লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১০ মে ২০২৫: প্রতিটি মেয়েই চায় তার মুখ উজ্জ্বল এবং ত্রুটিহীন দেখাক। এর জন্য, কখনও কখনও তারা রাসায়নিকযুক্ত সৌন্দর্য পণ্যের সাহায্য নেয়, আবার কখনও কখনও তারা ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করেন। কিন্তু যখন মুখের অবাঞ্ছিত লোমের কথা আসে, তখন তা সৌন্দর্যকে ম্লান করে দেয়। এগুলো থেকে মুক্তি পেতে পার্লারে যাওয়া কেবল ব্যয়বহুলই নয় বরং বেদনাদায়কও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, ঘরোয়া প্রতিকার কেবল কার্যকরই নয়, নিরাপদও। এগুলো শুধু মুখের লোম দূর করে না, ত্বকের উন্নতিতেও সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই এমন ৪টি সহজ ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে।
মুখের লোম দূর করার প্রাকৃতিক উপায়-
বেসন এবং হলুদের প্যাক:
বেসন এবং হলুদের ফেসপ্যাক ত্বকের যত্নের একটি ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি, যা ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে এবং পাতলা করে। সেইসঙ্গে ধীরে ধীরে অবাঞ্ছিত লোম দূর করে। সপ্তাহে ২-৩ বার প্রয়োগ করলে এর প্রভাব দেখা দিতে শুরু করে।
লেবু এবং মধু:
লেবুতে ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং মধুতে ময়েশ্চারাইজিং ক্ষমতা রয়েছে। একসাথে, এই দুটিই চুল হালকা করে এবং ত্বককে নরম করে। সপ্তাহে দু'বার এই মিশ্রণটি মুখে ব্যবহার করলে, অবাঞ্ছিত লোম ধীরে ধীরে চলে যাবে।
ডিম, চিনি এবং কর্ন ফ্লাওয়ার মাস্ক:
ডিমের সাদা অংশ, চিনি এবং কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে মুখে লাগান এবং শুকিয়ে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে ত্বক থেকে মুছে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে, মুখ ধোয়ার পর এটি সহজেই দূর হয়ে যাবে। এই মাস্কটি শুকিয়ে গেলে খোসা ছাড়িয়ে যায়, যার কারণে চুল গোড়া থেকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু প্রথমে একটি প্যাচ টেস্ট করতে ভুলবেন না।
কমলার খোসার গুঁড়ো:
শুকনো কমলার খোসা পিষে গুঁড়ো করে নিন এবং গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এটি মুখে লাগান এবং ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে শুধু লোমই দূর হবে না, ত্বকও সতেজ ও উজ্জ্বল দেখাবে।
এই সহজ ঘরোয়া প্রতিকারগুলির সাহায্যে, আপনি আপনার মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারেন এবং যেকোনও ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে পারেন। তবে ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করতে ভুলবেন না।
No comments:
Post a Comment