘুমের মান উন্নত

মন এবং শরীর উভয়ই হালকা বোধ করে

পরামর্শ: বালিশের নিচে একটি লেবু অথবা একটি ছোট ফিটকিরি রেখে ঘুমান। পরের দিন সকালে, এটি প্রবাহমান জলে প্রবাহিত করুন।


৪. তামার মুদ্রা বা রূপার মুদ্রা

সম্পদ ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত তামা ও রূপা শক্তির ভারসাম্য রক্ষার জন্য কাজ করে।

সুবিধা:

আর্থিক সমস্যা হ্রাস

লক্ষ্মী আপনাকে আশীর্বাদ দেবে।

আত্মবিশ্বাস এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

ঘরের পরিবেশে পবিত্রতা আসে

পরামর্শ: একটি পুরনো তামা বা রূপার মুদ্রা নিন, এটি একটি হলুদ বা সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে বালিশের নীচে রাখুন।


৫. কর্পূর

কর্পূর পূজায় ব্যবহার করা হয়, তবে এটি ঘুম এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

সুবিধা:

নেতিবাচক শক্তির ধ্বংস

উদ্বেগ এবং চাপ উপশম

শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি

পরিবেশ শুদ্ধ হয়

পরামর্শ: বালিশের নিচে কর্পূরের একটি ছোট টুকরো রাখুন। যদি গন্ধ তীব্র মনে হয় তাহলে এটি একটি কাপড়ে মুড়িয়ে নিন।


৬. রসুনের এক কোয়া

প্রাচীন বিশ্বাস অনুসারে, রসুনের শক্তিশালী রোগ-নাশক এবং শক্তি প্রদানকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

সুবিধা:

খারাপ স্বপ্ন থেকে সুরক্ষা

পরিবেশে নেতিবাচকতা রোধ করে

অজানা ভয় থেকে মুক্তি

বিশেষ করে শিশুদের জন্য উপকারী

পরামর্শ: একটি খোসা ছাড়ানো রসুনের কোয়া একটি সাদা রুমালে বেঁধে বালিশের নীচে রাখুন।


৭. নীল কলমে লেখা একটি ভালো বাক্য

যদি আপনার ক্রমাগত নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থাকে বা আপনার মন অস্থির থাকে, তাহলে এই পদ্ধতিটি মানসিক দৃষ্টিকোণ থেকেও কার্যকর।

সুবিধা:

নিজের সাথে কথা বলার ক্ষমতা উন্নত করুন

অবচেতন মনে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চার করা

জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত হয়

পরামর্শ: সাদা কাগজে নীল কালিতে লিখুন - "আমি শান্ত, নিরাপদ এবং খুশি" এবং বালিশের নীচে রাখুন।


8. শিশুদের জন্য কাজল টিকা বা নজর বাট্টু

ছোট বাচ্চারা খারাপ নজরের ভয় পায়, তাই তাদের বালিশের নিচে নজর বাট্টু বা কাজল তিলক রাখা হয়।

সুবিধা:

শিশুর ঘুম নিরাপদ রাখে

ঘন ঘন ঘুম থেকে ওঠা বা ভয় পাওয়ার কোনও সমস্যা নেই।

বাবা-মা মানসিক ভারসাম্য ফিরে পান

পরামর্শ: কাজলের বাক্স বা নজর বাট্টু একটি কালো কাপড়ে মুড়িয়ে শিশুর বালিশের নীচে রাখুন।


৯. স্ফটিক পাথর বা রুদ্রাক্ষ

জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে, রোজ কোয়ার্টজ, ব্ল্যাক টুরমালাইন বা রুদ্রাক্ষের মতো কিছু স্ফটিক মানসিক ভারসাম্য প্রদান করে।

সুবিধা:

নেতিবাচক চিন্তা থেকে মুক্তি

ঘনত্ব এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি

মনোযোগ এবং ধ্যানে সহায়তা করে

পরামর্শ: ধূপ ও প্রদীপ জ্বালানোর পর, বালিশের নিচে খাঁটি রুদ্রাক্ষ বা স্ফটিক রাখুন।


১০. প্রিয় বই বা ডায়েরি

এটি একটি আধুনিক পরামর্শ কিন্তু কার্যকর। যারা বই ভালোবাসেন, তাদের জন্য এটি মানসিক স্বস্তির একটি উপায়।

সুবিধা:

চিন্তাভাবনায় স্থিতিশীলতা

ইতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে ঘুমান

রাতে ভালো স্বপ্ন দেখবেন

পরামর্শ: আপনার বালিশের নিচে একটি অনুপ্রেরণামূলক বা ইতিবাচক বই রাখুন অথবা ভালো জিনিস লেখা একটি ডায়েরি রাখুন।


বালিশের নিচে রাখা জিনিসপত্র কেবল একটি ঐতিহ্য নয় বরং আমাদের অবচেতন মনে গভীর প্রভাব ফেলে। আপনি ধর্মীয়, জ্যোতিষশাস্ত্রীয়, বৈজ্ঞানিক বা মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখুন না কেন - এই জিনিসগুলির সঠিক নির্বাচন আপনার ঘুমের মান এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।



বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad