লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৫ মে ২০২৫: আমাদের অনেকের রান্নাঘরে ই সাদা তিল থাকে। এটি কেবল স্বাদ এবং সাজসজ্জার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং স্বাস্থ্যের জন্যও আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। এগুলো বিশেষ করে শীতকালে খাওয়া হয়, তবে এগুলো সারা বছর ধরে খাওয়া উপকারী হতে পারে। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ সাদা তিল শরীরকে ভেতর থেকে মজবুত করে এবং অনেক রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এমনকি আয়ুর্বেদেও, সাদা তিলকে উর্জা এবং শক্তি বর্ধক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই ছোট বীজগুলি কেবল শরীরকে পুষ্টি জোগায় না বরং ত্বক, চুল, হাড় এবং হজমের জন্যও খুবই উপকারী। আসুন জেনে নিই সাদা তিল খাওয়ার প্রধান স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো।
সাদা তিল খাওয়ার ৬টি বড় উপকারিতা --
হাড় মজবুত করে
সাদা তিলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং জিঙ্ক থাকে, যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে। বিশেষ করে মহিলা এবং বয়স্কদের জন্য, এটি একটি প্রাকৃতিক সম্পূরক হিসেবে কাজ করে।
হৃদরোগের জন্য উপকারী
তিলের বীজে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর চর্বি, বিশেষ করে মনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়। এটি হৃদপিণ্ডের জন্য একটি প্রাকৃতিক টনিক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে
সাদা তিলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায়, যা ত্বককে পুষ্টি জোগাতে এবং বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং উজ্জ্বলতা আনতে সাহায্য করে। ত্বকে তিলের তেল লাগালেও দারুণ উপকার পাওয়া যায়।
হজমশক্তি উন্নত করে
তিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। এটি অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং ক্ষিদে বাড়ায়। গুড়ের সাথে তিল খেলে পেটের সমস্যা অনেকাংশে কমে।
হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক
সাদা তিলের বীজে লিগনান নামক একটি যৌগ পাওয়া যায়, যা মহিলাদের মধ্যে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি মাসিকের অনিয়ম, মেজাজের পরিবর্তন এবং মেনোপজের লক্ষণগুলি কমাতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে, এটি একটি প্রাকৃতিক হরমোন নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।
শক্তি এবং স্ট্যামিনা বৃদ্ধি করে
সাদা তিলে স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন এবং আয়রনের চমৎকার সংমিশ্রণ থাকে, যা দীর্ঘ সময় ধরে শরীরকে শক্তি সরবরাহ করে। এটি ক্লান্তি কমায় এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা উন্নত করে। তিলের লাড্ডু বা তিলের গুড়ের চিক্কির মতো ঐতিহ্যবাহী খাবার শক্তি বর্ধক হিসেবে কাজ করে।
বি.দ্র: এই প্রবন্ধে প্রদত্ত বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও পরামর্শ বাস্তবায়নের আগে, অনুগ্রহ করে একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
No comments:
Post a Comment