Saturday, May 31, 2025

মিঠিঝোরায় রাই-এর পরিবর্তে এন্ট্রি নিচ্ছে এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী

 


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩১ মে :  জি-বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’। এই ধারাবাহিক এখনি বন্ধ হছে না বরং নতুন মোড় আসছে গল্পে। বহু অপেক্ষার পর কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় রাই। তবে খুশির মুহূর্তে রাই-অনির্বাণের জীবনে বিপদ নেমে আসতে চলেছে।


সৃজিত মুখার্জির সিনেমায় অভিনয় করছেন ছোটপর্দার রাই ওরফে অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি। খুব শীঘ্রই শুরু হবে সিনেমার শুটিং তাই সিরিয়ালে সময় দেওয়া সম্ভব নয়, ধারাবাহিক মিঠিঝোরা থেকে কিছু সময়ের জন্য বিরতি নিচ্ছেন আরাত্রিকা, এমনটাই শোনা যাচ্ছিল অন্দর মহলে।


 সৃজিত রায়ের নতুন সিনেমায় সুযোগ পেয়েছেন রাই ওরফে অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি। বড়পর্দায় কাজের জন্য কিছু সময় ধারাবাহিকে সেভাবে তাকে দেখা যাবে। তাই গল্পে নতুন নায়িকা আনা হচ্ছে গল্পে নতুন টুইস্ট আনতে।


মিঠিঝোরা ধারাবাহিকে অনির্বাণের বান্ধবী চরিত্রে এবার এন্ট্রি নিতে চলেছেন অভিনেত্রী দেবপর্ণা চক্রবর্তী। যিনি ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ। একাধিক ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। তাকে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল উড়ান ধারাবাহিকে।


রাই আর অনির্বাণের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে হাজির হচ্ছে তার। রাইয়ের সন্তানের উপর অধিকার খাটাবে সে জোর করেই। অনির্বাণের মায়ের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক। এবার দেখা যাক রাই আর অনির্বাণের মাঝে কোন ঝড় আনতে চলেছে নতুন চরিত্র।

ইউক্রেনের পর এবার এখানে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রুশ, সতর্কতা জারি আমেরিকার



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩১ মে ২০২৫, ২০:২৫:০১ : ইউক্রেনের পর, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এখন পরবর্তী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে, রিপোর্ট অনুসারে, রাশিয়া ২৭ মে থেকে বাল্টিক সাগরে একটি বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এই মহড়ায় ২০ টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ, নৌকা এবং সহায়ক জাহাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রায় ৩,০০০ সৈন্য, ২৫টি বিমান এবং হেলিকপ্টার এই মহড়ার অংশ। এবার রাশিয়ান নৌবাহিনী মনুষ্যবিহীন ড্রোন (UAV) এবং নৌকা মোকাবেলার কৌশল নিয়ে কাজ করছে।

এদিকে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সতর্ক করেছে যে রাশিয়া শীঘ্রই সুওয়ালকি করিডোরকে তার পরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে। সংস্থার মতে, যদি রাশিয়া ইউক্রেনে বড় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়, তাহলে মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে বা কৌশলগত সুবিধা অর্জনের জন্য তারা এই করিডোরে আক্রমণ করতে পারে।

মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, জার্মানির ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের সাম্প্রতিক ঘোষণা রাশিয়ার ক্রোধ এবং কৌশল উভয়কেই আরও তীব্র করেছে। এই কারণেই সুওয়ালকি করিডোরে এখন সতর্কতার ঘন্টা বাজছে। সুওয়ালকি করিডোর পোল্যান্ড এবং লিথুয়ানিয়ার মধ্যে অবস্থিত একটি পাতলা ভূমি। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৫ ​​কিলোমিটার। এই স্ট্রিপটি রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ অঞ্চল এবং বেলারুশের সাথে সংযোগকারী সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত স্থলপথ।


এই করিডোরটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বাল্টিক দেশ এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়াকে ইউরোপের বাকি অংশ এবং ন্যাটো দেশগুলির সাথে সংযুক্ত করার একমাত্র স্থলপথ। যদি রাশিয়া এবং বেলারুশ একসাথে এটি দখল করে, তাহলে ন্যাটোর বাকি অংশের সাথে এই বাল্টিক দেশগুলির স্থল যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, কেবল এই দেশগুলির নিরাপত্তাই হুমকির মুখে পড়বে না, বরং ন্যাটোও একটি বড় কৌশলগত সংকটের মুখোমুখি হতে পারে।

বয়স্ক চরিত্রের অফার পান অভিনেত্রী,‘এখনও আমার এই চরিত্রে অভিনয়ের বয়স আসেনি’, ক্ষোভ প্রকাশ অভিনেত্রী স্নেহা



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩১ মে :  অভিনেত্রী স্নেহা চট্টোপাধ্যায় আজ বিনোদন জগতের এক জনপ্রিয় মুখ। একটা সময় শুধুমাত্র ছোটপর্দায় দেখা যেত তাকে। কিন্তু তার সাবলীল অভিনয় শুধুমাত্র ছোটপর্দায় তাকে আটকে রাখতে পারেনি। সিনেমা, ওয়েব সিরিজের পাশাপাশি ছোটপর্দায়ও চুটিয়ে কাজ করছে এই অভিনেত্রী।


ছোটপর্দার কথাই যদি বলা হয়, তাহলে বলতে হয় একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন স্নেহা। তার সবচেয়ে প্রশংসিত চরিত্র ছিল ‘জল নূপুর’ সিরিয়ালে ভূমিসূতা বসুমল্লিকের চরিত্রটা। এই চরিত্রটি তার ক্যারিয়ারের গ্রাফ পাল্টে দেয়। এছাড়াও কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকে তার চরিত্রটি ভালো প্রশংসা পায়।


একসময় জল নুপুর, নকশি কাঁথার মতো ধারাবাহিকে দ্বিতীয় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বর্তমানে কাজ মিলছে ঠিকিই কিন্তু মায়ের চরিত্রে ছাড়া তাকে ভাবতেই পারছেন না কেউ। এই বয়সে মায়ের চরিত্র নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অভিনেত্রী স্নেহা চট্টোপাধ্যায়।


ছোটপর্দায় অভিনয় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আনন্দবাজার ডট কমের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্নেহা বলেন, ‘জানি, বছর দু’য়েক পরে মায়ের চরিত্রেই অভিনয় করতে হবে। তা বলে এখনই? ছোট ছেলের মা হলেও কথা ছিল। অনেক বড় বড় ছেলের মায়ের চরিত্র দিচ্ছে। এই ধরনের চরিত্রে এখনই কী করে অভিনয় করি?’


অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে অবশ্য চ্যানেল কর্তৃপক্ষকেও দোষ দিতে পারি না। আমি রাজি না হলেও কাজের অভাবে অন্যান্য সহ-অভিনেত্রীরা এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হয়ে যাচ্ছেন। ফলে, আমাকেও এই ধরনের চরিত্রের জন্য ডাকা হচ্ছে। কিন্তু আমি তো রাজি নই। এখনও আমার এই চরিত্রে অভিনয়ের বয়স আসেনি’।

অভিনেত্রী ইধিকার পর এবার প্রজাপতি ২-এ দেবের নায়িকা হচ্ছে বাংলা সিরিয়ালের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩১ মে : অভিনেতা দেব- কে এমন কেউ নেই যে চেনেন না, ছোট থেকে বড় সবাই দেবের ভক্ত। তাই অভিনেতা দেবের সঙ্গে সিনেমা করা নিয়ে স্বপ্ন থাকে বাংলা সিরিয়ালের নায়িকাদের। সৌমিতৃষা কুণ্ডু, শ্বেতা ভট্টাচার্য এবং ইধিকা পাল ইতিমধ্যে দেবের ছবিতে কাজ করেছেন। এবার আরেক ছোটপর্দার নায়িকার কপাল খুলতে চলেছে।


শোনা যাচ্ছে, দেবের পরবর্তী ছবি ‘প্রজাপতি ২’-এ প্রথমে ইধিকা পালের কথা ভাবা হলেও পরে মত পরিবর্তন হয়েছে। প্রজাপতি’তে দেবের নায়িকা ছিল শ্বেতা ভট্টাচার্য। প্রজাপতি সাফল্য পাওয়ার পর এবার সিকুয়াল আনতে চলেছে দেবের প্রযোজনা সংস্থা। আর ছবিতে নায়িকা বাছাইয়ের জন্য আবার বাংলা সিরিয়ালের নায়িকাদের দিকেই তীর।


ঘনিষ্ঠ সুত্রের দাবি, এবার দেবের নায়িকা হওয়ার জন্য সুযোগ গিয়েছে আরেক ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রীর কাছে। তিনি নিঃসন্দেহ সুন্দরী আর দেবের সঙ্গে বেশ ভালোই মানাবে। কে বলুন তো?


‘প্রজাপতি ২’ এর নায়িকার জন্য নাকি বাছাই করা হয়েছে ছোটপর্দার অভিনেত্রী জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুকে। যিনি দর্শকের কাছে পেখম নামে পরিচিত। হ্যাঁ, বঁধুয়া সিরিয়ালে নায়িকা জ্যোতির্ময়ী নাকি এবার দেবের নায়িকা হয়ে বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। মাত্র একটা সিরিয়াল করেই বড়পর্দায় দেবের বিপরীতে কাজ যেকোনো অভিনেত্রীর কাছে বড় পাওনা। যদিও এই নিয়ে প্রযোজনা সংস্থা থেকে অফিসিয়ালি এখনো কিছু ঘোষণা হয়নি।

"ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সেতুবন্ধন হওয়ার পরিবর্তে, কাশ্মীর কুস্তির আখড়ায় পরিণত হয়েছে" : মেহবুবা মুফতি



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১ মে ২০২৫, ১৮:১১:০১ : জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি বলেছেন যে তাঁর দল ক্ষমতা দখলের জন্য গঠিত হয়নি। কিন্তু গত কয়েকদিনে সকলেই কাশ্মীরের অবস্থা দেখেছেন। মুফতি বলেন যে তিনি যদি বিজেপির এজেন্ডা সমর্থন করতেন, তাহলে তিনি আজ মুখ্যমন্ত্রী হতেন। কিন্তু তিনি তাঁর দলের রাজনৈতিক এজেন্ডা এবং নীতির সাথে কোনও আপস করেননি। তিনি বলেন, "পিডিপি বিজেপির সাথে সহযোগিতা করেছে, কারণ আমরা তাদের সাথে শর্তে সরকার গঠন করেছি।"

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পিডিপি একটি সেতু, আমরা সম্মিলিতভাবে বিজেপির অনেক কিছু বন্ধ করে দিয়েছি।" তিনি বলেন, "আমার চেয়ারের লোভ নেই, আমি বিজেপির সাথে থেকে এটি বজায় রাখতাম। কিন্তু আমি রাজনৈতিক এজেন্ডা এবং আমার নীতির সাথে কোনও আপস করিনি।" তিনি বলেছিলেন যে পিডিপি ক্ষমতা দখলের জন্য গঠিত হয়নি।

মেহবুবা মুফতি বলেন যে তিনি মাত্র ৩ বছর শাসন করেছেন এবং অনেক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল কাশ্মীরকে জলাভূমি থেকে বের করে আনা। তিনি বলেন, "কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সেতুবন্ধন হওয়া উচিত ছিল কিন্তু এটি যুদ্ধের জন্য একটি কুস্তির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।" মুফতি বলেন, "শুধুমাত্র একটি দল অর্থাৎ পিডিপি যুদ্ধের মাঝে শান্তির কথা বলছে।"

'

এর পাশাপাশি, তিনি জাতীয় কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে বলেন যে ফারুক আবদুল্লাহ সম্প্রতি বলেছেন যে বালাকোট যা হয়েছে তার চেয়ে বেশি কিছু করা উচিত। ওমর আবদুল্লাহ সম্প্রতি সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল করার কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন যে এই ধরনের বক্তব্য উস্কানিমূলক। কেবল পিডিপিই শান্তির পক্ষে কথা বলেছে। তিনি বলেন, "আমরা জানি যে যখন দুটি শক্তিশালী সত্তা লড়াই করে, তখন ঘাস ধ্বংস হয়ে যায়। শান্তি থাকলেই উন্নয়ন হবে।"

আরও, তিনি বলেন যে জম্মু-কাশ্মীরকে যদি এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হয়, তাহলে ভারত ও পাকিস্তানকে কাশ্মীরকে সেতুবন্ধন করতে হবে এবং পিডিপি এটি করতে পারে। তিনি বলেন, "আমরা কখনই যুদ্ধ চাই না। ঈশ্বর না করুন যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে এই যুদ্ধ পুরো বিশ্বকে ধ্বংস করবে, কাশ্মীর প্রথমে ধ্বংস হবে।" তিনি বলেন, "যখন পিডিপি শক্তিশালী হবে, জম্মু-কাশ্মীর শক্তিশালী হবে, তখন ভারতও শক্তিশালী হবে।"

এবারের করোনা কাদের জন্য বেশি বিপজ্জনক, জেনে নিন ডাঃ গুলেরিয়া এবং ডাঃ ফিলিপসের পরামর্শ

 


করোনা প্রতি বছর নতুন রূপে ফিরে আসে। কখনও ওমিক্রন রূপ, কখনও ডেল্টা রূপ। এই বছর করোনা একটি নতুন রূপ JN.1 রূপে ফিরে এসেছে, এর সাথে NB.1.8.1 রূপ এবং LF.7 এর মতো নতুন রূপও পাওয়া গেছে। দেশজুড়ে আবারও করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়তে শুরু করেছে। আজ করোনার সক্রিয় মামলার সংখ্যা ২৭১০ এ পৌঁছেছে। এর মধ্যে কেরালায় সর্বাধিক মামলা নথিভুক্ত হয়েছে, যা ১১৪৭। মহারাষ্ট্র দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যেখানে ৪২৪ সক্রিয় মামলা রয়েছে। দিল্লি তৃতীয় স্থানে রয়েছে, দিল্লিতে ২৯৪ সক্রিয় মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। একই সময়ে, সমগ্র দেশে এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এবার ভাইরাসের প্রভাবকে স্বাভাবিক বলেও বর্ণনা করা হচ্ছে, তবে বিশেষজ্ঞরা এটি গুরুতর হওয়ার বিষয়েও সতর্ক করছেন। নির্দিষ্ট কিছু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি বিপজ্জনক হতে পারে।


প্রাক্তন এইমস পরিচালক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিলেন

মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, দিল্লি এইমসের প্রাক্তন পরিচালক রণদীপ গুলেরিয়া কোভিডের নতুন রূপ সম্পর্কে বলেছেন যে এবার করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ JN.1 সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি ২০২৩ সালে রেকর্ড করা হয়েছিল, তবে এই বছর এটি ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও এই রূপটি খুব বিপজ্জনক নয়, তবে এটি মানুষকে বেশি সংক্রামিত করে। এটি কাশি, সর্দি, জ্বর, কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা, গলা ব্যথার মতো সমস্যা সৃষ্টি করে, যা দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হয়। এই রূপটিতে কিছু মিউটেশন রয়েছে, যার কারণে আরও সংক্রমণ ঘটে।

এই ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে আছেন

ডাঃ গুলেরিয়ার মতে, যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাকের মতো গুরুতর রোগ আছে অথবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এমন ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের আরও সতর্ক থাকা দরকার।

এটি গুরুতরও হতে পারে

ডাঃ গুলেরিয়ার মতে, আগামী সময়ে দেখা হবে যে নতুন করোনা রূপটি গুরুতর হয়ে উঠবে কিনা। এমন পরিস্থিতিতে, বয়স্ক এবং গুরুতর রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকা দরকার।

কোভিড প্রোটোকল আবারও গ্রহণ করতে হতে পারে

ডঃ গুলেরিয়া বলেন, করোনা আগের মতো গুরুতর না হলেও, এর নতুন রূপগুলি এখনও একটি চ্যালেঞ্জ। টিকাকরণ এবং বৈজ্ঞানিক পরামর্শ এটি এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায়। যদি কেস বৃদ্ধি পায়, তাহলে আবারও পুরানো কোভিড প্রোটোকল গ্রহণ করতে হতে পারে।

ডঃ অ্যাবি ফিলিপস পরামর্শ দিয়েছেন

একই সাথে, লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ অ্যাবি ফিলিপস (এমডি, ডিএম) একটি সোশ্যাল পোস্টে এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন এবং বলেছেন যে আবারও কোভিড ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এর কারণে, দীর্ঘ সময় ধরে জ্বর থাকে। ক্লান্তি, অলসতা, গলা ব্যথার পাশাপাশি কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন এবং গলা ব্যথাও এর লক্ষণ। এর পরে, শ্বাসকষ্ট এবং শুকনো কাশিও মানুষকে বিরক্ত করছে। কোভিড কেবল ফ্লু নয়, এটি এর বাইরেও। এটি সেরে উঠতে অনেক সময় লাগবে। এমন পরিস্থিতিতে, যদি আপনি কোভিডের লক্ষণ দেখতে পান, তাহলে বাড়িতেই থাকুন। নিজের যত্ন নিন। একই সাথে, বাইরে বের হওয়া ব্যক্তিদের জনসাধারণের স্থানে মাস্ক পরা উচিত এবং অন্যান্য সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

ডক্টর ফিলিপসের মতে, তার জন্য উদ্বেগের বিষয় কোভিডের আগমন নয়, বরং কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর মানুষকে যে গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় তা আরও বেশি উদ্বেগের বিষয়।

নতুন ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণগুলি সাধারণ-

সর্দি

জ্বর

কাশি

নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া

গলা ব্যথা, জ্বালা

ক্লান্তি এবং অলসতা

ভ্যাকসিন কি এখনও কার্যকর?

ডক্টর গুলেরিয়া বলেন যে কোভিড ভ্যাকসিন এখনও কিছু সুরক্ষা প্রদান করে, বিশেষ করে যখন রোগটি তীব্র হয়। এটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোধ করে। ভাইরাস পরিবর্তনশীল, কিন্তু এই ভ্যাকসিনের কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকে।

প্রতি বছর ভ্যাকসিনে পরিবর্তন আনা হয়

প্রতিবার কোভিড একটি নতুন ভ্যারিয়েন্টে আসে এবং ফ্লু ভ্যাকসিনের মতো, নতুন ভ্যারিয়েন্ট অনুসারে কোভিড ভ্যাকসিনও প্রতি বছর পরিবর্তন করা হচ্ছে।

২০২০-২১ সালে, উহান ভাইরাসের জন্য mRNA ভ্যাকসিন (ফাইজার এবং মডার্না) এসেছিল।

২০২২ সালে, ভ্যাকসিনটি মূল ভাইরাস Omicron BA.4/BA.5 ভ্যারিয়েন্টের জন্য দ্বি-ভ্যালেন্ট আকারে আপডেট করা হয়েছিল।

২০২৩ সালে, ওমিক্রন এক্সবিবি ভ্যারিয়েন্টের জন্য একটি মনোভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন চালু করা হয়েছিল।

২০২৪-২৫ সালে, কেপি.২ ভ্যারিয়েন্টের কথা বিবেচনা করে ভ্যাকসিনে পরিবর্তন আনা হয়েছিল।

প্রধান নায়িকা হয়ে খ্যাতি পেলেও পরপর খলনায়িকার অফার, নায়িকা থেকে ভিলেন হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং অভিনেত্রী শার্লি



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩১ মে :  প্রধান নায়িকা হয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে অভিনয় করছেন ভিলেন চরিত্রে। নায়িকা হয়েও যেমন দর্শকের মন জিতেছেন তেমন পর্দার দুঁদে খলনায়িকা হয়ে দর্শকদের রাগিয়ে দিয়েছেন। সব চরিত্রে যেন সাবলীল অভিনেত্রী শার্লি মোদক।


শালিনী’র খোলস থেকে বেরিয়ে এখন তিনি পর্দার মধুবনী। সদ্য জি-বাংলার তুমি যে আমার হিরো ধারাবাহিকে এন্ট্রি নিয়েছেন তিনি।  তবে একসময় পর্দায় নায়িকা হলেও এখন একের পর এক খলচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। খলচরিত্র করার পর কি খলনায়িকার অফার আসছে?



এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কমকে শার্লি জানিয়েছেন, তিনি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে যে খুব আগ্রহী তেমনটা নয়। অভিনেত্রী বলেন, “নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের আগে অনেকটা ভাবতে হয়। সেটা আমার প্রথম প্রথম অসুবিধা হত। যেহেতু অভ্যাস নেই তাই কঠিন লাগত। তাই শালিনী চরিত্রে অভিনয়ের পর ভেবেছিলাম আর খলচরিত্রে অভিনয় করব না।”


তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘এই ধারাবাহিকের লেখক এবং পরিচালক দু’জনেই আমায় পছন্দ করেন। প্রথমে মনে হয়েছিল নেতিবাচক চরিত্রে আমি অভিনয় করতে পারব না। তাই না করে দিয়েছিলাম। কিন্তু তার পরে চরিত্রটা শুনে খুব লোভ হয়।’ ফুলকি ধারাবাহিকে আর তাকে দেখা যাবে কিনা সেই উত্তর অভিনেত্রীর কাছে নেই।

এই সুপারস্টার একসময় ৩৫ টাকা বেতন পেতেন, এখন এক ছবির জন্য ১ কোটি টাকা নিচ্ছেন, তার মোট সম্পদের পরিমাণ আপনার মাথা ঘুরিয়ে দেবে


 হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে এমন অনেক অভিনেতা আছেন যারা নিম্নবিত্ত থেকে ধনী হয়ে উঠেছেন। অনেক অভিনেতা আগে মাত্র কয়েক পয়সা আয় করতেন, কিন্তু বলিউডে আসার পর তাদের জীবন সম্পূর্ণরূপে বদলে যায়। তারা তাদের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ভক্তদের হৃদয়ে রাজত্ব করেছিলেন এবং প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। একই সাথে কোটি কোটি টাকার সম্পদও অর্জন করেছিলেন। নানা পাটেকরও এমন একজন অভিনেতা যিনি একসময় মাত্র ৩৫ টাকা আয় করতেন কিন্তু আজ তিনি প্রচুর সম্পদের মালিক।



নানা পাটেকরকে হিন্দি সিনেমার কিংবদন্তিদের মধ্যে গণ্য করা হয়। কিন্তু এই জনপ্রিয়তা এবং মর্যাদা অর্জনের জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। ১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারী মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে জন্মগ্রহণকারী নানা পাটেকর বলিউডে আসার আগে এক জায়গায় পার্টটাইম চাকরি করতেন। এখানে অভিনেতা প্রতিদিন ৩৫ টাকা বেতন পেতেন। এর পাশাপাশি নানা জেব্রা ক্রসিং এবং ছবির পোস্টার আঁকার কাজও করেছেন।

নানা ৮০ কোটি টাকার মালিক

নানা পাটেকরের প্রাথমিক জীবন হয়তো সংগ্রামে ভরা ছিল, কিন্তু তিনি সুশিক্ষিত। নানা আর্টসে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এরপর তিনি অনেক জায়গায় কাজ করেছেন। একসময় মাত্র ৩৫ টাকা আয় করা নানা এখন কোটি টাকার সম্পদের মালিক। একটি ছবির জন্য তার পারিশ্রমিক এক কোটি টাকা। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, তার মোট সম্পদ ৮০ কোটি টাকা।

নানা পাটেকরের দুর্দান্ত ছবি

নানা পাটেকরের দুর্দান্ত অভিনয় দর্শকদের অনেকবার প্রেক্ষাগৃহে আটকে রেখেছে। তার সেরা ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে 'ক্রান্তিবীর', 'তিরঙ্গা', 'ওয়েলকাম', 'আব তক ছপ্পান', 'গুলাম এ মুস্তাফা'। এ ছাড়াও তিনি 'খামোশি', 'প্রহার', 'পরিন্দা', 'নটসম্রাট', 'শাগিরদ', 'অপহরণ', 'ওয়াজুদ'-এর মতো ছবিতেও কাজ করেছেন।

এখন তাকে 'হাউসফুল ৫'-এ দেখা যাবে

নানা পাটেকর ৭৪ বছর বয়সেও বলিউডে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছেন। সম্প্রতি তাকে 'বনবাস' ছবিতে দেখা গেছে, এবার তাকে অক্ষয় কুমারের সাথে 'হাউসফুল ৫'-এ দেখা যাবে। 6 জুন মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে সঞ্জয় দত্ত, জ্যাকি শ্রফ, নার্গিস ফাখরি, চিত্রাঙ্গদা সিং, অভিষেক বচ্চন, ফারদিন খান, সৌন্দর্য শর্মা, রঞ্জিত, সোনম বাজওয়া, জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ, রিতেশ দেশমুখ, জন আব্রাহাম এবং ডিনো মোরিয়ার মতো অভিনেতারাও রয়েছেন।

অনলাইনে ১১৫ টাকায় বাড়ি কিনলেন ব্যক্তি, নেশায় নেশায় লেগে গেল লটারি

 


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩১ মে ২০২৫, ১৭:০০:০১ : বাড়ি কেনা প্রত্যেকেরই স্বপ্ন, কিন্তু বাড়ি এতটাই ব্যয়বহুল যে সবার পক্ষে তা কেনা সম্ভব নয়। মানুষ তাদের জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় EMI-এর বোঝায় কাটায়। তাদের কাছে কিছুই থাকে না। কিন্তু ভাবুন যদি আপনি মাত্র ১১৫ টাকায় একটি বাড়ি পান, তাহলে কি আপনিও এটি কিনতে চাইবেন না? একজন বিদেশীও একই কাজ করেছিলেন। একবার তিনি বিয়ারে মাতাল হয়েছিলেন, তারপর হঠাৎ তার অনলাইনে কেনাকাটা করার ইচ্ছা হল। তিনি একটি অনলাইন শপিং পোর্টালে ১১৫ টাকায় পাওয়া একটি বাড়ি দেখেছিলেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এটি অর্ডার করেছিলেন। বাড়িটি সংস্কার করার পর, তিনি সেখানে থাকতে শুরু করেন। বাড়ির ভেতরের চেহারা দেখে আপনি অবাক হবেন। আপনার মনে হবে এটি লটারির চেয়ে কম নয়।

দ্য সান ওয়েবসাইটের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ডার্বিশায়ারের এক দম্পতি মাত্র ১ পাউন্ড (১১৫ টাকা) দামে একটি পুরনো শস্য সাইলো (শস্য সংরক্ষণের জন্য বড় ড্রাম) কিনে তাদের স্বপ্নের বাড়িতে রূপান্তরিত করার গল্প শেয়ার করেছেন। বব ক্যাম্পবেল এবং তার সঙ্গী ক্যারল অ্যান অনলাইনে ড্রামটি কিনে কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার সাথে এটিকে একটি আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়িতে রূপান্তরিত করেছেন। বব জানিয়েছেন যে তিনি eBay থেকে এই বাড়িটি কিনেছিলেন। সেই সময় তিনি প্রচুর বিয়ার পান করেছিলেন এবং মাতাল হয়েছিলেন। তিনি এই প্রকল্পে তার হৃদয় ও প্রাণ নিবেদিত করেছিলেন এবং তারপরে তিনি প্রায় ৬ বছর ধরে সেই ছোট বাড়িতে বসবাস শুরু করেছিলেন, যার নির্মাণ ব্যয় ছিল প্রায় ৪,০০০ পাউন্ড (৪.৬ লক্ষ টাকা)।

গত বছর, দ্য সানের সাথে কথোপকথনে, তিনি তার এই বাড়ি সম্পর্কে আরও তথ্য দিয়েছিলেন। বব বললেন, "আমি ভাবছিলাম কয়েক সপ্তাহ ঠিক হয়ে যাবে, হয়তো ততক্ষণে আমার আগ্রহ কমে যাবে, কিন্তু ৫ বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেছে।" ক্যারল বললেন যে প্রথমে তিনি এই প্রকল্পটি নিয়ে "খুব উত্তেজিত" ছিলেন না, কিন্তু পরে তিনি এটিকে নিজের ভাগ্য বলে মনে করেন। তিনি বললেন, "প্রকৃতির মাঝে এই পাঁচ বছর অসাধারণ কেটেছে।" বাড়িতে বিছানা, বাথরুম, রান্নাঘর ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে।

বাড়িটি ভেতর থেকে খুবই অনন্য। দম্পতি তাদের বাড়ির চারপাশের এলাকা সুন্দর করার কাজেও নিযুক্ত আছেন, যেখানে তারা অনেক শিল্পকর্ম তৈরি করেছেন এবং একটি পুকুরও তৈরি করেছেন। সাইলোটি প্রথমে একটি শিল্পকর্ম হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে এটি একটি ছোট বাড়িতে রূপান্তরিত হয়। এই সাইলোটি প্রায় চার মিটার উঁচু এবং চার মিটার ব্যাসের। বব বললেন, "এই বাড়িটি খুব ছোট।" তিনি এর ভেতরে প্রায় সবকিছুই নিজেই তৈরি করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে একটি পুরানো গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে তৈরি একটি অগ্নিকুণ্ড এবং একটি করাত ব্লেড দিয়ে কংক্রিটে লাগানো একটি ডাইনিং টেবিল। বাড়ির দেওয়ালগুলি অন্তরককরণের জন্য পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক ব্যবহার করে, এবং পুরানো প্যালেটগুলি কেটে ইট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। রান্নাঘরে প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র রয়েছে - ওভেন, হব, কেটলি এবং সিঙ্ক, মশলা রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা সহ। বিছানাটি উপরের তলায় অবস্থিত, যেখানে একটি সিঁড়ি দিয়ে প্রবেশ করা যায় যা ব্যবহার না করার সময় উপরে উঠে যায়।

বাথরুমটি একটি দরজার পিছনে লুকানো আছে যা দেখতে সাবমেরিনের দরজার মতো। এতে একটি বৃত্তাকার ঝরনা এবং কম্পোস্টিং টয়লেট রয়েছে, সাথে একটি আয়না এবং সিঙ্কও রয়েছে। এইভাবে, দম্পতি বাজেটের মধ্যে এবং কম জায়গায়ও একটি আরামদায়ক, টেকসই এবং সুন্দর জীবনযাপন করছেন।

"দরজা বন্ধ রাখুন", স্ত্রীর হাতে মার খাওয়া ম্যাক্রোঁকে পরামর্শ ট্রাম্পের



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩১ মে ২০২৫, ১৬:৪৭:০১ : সম্প্রতি, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর তার স্ত্রীর সাথে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে। এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং তার স্ত্রী ব্রিজিটের ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে ট্রাম্প কটাক্ষ করেছেন।

এই ভিডিওটি সেই সময়ের যখন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং তার স্ত্রী ভিয়েতনামে পৌঁছে বিমান থেকে নামছিলেন। বিমানের দরজা খোলার সাথে সাথে হঠাৎ এমন একটি ছবি বেরিয়ে আসে যে সকলেই হতবাক হয়ে যায়। দরজা খোলার সাথে সাথে দেখা যায় যে ম্যাক্রোঁ দরজার ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এবং হঠাৎ তার স্ত্রীকে তার হাত দিয়ে তার মুখ ঠেলে দিতে দেখা যায়। তবে, ম্যাক্রোঁ দেখলেন যে বিমানের দরজা খুলে গেছে এবং তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে হাত নাড়ছেন।

ওভাল অফিসে একটি সংবাদ সম্মেলনের সময়, একজন সাংবাদিক যখন একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্লিপটিতে মন্তব্য করেছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, "তারা দুজনেই খুব ভালো মানুষ, যাদের আমি খুব ভালো করে চিনি এবং আমি জানি না এই সব কী নিয়ে।"

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জন্য কোনও বৈবাহিক পরামর্শ দিয়েছেন কিনা, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, দরজা বন্ধ করে দিন।

ভাইরাল ভিডিওটিতে আরও দেখা গেছে যে যখন রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ এবং তার স্ত্রী বিমান থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন ম্যাক্রোঁ তার স্ত্রীর দিকে সিঁড়ি বেয়ে নামার জন্য হাত বাড়িয়ে দেন কিন্তু তিনি তার হাত ধরেননি। প্রাথমিকভাবে, এলিসি প্রাসাদ ভিডিওটিকে ভুয়ো বলে উড়িয়ে দেয়, কিন্তু পরে এর সত্যতা নিশ্চিত করা হয়।

এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর, লোকেরা এতে মন্তব্য করছে। এদিকে, রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ভিডিওটি উড়িয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও, ম্যাক্রোঁ পরে সাংবাদিকদের বলেন যে সেই মুহূর্তটি ক্যামেরায় ধরা পড়ার সময় তিনি এবং তার স্ত্রী ব্রিজিট কেবল মজা করছিলেন।

ম্যাক্রোঁ এবং স্ত্রী ব্রিজিটের দেখা হয়েছিল হাই স্কুলে। ম্যাক্রোঁ এই হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন এবং ব্রিজিট একজন শিক্ষিকা ছিলেন। এর পরে, তাদের দুজনের দেখা হয়েছিল এবং এই প্রেম বিয়েতে পরিণত হয়েছিল। তারা দুজনেই ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেছিলেন।

ম্যাক্রোঁ বলেন যে এই ঘটনাটিকে অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। ম্যাক্রোঁ বলেন যে ভিডিওটির প্রতি মানুষ যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে তা সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ভুল তথ্যের বিপদকে তুলে ধরেছে।

অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ আসাম সরকারের! গ্রেপ্তার করে 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এ পাঠাল



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১ মে ২০২৫, ১৬:৩৪:০১ : আসামে অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার বিদেশী ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক অবৈধ বিদেশী ঘোষিত ব্যক্তিদের সনাক্তকরণ এবং প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেছে। আসাম সরকার এই লোকদের ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যবর্তী নো-ম্যানস ল্যান্ডে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৪৯ জনকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

২৭ এবং ২৯ মে, পশ্চিম এবং দক্ষিণ আসাম থেকে কমপক্ষে ৪৯ জন ঘোষিত বিদেশী নাগরিককে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। কমপক্ষে তিনজন আবেদনকারী পৃথকভাবে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট এবং গুয়াহাটি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করার এবং চলমান অভিযান বন্ধ করার দাবী জানিয়েছেন।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শুক্রবার (৩০ মে, ২০২৫) বলেছেন যে "গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিদেশী ঘোষণার পর ৩০,০০০ মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। আমরা তাদের খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া দ্রুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা এনআরসি আপডেট করার সময় বন্ধ ছিল। আমরা তাদের খুঁজে পাওয়ার সাথে সাথেই আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আমরা আইন অনুসারে কাজ করছি।"

সিএম শর্মা বলেছেন যে আগামী দিনে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং আরও বলেছেন যে ঘোষিত বিদেশী হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবেন। তিনি বলেন, "যদি কোনও ব্যক্তি হাইকোর্টে আপিল না করেন, তাহলে তার ভারতে থাকার অধিকার হারিয়ে যায় কিন্তু ঘোষিত বিদেশী যদি দেখাতে পারেন যে তিনি আপিল করেছেন, তাহলে আমরা তাকে হয়রানি করি না।" মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "যদি আদালত (ট্রাইব্যুনালের কাউকে বিদেশী ঘোষণার আদেশের উপর) স্থগিতাদেশ দিয়ে থাকে তবে আমরা আদালতকে সম্মান করছি এবং আমরা এই ধরনের লোকদের থাকার অনুমতি দিয়েছি।"

বৃষ্টি ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত সিকিম! বিপদসীমা অতিক্রম তিস্তার জলের, ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি



কলকাতা, ৩১ মে ২০২৫, ১৬:১০:০১ : ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধস। তিস্তার জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। শুক্রবার রাত থেকে সিকিমের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে রাজ্যের উত্তরাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এমন পরিস্থিতিতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, রাজ্য প্রশাসন পর্যটকদের সতর্কও করেছে। শুধু সিকিম নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের অনেক রাজ্য এই আবহাওয়ার দ্বারা প্রভাবিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত বৃহস্পতিবার বাংলায় এসেছিলেন। তাঁর সিকিমও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেই সফর বাতিল করতে হয়েছিল।

শনিবার উত্তর সিকিমের অনেক জায়গায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটে এবং এর ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সর্বশেষ খবর অনুসারে, সিকিমের সাত মাইলের মধ্যে নামচি জেলার লেগশিপ এবং কেভজিংয়ের মধ্যে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। মাঙ্গান জেলায়ও লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তিস্তা সংলগ্ন বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার কথা ভেবেছে প্রশাসন। তাদের সেই এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে, ডিকচু এবং সিংথামের মতো এলাকাগুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনেক মানুষ প্রাণ হারাতেও পারেন। এদিকে, উত্তর সিকিমের চুংথাং থেকে মুনসিথাং যাওয়ার পথে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। ১১ জন পর্যটক বহনকারী গাড়িটি প্রায় এক হাজার ফুট নীচে তিস্তা নদীতে পড়ে যায়।

মিজোরাম, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুরের মতো উত্তর-পূর্ব ভারতের অনেক রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক এলাকা ভূমিধসের কবলে পড়েছে। ভূমিধসের পাশাপাশি অনেক জায়গায় বন্যা হয়েছে। সূত্রের খবর, মোট অন্তত ১২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আইএমডি জানিয়েছে যে এটিই শেষ নয়। আগামী কয়েকদিনে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে আরও খারাপ আবহাওয়া দেখা যাবে।

ভারতকে চীনের হুঁশিয়ারি! ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিরোধে ভারত-পাক বিরোধকে নতুন করে উস্কে দিল


 কয়েক দশক ধরে চলে আসা জলবণ্টন বিরোধ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যখন উত্তেজনা আবারও বাড়ছে, তখন উত্তর দিক থেকে এখন একটি নতুন এবং উদ্বেগজনক ফ্রন্ট খুলে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অস্থির এই পরিস্থিতিতে চীন দ্রুত হস্তক্ষেপ করেছে এবং ভারতকে একটি গোপন কিন্তু স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিয়েছে। প্রভাবশালী বেইজিং-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর চায়না অ্যান্ড গ্লোবালাইজেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ঝিকাই গাও কূটনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেছেন—


"অন্যদের সাথে এমন আচরণ করো না যা তুমি চাও অন্যেরা তোমার সাথে করুক।"

এই বিবৃতিটি, যা প্রথম নজরে দার্শনিক বলে মনে হলেও ভেতর থেকে কৌশলগত হুমকির একটি গুরুতর সতর্কীকরণ বহন করে, ভারতের জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই সতর্কীকরণ এমন এক সময়ে এসেছে যখন আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতি ইতিমধ্যেই অত্যন্ত সংবেদনশীল।

ব্রহ্মপুত্রের মাধ্যমে চীনের চাপ কৌশল?

ঝিকাই গাওয়ের বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে চীন ভারতে প্রবাহিত নদীগুলির উপর তার উচ্চ-প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করতে চায়, বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র (তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নামে পরিচিত) একটি রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে। চীন ইতিমধ্যেই নদীর উপর বেশ কয়েকটি বিতর্কিত বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যা ভারত এবং বাংলাদেশের মতো ভাটির তীরবর্তী দেশগুলির জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তির অধীনে ভারত ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সাথে জল বিরোধের মুখোমুখি। পাকিস্তান পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলিতে অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে ভারত চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে। এখন যদি চীনও চাপ প্রয়োগ করে, তাহলে ভারত পশ্চিম (পাকিস্তান) এবং উত্তর (চীন) উভয় দিক থেকেই জল সংকটের মুখোমুখি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এটিকে "জল-প্রিন্সার" (জল-প্রিন্টার) কৌশল হিসেবে দেখছেন।

আক্রমণাত্মক অবস্থান, কেবল কথার নয়

কৌশলগত বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে চীনের এই অবস্থান কেবল কথার খেলা নয়। এটি একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত যে চীন "জল-প্রিপ" নিয়ন্ত্রণ করে এবং এটি কূটনৈতিক চাপের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এটি জল-কূটনীতি বা জল-যুদ্ধের একটি পরিশীলিত স্তর।

জল একটি কৌশলগত অস্ত্র তৈরি করেছে

এই সতর্কবার্তাটি এমন একটি প্যাটার্নের অংশ বলে মনে হচ্ছে যেখানে চীন আঞ্চলিক সংঘাতে জল সম্পদের সামরিকীকরণের ক্রমাগত অনুশীলন করে আসছে। চীন পূর্বে জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্য আটকে রেখে, নদীর প্রবাহকে ভিন্ন দিকে সরিয়ে এবং আন্তঃসীমান্ত নদীতে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করে নিম্নভূমির দেশগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করেছে।

চীন-পাকিস্তান জল জোট?

কিছু বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন যে এই বিবৃতি ভারতকে চাপ দেওয়ার জন্য চীন-পাকিস্তান জল জোটের সূচনা হতে পারে। চীন এবং পাকিস্তান ইতিমধ্যেই চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (CPEC) মাধ্যমে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করেছে এবং এখন জল সম্পদ তাদের নতুন কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

ভারতের প্রতিক্রিয়া?

এখন পর্যন্ত, ভারত সরকার ঝিকাই গাওয়ের মন্তব্যের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে সূত্র জানিয়েছে যে বিবৃতির বিস্তৃত তাৎপর্য বোঝার জন্য সাউথ ব্লকে একটি উচ্চ-স্তরের পর্যালোচনা চলছে।

যদি পরিস্থিতি এই দিকে চলতে থাকে, তাহলে ভারতকে তার জল কূটনীতির একটি বড় পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে এবং ভবিষ্যতে ভূ-রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে জল ব্যবহারের সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হতে পারে।

এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স অব্যাহত, পদক তালিকায় দ্বিতীয় স্থান

 


এই বছরের এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ দক্ষিণ কোরিয়ার গুমি শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা ২৭ মে শুরু হয়েছে এবং ৩১ মে শেষ হবে। এখন পর্যন্ত, ভারতীয় খেলোয়াড়রা এই প্রতিযোগিতায় ভালো পারফর্ম করেছে। ৩০ মে পর্যন্ত, ভারত মোট ১৮টি পদক জিতেছে এবং পদক তালিকায় চীনের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ভারতীয় ক্রীড়াবিদরাও এই স্বর্ণপদকগুলির মধ্যে ৮টি জিতে সফল হয়েছেন।


গুলবীর ২টি স্বর্ণ জিতেছেন, পূজা সিংও অসাধারণ পারফর্মেন্স দেখিয়েছেন

গুলবীর সিং এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন এবং দুটি স্বর্ণপদক জিতেছেন। তিনি ৫,০০০ মিটার দৌড় ১৩ মিনিট ২৪.৭৭ সেকেন্ডে শেষ করে স্বর্ণপদক জিতেছেন, এর আগে তিনি ১০,০০০ মিটার দৌড়েও প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। ভারতের পূজা সিংও হাই জাম্প প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছেন। ১৮ বছর বয়সী পূজা ১.৮৯ মিটার উচ্চতা নিয়ে তার সেরা পারফর্মেন্স করেছেন এবং বিজয়ী হয়েছেন। ২০০০ সালের পর তিনি এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জয়ী প্রথম ভারতীয় মহিলা ক্রীড়াবিদ হন।

এছাড়াও, ভারতের নন্দিনী আগাসারা হেপ্টাথলন ইভেন্টে মোট ৫৯৪১ পয়েন্ট করে স্বর্ণপদক জিতেছেন। এখন পর্যন্ত, ভারত এই চ্যাম্পিয়নশিপে ৮টি স্বর্ণ সহ মোট ১৮টি পদক জিতেছে, যার মধ্যে ৭টি রৌপ্য এবং ৩টি ব্রোঞ্জ রয়েছে। চীন ১৫টি স্বর্ণ সহ মোট ২৬টি পদক নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে।

ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ এই মন্দিরে! এই জিনিসটি দেখলেই খোয়াবেন দৃষ্টিশক্তি



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩১ মে ২০২৫, ১৬:০০:০১ : উত্তরাখণ্ডে মন্দিরের অভাব নেই। প্রতিটি মন্দিরের নিজস্ব বিশ্বাস, ঐতিহ্য এবং ইতিহাস রয়েছে। আপনি কি কখনও এমন কোনও মন্দিরের কথা শুনেছেন যেখানে ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন না এবং যেখানে পুরোহিত চোখ বেঁধে এবং মুখ ঢেকে পূজা করেন। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার লাটু দেবতা মন্দির এমনই একটি। এই মন্দিরটি তার রহস্যময় বিশ্বাস এবং আশ্চর্যজনক ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত, যা জানলে আপনিও অবাক হবেন। এই মন্দিরটি চামোলি জেলার দেওয়াল ব্লকের একটি ছোট গ্রামে 'ভান'-এ অবস্থিত, যা নন্দা দেবী জাতীয় উদ্যানের কাছে অবস্থিত। এই অঞ্চলটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আধ্যাত্মিক শান্তির জন্য বিখ্যাত। লাটু দেবতা মন্দির এটিকে আরও বিশেষ করে তোলে।

লাটু দেবতা মন্দিরের মূল গর্ভগৃহে কোনও ভক্ত প্রবেশ করতে পারবেন না। বছরে একবার কেবল একজন পুরোহিতই গর্ভগৃহে যান, তাও চোখ বেঁধে এবং মুখে কাপড় বেঁধে। এই ঐতিহ্য শতাব্দী ধরে চলে আসছে এবং এর পিছনে বিশ্বাস খুবই রহস্যময়। কথিত আছে যে এই মন্দিরে নাগরাজ তার রত্ন নিয়ে বসে আছেন, যার আলো এত তীব্র যে কারও চোখ পড়লে সে অন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই, কেবল সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ নয়, পুরোহিত তার চোখ এবং মুখ সম্পূর্ণরূপে ঢেকে পূজাও করেন, যাতে আলো চোখে না পৌঁছায় এবং গন্ধ নাগরাজের কাছে না পৌঁছায়।

সাধারণ মন্দিরের মতো এই মন্দিরটি প্রতিদিন খোলা থাকে না। বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে লাটু দেবতা মন্দিরের দরজা খোলা হয়। এই দিনে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা মন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছে বাইরে থেকে দর্শন করে পুণ্য অর্জন করেন। এই ঘটনাটি এলাকার মানুষের জন্য কোনও উৎসবের চেয়ে কম নয়।

চামোলির বাসিন্দা কৈলাশ বশিষ্ঠ বলেন যে পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, লাটু দেবতা হলেন উত্তরাখণ্ডের শ্রদ্ধেয় দেবী নন্দের ভাই। দেবী নন্দার (যাকে মা পার্বতীর রূপ বলে মনে করা হয়) বিবাহের সময়, লাটু দেবতাও কৈলাস পর্বতে গিয়েছিলেন তাকে বিদায় জানাতে। যাত্রার সময়, তিনি তৃষ্ণার্ত বোধ করেন এবং ঘটনাক্রমে একটি কুঁড়েঘরে রাখা দুটি কলসি থেকে মদ পান করেন। এর পরে, তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং হট্টগোল শুরু করেন, যার কারণে নন্দা দেবী রেগে যান এবং তাকে অভিশাপ দেন এবং তাকে ভান গ্রামে আটকে রাখার নির্দেশ দেন। পরে লাটু তার ভুলের জন্য ক্ষমা চান এবং অনুতপ্ত হন। এর পরে, মা তাকে প্রতিশ্রুতি দেন যে তাকে ভান গ্রামে পূজা করা হবে, তবে এই শর্তে যে কেউ তাকে সরাসরি দেখতে পারবে না।

লাটু দেবতা মন্দির কেবল একটি ধর্মীয় স্থান নয়, বরং বিশ্বাস, ভক্তি এবং রহস্যের সংমিশ্রণ। এখানে কেবল স্থানীয় মানুষই নয়, দূর-দূরান্ত থেকে আগত ভক্তরাও এই অতিপ্রাকৃত ঐতিহ্য প্রত্যক্ষ করতে আসেন। মন্দিরের চারপাশের পরিবেশ খুবই শান্ত, আধ্যাত্মিক এবং রোমাঞ্চকর। উত্তরাখণ্ডের অনেক মন্দির তাদের অনন্য ঐতিহ্য এবং বিশ্বাসের জন্য পরিচিত, কিন্তু লাটু মন্দিরের মতো রহস্যময় স্থান খুব কমই আছে।

"সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এখনও থামেনি", ভোপাল থেকে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১ মে ২০২৫, ১৪:৩৩:০১ : অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের বিভিন্ন রাজ্য সফর করছেন। গুজরাট, বাংলা, বিহার, উত্তরপ্রদেশের পর, এখন প্রধানমন্ত্রী মোদী মধ্যপ্রদেশ সফরে। এখানে তিনি দেবী অহল্যাবাঈ নারী ক্ষমতায়ন মহাসম্মেলনে ভাষণ দেন। মধ্যপ্রদেশ সরকার দেবী অহল্যাবাঈ হোলকরের ৩০০ তম জন্মবার্ষিকীতে অপারেশন সিন্দুরের পর প্রথম সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এই সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদী অনেক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পুরো ভোপালে অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কিত পোস্টার লাগানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব হোলকর রাজবংশের পাগড়ি পরে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে মঞ্চে স্বাগত জানান।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভোপাল জনসভায় মধ্যপ্রদেশের প্রথম মেট্রো রেল, সাতনা এবং দাতিয়া বিমানবন্দরের ভার্চুয়ালি উদ্বোধনও করেন। মঞ্চে পৌঁছানোর আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদী দেবী অহল্যাবাঈয়ের প্রদর্শনী দেখেন, এর সাথে তিনি মহিলা তাঁতি এবং ড্রোন দিদির সাথে কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী একটি খোলা জিপে মঞ্চে পৌঁছেছিলেন। এই সময়, মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এবং রাজ্য সভাপতি ভিডি শর্মা তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ বিষয় হলো, ভোপালের এই জনসভায় সর্বত্র তেরঙ্গা পতাকা দেখা গেছে। দাতিয়ার আগে, বিমানটি একজন মহিলা পাইলট দ্বারা উড়ানো হবে, যা এই অনুষ্ঠানে নারী শক্তির কার্যকর প্রতিনিধিত্বের প্রতীক হয়ে উঠবে।

অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে, পহেলগামে সন্ত্রাসীরা কেবল ভারতীয়দের রক্তপাত করেনি, তারা আমাদের সংস্কৃতিতেও আক্রমণ করেছে, তারা আমাদের সমাজকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছে। সবচেয়ে বড় কথা হল সন্ত্রাসীরা ভারতের নারী শক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। এটি তাদের জন্য মৃত্যুসংকেত হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনী শত শত কিলোমিটার দূরে শত্রুর ঘরে প্রবেশ করে তাদের সন্ত্রাসবাদী আস্তানা ধ্বংস করেছে। অপারেশন সিন্দুর ভারতের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সফল অভিযান। গুলি শেল দিয়ে জবাব দেওয়া হবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এখনও থামেনি।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "ভারত সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের দেশ। সিন্দুর আমাদের ঐতিহ্যে নারী শক্তির প্রতীক। রামের ভক্তিতে রাঙা হনুমানজিও সিন্দুর পরেছেন। আমরা শক্তি পূজায় সিঁদুর নিবেদন করি এবং এই সিঁদুর এখন ভারতের সাহসিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।"

জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "সর্বপ্রথম আমি ভারতের মাতৃশক্তি মা ভারতীকে প্রণাম জানাই। আজ এত বিপুল সংখ্যক মা, বোন এবং কন্যা আমাদের আশীর্বাদ করতে এখানে এসেছেন। আপনাদের সকলকে দেখে আমি ধন্য। আজ লোকমাতা দেবী অহল্যাবাই হোলকার জির ৩০০ তম জন্মবার্ষিকী। এটি ১৪০ কোটি ভারতীয়ের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক উপলক্ষ। এটি জাতি গঠনের জন্য ভাগীরথের প্রচেষ্টায় অবদান রাখার জন্য।"

তিনি বলেন, "দেবী অহল্যাবাই বলতেন যে শাসনব্যবস্থার প্রকৃত অর্থ হলো জনগণের সেবা করা এবং তাদের জীবন উন্নত করা। আজকের অনুষ্ঠান তার চিন্তাভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আজ ইন্দোর মেট্রো শুরু হয়েছে, দাতিয়া এবং সাতনাও এখন বিমান পরিষেবার সাথে যুক্ত।"

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে আড়াই থেকে তিনশ বছর আগে যখন দেশ দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ ছিল, তখন এমন মহৎ কাজ করেছিলেন যে আগামী বহু প্রজন্ম তা নিয়ে আলোচনা করবে, বলা সহজ, কিন্তু করা সহজ নয়। লোকমাতা অহল্যাবাঈ কখনও ঈশ্বরের সেবা এবং জনগণের সেবাকে আলাদা বলে মনে করতেন না। বলা হয় যে তিনি সর্বদা তাঁর সাথে একটি শিবলিঙ্গ বহন করতেন।

তিনি বলেন যে সেই চ্যালেঞ্জিং সময়ে, কাঁটা ভরা মুকুট পরে একটি রাজ্য পরিচালনা করা, কেউ কল্পনা করতে পারে যে, সেই কাজ কাঁটা ভরা মুকুট পরার মতো ছিল, কিন্তু লোকমাতা তার রাজ্যকে একটি নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি দরিদ্রতম দরিদ্রতম ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "দেবী অহল্যাবাঈ ছিলেন ভারতের ঐতিহ্যের একজন মহান রক্ষক। যখন দেশের সংস্কৃতি, আমাদের মন্দির, আমাদের তীর্থস্থান আক্রমণ করা হচ্ছিল, তখন লোকমাতা তাদের রক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি কাশী বিশ্বনাথ সহ সারা দেশে আমাদের অনেক মন্দির এবং তীর্থস্থান পুনর্নির্মাণ করেছিলেন।"

তিনি বলেন, "দেশের ১০ কোটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত। সরকার তাদের লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে, যাতে এই বোনেরা আয়ের নতুন উৎস তৈরি করতে পারে। দেবী অহল্যাবাঈ একবার খুব অনুপ্রেরণামূলক কথা বলেছিলেন, যা আমাদের কখনই ভুলে যাওয়া উচিত নয়। তাঁর কথা এভাবে বলতে গেলে - আমরা যা পাই তা জনগণই দেয় এবং আমাদের তা শোধ করা উচিত। আজ আমাদের সরকার লোকমাতা অহল্যাবাঈয়ের এই মূল্যবোধ অনুসারে কাজ করছে।"

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এটা আমার সৌভাগ্য যে, যে কাশীতে লোকমাতা অহল্যাবাঈ এত উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন, সেই কাশী আমাকেও সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। আজ, আপনি যদি কাশী বিশ্বনাথ মহাদেবের দর্শন করতে যান, তাহলে সেখানে দেবী অহল্যাবাঈয়ের মূর্তিও দেখতে পাবেন।'

লেবু লংকার এই টোটকা মানলেই রাতারাতি ভাগ্য যাবে বদলে


 বাস্তুশাস্ত্রে বাস্তু প্রতিকার এবং কৌশল সম্পর্কে বলা হয়েছে। বাস্তুশাস্ত্রের অধীনে এমন অনেক কৌশল বলা হয়েছে। সেগুলি গ্রহণ করে আপনি অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বাস্তুশাস্ত্রে লেবু এবং মরিচ দিয়ে অনেক কৌশল করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে, আসুন লেবু এবং লংকার বিশেষ কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।


ব্যবসা বৃদ্ধি

আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করতে চাইলে ৭টি কাঁচা লংকা এবং ৭টি লেবুর মালা তৈরি করে আপনার দোকানের সামনে ঝুলিয়ে দিন। এতে করে আপনার দোকানে গ্রাহকদের লাইন থাকবে।

লেবু- লংকা

যদি আপনার ভাগ্য আপনার সাথে না থাকে, তাহলে একটি লেবু নিয়ে নিজের মাথার উপরে ৭ বার ঘুরিয়ে নিন। তারপর এটিকে দুই টুকরো করে ভেঙে বাম হাতের টুকরোটি ডান দিকে এবং ডান হাতের টুকরোটি বাম দিকে ছুঁড়ে দিন। এটি করলে আপনার ঘুমন্ত ভাগ্য জেগে উঠবে।



কুদৃষ্টি

ভগবান হনুমানকে লেবু, মরিচ এবং ৪টি লবঙ্গ নিবেদন করুন। এটি করলে, যদি আপনার উপর কোন কুদৃষ্টি থাকে, তা অবিলম্বে দূর হবে এবং আপনি উন্নতি করতে শুরু করবেন।


​গাড়িতে ঝোলান

গাড়িতে লেবু-মরিচ ঝুলিয়ে রাখলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে। লেবু-মরিচ লাগালে গাড়ি সুরক্ষিত থাকে।


নেতিবাচক শক্তি

ঘরের বাইরে লেবু ও মরিচ ঝুলিয়ে রাখলে নেতিবাচক শক্তি দূরে থাকে। এর সাথে সাথে পরিবারে ঐক্য বৃদ্ধি পায় এবং সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।

নিজের স্ত্রীকে সঙ্গে রাখেনি মোদী, সিঁদুরের মূল্য তিনি কি বুঝবেন: আইএনএলডি নেত্রী সুনয়না চৌতালা

 


আইএনএলডি মহিলা শাখার রাজ্য ইনচার্জ সুনয়না চৌতালা বলেন, বিজেপির শাসনামলে নারীদের সম্মান নিরাপদ নয়। বুধবার তিনি জিন্দে পৌঁছেছেন। জেলা পর্যায়ে সংগঠন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছেন তিনি। এই সময় সুনয়না চৌতালা অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য করেন।


তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কীভাবে সিঁদুরের মূল্য বুঝবেন। মহিলারা কেবল একজন ব্যক্তির নামে সিঁদুর ব্যবহার করেন। সুনয়না বলেন, অজয় ​​চৌতালার আইএনএলডির সাথে কোনও সম্পর্ক নেই। সুনয়না চৌতালা বলেন, পূর্ববর্তী বিজেপি সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রী একজন মহিলাকে যৌন নির্যাতন করেছেন। এখন রাজ্যসভার সদস্য রামচন্দ্র জাংরা পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় স্বামী এবং অন্যান্য আত্মীয়স্বজন হারিয়েছেন এমন মহিলাদের অপমান করেছেন।

তিনি বিজেপির ঘরে ঘরে সিঁদুর বিতরণের সমালোচনা করেন।

রামচন্দ্র জাংরা যদি এর জন্য মহিলাদের কাছে ক্ষমা না চান এবং রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ না করেন, তাহলে আইএনএলডি মহিলা শাখা জাংরার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে। পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন সিঁদুরের পর ঘরে ঘরে সিঁদুর বিতরণের জন্য বিজেপির সমালোচনা করে সুনয়না চৌতালা বলেন, এই ধরণের লোকদের মহিলাদের সিঁদুর নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। যখন বিজেপির লোকেরা ঘরে ঘরে সিঁদুর নিয়ে যাবে, তখন মহিলারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

‘যারা সন্ত্রাসীদের সাহায্য করে তাদেরও মূল্য দিতে হবে...’, ভোপালে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাষণের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়


 প্রধানমন্ত্রী মোদী আজ মধ্যপ্রদেশ সফরে আছেন। এখানে তিনি দেবী অহল্যা বাই হোলকরের ৩০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করেন। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী ইন্দোর মেট্রো এবং দাতিয়া-সাতনা বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন। জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে আজকের অনুষ্ঠান দেবী অহল্যা বাইয়ের চিন্তাভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। মোদী বলেন যে দেবী অহল্যা ভারতের ঐতিহ্যের একজন মহান রক্ষক ছিলেন। তিনি দেশে অনেক মন্দির এবং তীর্থস্থান পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে, আসুন প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাষণের মূল বিষয়গুলি জেনে নিই।


১. প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে মাতা অহল্যা বাই শাসনব্যবস্থার এমন একটি চমৎকার মডেল গ্রহণ করেছিলেন। যেখানে দরিদ্র এবং বঞ্চিতদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। তিনি কর্মসংস্থান এবং উদ্যোগের জন্য অনেক প্রকল্প শুরু করেছিলেন।

২. প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, আজ যদি আমরা মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়ে আলোচনা করি, তাহলে কিছু লোক মনে করে যে ধর্মনিরপেক্ষতা বিপদের মুখে। তারা মনে করে যে এটি তাদের ধর্মের বিরুদ্ধে। কিন্তু এতদিন আগেও, অহল্যাবাঈ মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়ে ভেবেছিলেন।

৩।  অপারেশন সিন্দুরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, যদি তুমি গুলি চালাও, তাহলে আমরাও গুলি চালাবো। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে গুজরাট পর্যন্ত বিএসএফের শক্তি সারা বিশ্ব দেখেছে। এতেও আমাদের মেয়েদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অপারেশন সিন্দুর এখন পর্যন্ত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিযান। প্রধানমন্ত্রী তুরস্ক সহ সমস্ত দেশকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, যারা সন্ত্রাসীদের সাহায্য করে তাদের এখন মূল্য দিতে প্রস্তুত থাকা উচিত।

৪. প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, অহল্যা বাই মহেশ্বরী শাড়ির জন্য অনেক শিল্প স্থাপন করেছিলেন। এর জন্য তিনি জুনাগড় থেকে কিছু কারিগরকে ডেকে এই শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করেছিলেন। আমাদের তাঁতি পরিবারগুলি তার প্রচেষ্টা থেকে অনেক উপকৃত হয়েছিল।

৫. দেবী অহল্যা বাঈ তাঁর শাসনামলে দরিদ্র ও বঞ্চিতদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। কৃষিকাজের উন্নয়নের জন্য খাল খনন করা হয়েছিল এবং জল সংরক্ষণের জন্য পুকুর তৈরি করা হয়েছিল।

পিরিয়ডসের সময় ক'ঘন্টা অন্তর স্যানিটারি প্যাড বদলাতে হয়, অধিকাংশ মহিলা জানেন না

 


আজকের সময়ে, মহিলাদের কাছে পিরিয়ড সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য রয়েছে, কিন্তু এখনও মহিলারা পিরিয়ড সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলা এড়িয়ে চলেন। পিরিয়ডের সময় স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। এটি না করলে অনেক রোগের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। আজকের সময়ে, পরিষ্কার এবং নিরাপদ জিনিসপত্র ব্যবহার করা এবং পরিষ্কার জায়গায় পাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। তবে, আজও গ্রামীণ এলাকা এবং নিম্ন আয়ের সম্প্রদায়ের অনেক মেয়ে এবং মহিলা এই মৌলিক চাহিদাগুলি থেকে বঞ্চিত।


প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মনন গুপ্ত বলেন, স্কুলে পরিষ্কার টয়লেট বা স্যানিটারি প্যাডের অভাবে আজকাল অনেক মেয়ে ছাত্রী স্কুলে যায় না বা পড়াশোনা ছেড়ে দেয় না। পিরিয়ডের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই), প্রজনন ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (আরটিআই) এবং ত্বকের সমস্যার ঝুঁকিও বাড়ায়। মহিলাদের ফুসকুড়ি এবং ত্বকের জ্বালাপোড়ার ঝুঁকিও থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে একই প্যাড পরলে চুলকানি, ছত্রাকের সংক্রমণ বা ফুসকুড়ি হতে পারে। বারবার সংক্রমণের ফলে জরায়ুমুখে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পিরিয়ডের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

পিরিয়ডের সময় এই বিষয়গুলি মনে রাখবেন

স্যানিটারি প্যাড পরিষ্কার এবং আরামদায়ক হওয়া উচিত যেমন স্যানিটারি প্যাড, ট্যাম্পন, মাসিক কাপ

প্রতি ৪-৬ ঘন্টা অন্তর প্যাড পরিবর্তন করা উচিত

ব্যবহৃত প্যাডটি কাগজে মুড়িয়ে ফেলে দিন

যদি পিরিয়ডের সময় প্রচুর ব্যথা হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শে ব্যথানাশক ওষুধ খান

সচেতনতাও গুরুত্বপূর্ণ

ডাঃ মাননের মতে, মায়েদের তাদের প্রথম পিরিয়ড (মেনার্চে) সম্পর্কে মেয়েদের সাথে খোলামেলা কথা বলা উচিত। এই সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন কীভাবে নিতে হবে তা তাদের বলুন এবং পিরিয়ড সম্পর্কিত ভুল ধারণাগুলি সম্পর্কে তাদের মেয়েদের সাথেও উল্লেখ করুন। এটি ভবিষ্যতে অনেক গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

যে সিনেমা দেখে কেঁদে আকুল অজয় গ্রহণ ও কাজলের ছেলে, জানেন কতোটা সফল সেই ছবি?


 ১৯৯১ সালে 'ফুল অর কাঁতে' ছবি দিয়ে অভিষেক হওয়া প্রবীণ অভিনেতা অজয় দেবগন তার ক্যারিয়ারে অনেক ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন। বড় পর্দায় অ্যাকশন এবং রোমান্সের পাশাপাশি তিনি অনেক কমেডি ছবিও করেছেন। 'গোলমাল এগেইন'ও তার অসাধারণ কমেডি ছবির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু অজয়ের এই ছবি দেখার পর তার ছেলে যুগ দেবগন কাঁদতে শুরু করে। আপনি কি জানেন যে ছবিটি অজয়ের ছেলেকে কাঁদিয়েছিল, সেই ছবিটি বক্স অফিসে কতটা সাফল্য দিয়েছিল? আসুন আমরা সেই ছবির পাশাপাশি এর আয় সম্পর্কেও বলি।


'গোলমাল এগেইন' দেখার পর যুগ কাঁদতে শুরু করে।

অজয় দেবগন এবং কাজলের ছেলে যুগ তার বাবার 'গোলমাল এগেইন' ছবিটি খুব পছন্দ করেছিলেন। ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি বক্স অফিসে দুর্দান্ত ব্যবসা করেছিল। অজয় ​​একবার তার পরিবারের সাথে গোলমাল এগেইন দেখেছিলেন। তারপর অজয়ের ছেলে যুগ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। 'গোলমাল এগেইন' ছবিতে দেখানো হয়েছে যে পরিণীতি চোপড়ার চরিত্র খুশি মারা যায়। পরিণীতির চরিত্রের মৃত্যুতে যুগ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে এবং কাঁদতে শুরু করে।

ছবিটি ব্লকবাস্টার হয়েছিল

অজয় এবং পরিণীতি ছাড়াও, কুনাল খেমু, তুষার কাপুর, শ্রেয়স তালপাদে, আরশাদ ওয়ারসি এবং টাবুও গোলমাল এগেইন-এ কাজ করেছিলেন। এর পরিচালক ছিলেন রোহিত শেঠি। ২০১৭ সালের এই হরর কমেডি ছবিটি দর্শকদের কাছ থেকে অসাধারণ সাড়া পেয়েছিল। নির্মাতারা ছবিটি ৮০ কোটি টাকা বাজেটে তৈরি করেছিলেন। যদিও এটি ভারতীয় বক্স অফিসে ২০৫ কোটি টাকা আয় করেছিল। বিশ্বব্যাপী আয়ের সংখ্যা ২৬২.৮৮ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল এবং এই ছবিটি বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার প্রমাণিত হয়েছিল।


'ক্যারাটে কিডস: লেজেন্ড' ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছেন অজয়-যুগ।

অজয়ের ছেলে যুগ মাত্র ১৪ বছর বয়সী এবং অল্প বয়সেই সে চলচ্চিত্র জগতের প্রতি ঝোঁক তৈরি করে। যুগ এখন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র 'ক্যারাটে কিডস: লেজেন্ড' দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছেন। জ্যাকি চ্যানের এই সিনেমার হিন্দি সংস্করণে জ্যাকির কণ্ঠ দিয়েছেন অজয়। অন্যদিকে যুগ বেন ওয়াংয়ের চরিত্র লি ফং-এ কণ্ঠ দিয়েছেন। জ্যাকি চ্যানের ছবিটি গতকাল (৩০ মে) ভারতে মুক্তি পেয়েছে।

৮৪ বছর বয়সী মা তার মেয়ের কিডনি দান করে ইতিহাস গড়লেন এবং তাকে নতুন জীবন দিলেন


 রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের এসএমএস হাসপাতালে এক বৃদ্ধা মহিলা তার মেয়েকে নতুন জীবন দিয়েছেন। ৮৪ বছর বয়সী বুধো দেবী তার ৪৬ বছর বয়সী মেয়ে গুড্ডি দেবীকে একটি কিডনি দান করে তাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। রাজ্যের বৃহত্তম সরকারি হাসপাতালে এটিই প্রথম সবচেয়ে বয়স্ক কিডনি দাতার ঘটনা।


গুড্ডি দেবী ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে (CKD) ভুগছিলেন এবং নিয়মিত ডায়ালাইসিসের উপর নির্ভরশীল ছিলেন। যখন ডাক্তাররা বললেন যে দুটি কিডনিই সম্পূর্ণরূপে বিকল হয়ে গেছে এবং এখন প্রতিস্থাপনই একমাত্র সমাধান, তখন তার মা বুধো দেবী এগিয়ে আসেন। ৮৪ বছর বয়সে কিডনি দান করা চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, কিন্তু বুধো দেবী ভয় ছাড়াই তার মেয়ের জীবন বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেন।

ভারতপুর জেলার বাসিন্দা বুধো দেবী বলেন যে, যখন ডাক্তাররা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে আমি কি আমার মেয়েকে আমার কিডনি দান করতে পারি, তখন আমি মোটেও ভয় পাইনি। আমি আমার জীবন যাপন করেছি। যদি আমার কোনও অঙ্গ আমার সন্তানদের ব্যথা কমাতে পারে, তাহলে আমি আনন্দের সাথে প্রস্তুত। তিনি বলেন যে তিনি সর্বদা সুস্থ আছেন, তিনি কখনও কোনও বড় রোগে ভোগেননি।


বুদ্ধো দেবী জানান যে তাঁর সাত বিঘা জমি আছে যেখানে তিনি কৃষিকাজ করেন এবং গরু ও মহিষ পালন করেন। তিনি সারা জীবন মাঠে কঠোর পরিশ্রম করেছেন, গরুর দুধ এবং ঘরে তৈরি ঘি খেয়েছেন এবং তার খামার থেকে শাকসবজি খেয়েছেন। এত বৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও, বুদ্ধো দেবীর ডায়াবেটিস, রক্তচাপ বা অন্য কোনও রোগ নেই।

চিকিৎসকরা প্রশংসা করেছেন

এসএমএস হাসপাতালের সিনিয়র নেফ্রোলজিস্ট ডাঃ ধনঞ্জয় আগরওয়াল বলেছেন যে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে সবচেয়ে বয়স্ক দাতা ছিলেন একজন ৭৯ বছর বয়সী মহিলা, যিনি তার নাতিকে একটি কিডনি দিয়েছিলেন। কিন্তু বুধো দেবী এখন সবচেয়ে বয়স্ক দাতা হয়েছেন। তিনি জানান যে সাধারণত ৬০-৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের কাছ থেকে কিডনি নেওয়া হয় না, তবে বুধো দেবীর ফিটনেস, মানসিক শক্তি এবং আবেগ এই প্রতিস্থাপন সম্ভব করেছে।

মা ও মেয়ে উভয়ই সুস্থ

এই জটিল অস্ত্রোপচারটি ২৩শে মে করা হয়েছিল এবং বুধো দেবীকে মাত্র তিন দিন পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তার মেয়ে গুড্ডি দেবী বর্তমানে আইসিইউতে আছেন, তবে ডাক্তারদের মতে, তার অবস্থা স্থিতিশীল এবং নতুন কিডনিটি কাজ শুরু করেছে। হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ শিবম প্রিয়দর্শী বলেছেন যে বয়সের কারণে অঙ্গদান নিয়ে যারা বিভ্রান্তিতে আছেন তাদের জন্য এই মামলাটি আশার আলো।

"চীন আমেরিকার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে", ড্রাগনের উপর রেগে গেলেন ট্রাম্প



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩১ মে ২০২৫, ১২:১৬:০১ : শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি আর চীনের সাথে বাণিজ্যের বিষয়ে "মিস্টার নাইস গাই" থাকবেন না। তিনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ঘোষণা করেছেন যে চীন আমেরিকার সাথে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তবে, ট্রাম্প আবারও ওভাল অফিসে বলেছেন যে তিনি চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সাথে কথা বলবেন এবং এটি নিয়ে কাজ করার আশা করছেন, যদিও তিনি এখনও জোর দিয়েছিলেন যে চীন চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।


ট্রাম্প কোন চুক্তির কথা উল্লেখ করছিলেন তা স্পষ্ট ছিল না। তবে সম্প্রতি তিনি যখন চীনা পণ্যের উপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক ৯০ দিনের জন্য ৩০ শতাংশে কমিয়ে এনেছিলেন, তখন তিনি যে প্রত্যাশা প্রকাশ করেছিলেন, তার থেকে এই বক্তব্য অনেক দূরে ছিল। চীনও মার্কিন পণ্যের উপর কর ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করেছে।

ট্রাম্প লিখেছেন, "দুঃসংবাদ হল চীন আমাদের সাথে তার চুক্তি সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করেছে।" তিনি বলেছেন যে শুল্ক হ্রাস দ্রুত চীনা অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করেছে, যদিও এই হ্রাস আমেরিকান কোম্পানিগুলিকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। মন্তব্যগুলি বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা প্রতিফলিত করে, কারণ ট্রাম্প দেখাতে আগ্রহী যে তার শুল্ক আমেরিকান কারখানার চাকরি এবং দেশীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধির আকারে অর্থবহ ফলাফল আনতে পারে।

ট্রাম্প প্রশাসন এই সপ্তাহে অন্যান্য উপায়েও চীনের সাথে সংঘর্ষ বাড়িয়েছে, ঘোষণা করেছে যে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে।

ট্রাম্পের আলোচনার ধরণ প্রায়শই বেশিরভাগ হুমকি এবং অগ্রগতির দাবীর মধ্যে দোদুল্যমান। তার অনিয়মিত দৃষ্টিভঙ্গি আর্থিক বাজারগুলিকে বিক্রি এবং সমাবেশের চক্রে ফেলেছে, যা অনিশ্চয়তার একটি সাধারণ ধারণা তৈরি করেছে। এই সপ্তাহে আদালতের রায়ের মাধ্যমে এটি আরও জটিল হয়েছে যে ট্রাম্প এই বছরের শুরুতে ফেন্টানাইল পাচারের সাথে যুক্ত চীন, কানাডা এবং মেক্সিকোর উপর আমদানি কর আরোপ করে তার আইনি কর্তৃত্ব অতিক্রম করেছেন, এপ্রিল মাসে মুক্তি দিবসের শুল্কের সাথে।

বৃহস্পতিবার, একটি ফেডারেল আপিল আদালত ট্রাম্পকে জরুরি ক্ষমতা আইনের অধীনে সাময়িকভাবে শুল্ক আরোপের অনুমতি দিয়েছে যখন তিনি পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। শুক্রবার ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাস জানিয়েছে যে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে জেনেভায় আধিকারিকদের সাথে বৈঠকের পর থেকে দুই পক্ষ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে তাদের নিজ নিজ উদ্বেগের বিষয়ে সংলাপ বজায় রেখেছে। কিন্তু দূতাবাস আরও বলেছে যে চীন সরকার কম্পিউটার চিপ খাতে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অপব্যবহার এবং অন্যান্য সম্পর্কিত অনুশীলন নিয়ে বারবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

দুটি দেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উন্নত প্রযুক্তি উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, যেখানে ওয়াশিংটন চীনের সবচেয়ে উন্নত কম্পিউটার চিপগুলিতে প্রবেশাধিকার আটকাতে চাইছে। দূতাবাস বলেছে যে চীন আবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাদের ভুল সংশোধন, চীনের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং জেনেভায় সম্পাদিত ঐক্যমত্যকে যৌথভাবে বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

ওয়াশিংটন-ভিত্তিক থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক স্টিমসন সেন্টারের চীন প্রোগ্রামের পরিচালক সান ইউন বলেছেন, আমার মনে হয় চীনারা বাণিজ্য আলোচনায় বাধা দিচ্ছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাণিজ্য বিষয়গুলিকে রাজনীতিকরণ করে জাতীয় নিরাপত্তার ধারণাকে অতিরঞ্জিত করার অভিযোগ করেছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপগুলিকে চীনকে থামানোর এবং দমন করার একটি বিদ্বেষপূর্ণ প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন। লিন বলেছেন যে আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করি এবং দৃঢ়ভাবে আমাদের বৈধ অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষা করব।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেস্যান্ট বলেছেন যে চীনের সাথে আলোচনা বন্ধ হয়ে গেছে। বেস্যান্ট বলেন, "আলোচনার জটিলতা এবং বিশালতা বিবেচনা করে, দুই নেতার একে অপরের সাথে পরামর্শ করা প্রয়োজন। তাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং আমি বিশ্বাস করি যে যখন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প তার অগ্রাধিকারগুলি ব্যাখ্যা করবেন, তখন চীনারা আলোচনার টেবিলে আসবে।"

মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার শুক্রবার সিএনবিসিতে বলেন যে চীন সম্মতি অনুসারে অ-শুল্ক বাধা অপসারণ করেনি। "আমরা সেই গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির কিছু প্রবাহ যেমন হওয়া উচিত ছিল তেমনভাবে দেখিনি," গ্রিয়ার বলেন। ডিসেম্বরে, চীন গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম এবং অ্যান্টিমনি সহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। ট্রাম্পের শুল্কের প্রতিক্রিয়ায়, এটি এপ্রিলে বিরল খনিজগুলির উপর আরও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ঘোষণা করে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত কু-মন্তব্য করে যাওয়া পাকিস্তানী ক্রিকেটার আফ্রিদি কে উষ্ণ অভ্যর্থনা


 ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমবর্ধমান, পহেলগাম হামলার পর দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে অনেক দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এদিকে, দুবাই থেকে এমন একটি ছবি সামনে এসেছে যা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। দুবাইতে একটি অনুষ্ঠানে সেখানকার ভারতীয়রা পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদিকে স্বাগত জানিয়েছেন। যে ক্রিকেটারকে এত উষ্ণভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে ,তিনি কিন্তু  ক্রমাগত ভারতের বিরুদ্ধে বিষ উগরে যাচ্ছে।


পাকিস্তান অ্যাসোসিয়েশন দুবাই (PAD) তে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভারতীয় কেরালা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এই অনুষ্ঠানের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে এবং ভিডিওটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকেরা বলছেন যে একদিকে ক্রিকেটার ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রশ্ন করছেন, অন্যদিকে ভারতীয় সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেও একই ক্রিকেটারকে স্বাগত জানানো হচ্ছে।

আফ্রিদি আসার সাথে সাথেই ভারতের কেরালা সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে "বুম বুম" স্লোগান দিতে শুরু করে, যা এই অলরাউন্ডারের খেলার ধরণের সাথে সম্পর্কিত একটি ডাকনাম। এই অনুষ্ঠানে আফ্রিদিকে দেখে মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং তার জন্য স্লোগান দিতে শুরু করে। এই অনুষ্ঠানে আফ্রিদি বলেন, আমি কেরালার মানুষকে খুব পছন্দ করি। আমরা মাঠে ক্রিকেট-বিরোধী হয়ে খেলি, কিন্তু মাঠের বাইরে আমরা একই মানুষ।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর প্রশ্ন তোলা হয়েছিল

যে ক্রিকেটারের জন্য ভারতীয় সম্প্রদায়ের ভক্তরা পাগল হয়ে গিয়েছিলেন, তিনিই অপারেশন সিন্দুরের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছিলেন। অপারেশন সিন্দুরের পরে শহীদ আফ্রিদি ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পর্কে বলেছিলেন যে তারা যুদ্ধও করতে পারে না। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, আফ্রিদি বলেছিলেন, তারা আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে, আমাদের সেনাবাহিনী এতটাই প্রশিক্ষিত যে তারা আমাদের সাথে লড়াই করতে পারবে না।

পহেলগাম হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার সময়, আফ্রিদি ক্রমাগত বিবৃতি দিয়ে ভারত সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। পাকিস্তানের স্থানীয় মিডিয়া সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, আফ্রিদি অভিযোগ করেছিলেন যে ভারত নিজেই সন্ত্রাসবাদ চালায়, তার নিজস্ব জনগণের হত্যার জন্য দায়ী এবং তারপরে এর জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করে।

পহেলগাম হামলার পর থেকে শহীদ আফ্রিদি ক্রমাগত ভারতের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিচ্ছেন এবং বেশ সক্রিয়। পহেলগাম হামলার পর তিনি ভারতের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছেন। এমনকি আফ্রিদি কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রমাণ চেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অকেজোও বলেছিলেন।

সরকার ইউটিউব চ্যানেলটি নিষিদ্ধ করেছে

প্রাক্তন ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির ভারতবিরোধী ধারাবাহিক বক্তব্যের পরও, দুবাই থেকে যে ছবিটি বেরিয়ে এসেছে তা সকলকে হতবাক করেছে। ক্রিকেটারকে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা গেলেও, ভারতীয়রা  তাকে উষ্ম অভ্যর্থনা করছে। ভারত সরকার ভারতে শহীদ আফ্রিদির ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে। এর সাথে সাথে ভারত সরকার ভারতে ক্রিকেটার শোয়েব আখতার এবং বাসিত আলীর চ্যানেলও নিষিদ্ধ করেছে।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার সময় রোগীদের কোন কোন বিষয়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত?


 যদি আপনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন, তাহলে কেবল ওষুধ সেবনই যথেষ্ট নয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, সুশৃঙ্খল রুটিন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। তবেই আপনি আয়ুর্বেদের প্রকৃত উপকারিতা পেতে পারেন। হ্যাঁ, মনে রাখবেন যে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ধীরে ধীরে কাজ করে কারণ এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য সংশোধন করে। তাই, এটি কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস ধরে অনুসরণ করতে হতে পারে।


আয়ুর্বেদ হল ভারতের প্রাচীনতম চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে ভেষজ, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার ভারসাম্যের মাধ্যমে রোগের চিকিৎসা করা হয়। এই চিকিৎসায় কেবল লক্ষণ নয়, মূল থেকে শরীর নিরাময়ের উপর জোর দেওয়া হয়। তবে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার সময় কিছু বিষয়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এর পূর্ণ সুবিধা পাওয়া যায় এবং কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হয়।

আয়ুর্বেদিক ওষুধ তখনই কার্যকর যখন সেগুলি সঠিক সময়ে গ্রহণ করা হয়। সাধারণত কিছু ওষুধ খালি পেটে, কিছু খাবারের পরে এবং কিছু নির্দিষ্ট সময়ে দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, রাতে ঘুমানোর আগে ত্রিফলা গুঁড়ো গ্রহণ উপকারী। তাই, ডাক্তারের নির্দেশিত সময় এবং পরিমাণ অনুসারে ওষুধ গ্রহণ করুন। দিল্লি সরকারের আয়ুর্বেদের ডাঃ আরপি পরাশর বলেন যে চিকিৎসার সময়, খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং সময়মতো ওষুধ গ্রহণ করা উচিত।

আপনার খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ যত্ন নিন

আয়ুর্বেদের ডাঃ আরপি পরাশর বলেন যে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার সময় কিছু জিনিস নিষিদ্ধ। যেমন খুব ভাজা খাবার, খুব মশলাদার খাবার, টক জিনিস বা খুব ঠান্ডা জল ইত্যাদি। এই জিনিসগুলি ওষুধের প্রভাব কমাতে পারে। এছাড়াও, কিছু জিনিস একসাথে খাওয়া উচিত নয়। যেমন দুধের সাথে মাছ, অথবা মধু এবং ঘি সমান পরিমাণে মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয়।

অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ এড়িয়ে চলুন

ডঃ আর.পি. পরাশরের মতে, যখন আপনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিচ্ছেন, তখন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খাবেন না। কিছু ওষুধ একে অপরের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে এবং শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। যদি আপনার ইতিমধ্যেই কোনও গুরুতর অসুস্থতা থাকে এবং আপনি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ সেবন করছেন, তাহলে অবশ্যই আয়ুর্বেদিক ডাক্তারকে বলুন।

আপনার দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন আনুন

আয়ুর্বেদ কেবল একটি ওষুধ নয়, এটি জীবনযাত্রার উন্নতির বিজ্ঞানও। চিকিৎসার সময় নিয়মিত রুটিন অনুসরণ করুন। সময়মতো ঘুম থেকে উঠুন, যোগ-প্রাণায়াম করুন, সময়মতো খান এবং পর্যাপ্ত ঘুম পান। রাত জেগে ওঠা, অনিয়মিত খাবার এবং মানসিক চাপ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

তাজা এবং বিশুদ্ধ খাবার খান

আয়ুর্বেদে সাত্ত্বিক খাবারকে সেরা বলে মনে করা হয়। চিকিৎসার সময়, বাসি, জাঙ্ক ফুড বা রাসায়নিকযুক্ত প্যাকেটজাত খাবার সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন। শুধুমাত্র ঘরে তৈরি তাজা খাবার, মৌসুমি ফল ও শাকসবজি এবং হালকা মশলাদার খাবার খান। এতে ওষুধগুলি দ্রুত কাজ করবে।

জল কীভাবে খাবেন

ঔষধের সাথে আপনি কীভাবে জল খান তাও গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও হজমশক্তি উন্নত করার জন্য হালকা গরম জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। খাওয়ার পরপরই অতিরিক্ত জল পান করা একেবারেই নিষিদ্ধ। এছাড়াও, সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ধীরে ধীরে কাজ করে কারণ এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে।

ভারতের সাথে বড় চুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে আমেরিকা! "পাকিস্তানও আমেরিকায় অফিসার পাঠাচ্ছে", বললেন ট্রাম্প



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩১ মে ২০২৫, ১১:০০:০১ : শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটি বড় চুক্তি হতে চলেছে। তবে, এই সময়ের মধ্যে তিনি আরও বলেছেন যে পাকিস্তানি আধিকারিকরাও এর জন্য আমেরিকা সফর করবেন। ট্রাম্প আরও বলেছেন যে যদি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত হয়, তাহলে আমেরিকা এই দুই দেশের কারও সাথেই বাণিজ্য চুক্তি করবে না। জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, "পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা আগামী সপ্তাহে আমেরিকায় আসছেন। আমরা ভারতের সাথে একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি। কিন্তু যদি এই দুটি দেশ যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তাহলে আমার কোনও চুক্তিতে কোনও আগ্রহ থাকবে না।" 



২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা এবং ভারতের 'অপারেশন সিন্দুর' সামরিক পদক্ষেপের প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প এই কথা বলেন। এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়ায়, ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoJK) অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে। এই সময়কালে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে বেশ কয়েকবার সামরিক সংঘর্ষ হয়েছে, যা গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর বলে মনে করা হয়।




রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তান সম্ভাব্য ২৯% আমদানি শুল্ক এড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের ৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্তকে একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দেশের উপর নতুন বাণিজ্য শুল্ক ঘোষণা করেছে আমেরিকা।




ট্রাম্প আরও বলেছেন যে আমেরিকা ভারতের সাথে একটি সীমিত বাণিজ্য চুক্তির খুব কাছাকাছি। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে এই ধরনের চুক্তির ভিত্তি হবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা, সামরিক সংঘাত নয়।



এদিকে, মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউ ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে ঐতিহাসিক শীর্ষে বলে বর্ণনা করেছেন। ওয়াশিংটনে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরির সাথে দেখা করার পর তিনি বলেছেন যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক একবিংশ শতাব্দীর জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব। "আমরা ন্যায্য ও পারস্পরিক বাণিজ্য, অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ এবং মাদক পাচারের বিরুদ্ধে সহযোগিতার মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছি," তিনি বলেন।




রয়টার্সের আরেকটি প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে যে ভারত শীঘ্রই মার্কিন কোম্পানিগুলিকে ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের সরকারি চুক্তিতে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে পারে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আরও গভীর করে তুলবে। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন, যেখানে তিনি বাণিজ্য আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন।




ভারত বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির উপর ২৬% শুল্কের সম্মুখীন হচ্ছে এবং এই চুক্তি সেই বোঝা কমানোর দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

বাস্তু টিপস: যদি বাচ্চারা পড়াশোনায় আগ্রহী না হয় তবে এই বাস্তু প্রতিকারগুলি অবলম্বন করুন, প্রভাব তাৎক্ষণিকভাবে দৃশ্যমান হবে


 পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার সন্তান পড়াশোনায় ক্রমাগত পিছিয়ে থাকে। সে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না, তাহলে আপনার বাস্তুশাস্ত্রের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। ঘরে বাস্তু ত্রুটি থাকলে নেতিবাচকতা বৃদ্ধি পায়। একই সাথে মনের একাগ্রতা সম্ভব হয় না। যার কারণে মানসিক চাপ বাড়তে শুরু করে।


বাস্তুশাস্ত্রে এমন কিছু ব্যবস্থা বলা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে। প্রায়শই শিশুদের শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত জিনিসগুলি মনে রাখতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় এবং ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার কারণে শিশুরাও চাপের মধ্যে থাকে।

এই নিবন্ধের মাধ্যমে, আমরা আপনাকে এমন কিছু বাস্তু প্রতিকারের কথা বলছি, যা শিশুদের স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা বিকাশ করবে।

পড়াশোনা করতে কেন ইচ্ছা করে না?

সনাতন সহ সকল ধর্মেই বাস্তু নিয়ম মেনে চলা হয়। এতে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। একই সাথে অবহেলার কারণে মানসিক চাপ এবং অর্থের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর জন্য, জ্যোতিষীরা সর্বদা ঘরে এবং বাড়ির সমস্ত ঘরে বাস্তু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন।

মানুষ ঘর তৈরির সময় বাস্তু নিয়ম মেনে চলে, কিন্তু ঘরের ঘরে বাস্তুর নিয়ম পুরোপুরি মেনে চলে না। বিশেষ করে, পড়ার ঘরে বাস্তুর নিয়ম না মানার কারণে, শিশুর পড়াশোনায় মন লাগে না। এর ফলে তাদের পড়াশোনার উপর প্রভাব পড়ে। একই সাথে, অনেক বাবা-মা সন্তানদের দোষারোপ করতে শুরু করেন।

প্রায়শই দেখা যায় যে বাচ্চারা হঠাৎ করে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং পড়াশোনার সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো মনে রাখতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়। এছাড়াও, বর্তমান সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার কারণে, বাচ্চাদের প্রায়ই চাপের মধ্যে থাকতে দেখা যায়। শিশুদের এই সমস্যার একটি কারণ বাস্তু ত্রুটিও হতে পারে।

দিকটি মনে রাখবেন

পড়াশোনার ঘরটি উত্তর-পূর্ব দিকে থাকা উচিত। যদি অধ্যয়নের ঘরটি দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে থাকে, তাহলে শিশু পড়াশোনায় মনোযোগ দেয় না।

পড়াশোনার ঘরে শিশু দক্ষিণ দিকে মুখ করে থাকা উচিত নয়। সহজ কথায়, দক্ষিণ দিকে মুখ করে বসবেন না।

এই দিকে আগুনের প্রাধান্য থাকে। এর ফলে শিশু পড়াশোনায় মনোযোগ দেয় না। এছাড়াও, শিশু খিটখিটে হয়ে ওঠে।

পড়াশোনার ঘরে টেবিলে একটি শিক্ষা টাওয়ার, গ্লোব বা পিরামিড রাখতে ভুলবেন না। এছাড়াও, উত্তর দিকের দেয়ালে স্ফটিকের বল রাখুন।

পড়াশোনার ঘরে মা সরস্বতী , হনুমানজি এবং গণেশজির ছবি রাখতে ভুলবেন না।

পড়াশোনার ঘরে প্রতিদিন স্নান করার পর হনুমান এবং সরস্বতী চালিশা পাঠ করতে শিশুকে উৎসাহিত করুন।

আলমারি কোথায় রাখবেন

পড়াশোনার ঘরে সর্বদা পূর্ব বা উত্তর দিকে আলমারি রাখুন। এছাড়াও, পড়াশোনার সময় শিশুর পূর্ব দিকে মুখ করে বসতে হবে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কাঁধে আলো এবং বাতাস আসার ফলে শিশুর মন বিক্ষিপ্ত হয়। এর জন্য আলোর ব্যবস্থার দিকেও খেয়াল রাখুন। শিশুকে রাস্তায় বা তার সামনে বসে পড়াশোনা করার পরামর্শ দেবেন না। এতে শিশুর মনোযোগ নষ্ট হয়।

পড়ার ঘরে মোমবাতি রাখুন

বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের পড়ার ঘরে মোমবাতি রাখা উচিত। এতে তাদের মন পড়াশোনার দিকে মনোনিবেশ করবে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, শিশুদের ঘরের উত্তর-পূর্ব বা দক্ষিণ অংশে মোমবাতি জ্বালালে শিশুরা পড়াশোনায় আগ্রহী হয়। তাদের মন পড়াশোনায় মনোনিবেশিত হয়। এর সাথে সাথে বৌদ্ধিক ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

এই দিকে টেবিল রাখুন

পড়ার টেবিলের আকৃতি আয়তাকার হওয়া উচিত। অনিয়মিত আকার কিছু মানুষকে আকর্ষণ করে, তবে এটি শিশুদের পড়াশোনার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। মনে রাখবেন পড়ার টেবিলটি পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করে থাকা উচিত।

জাফরান তিলক লাগান

যদি বাচ্চাদের পড়াশোনা করতে ইচ্ছা না করে, তাহলে তাদের পকেটে এক টুকরো ফিটকিরি রাখুন। প্রতিদিন শিশুর কপাল এবং নাভিতে জাফরান তিলক লাগান। এছাড়াও, টিভি, ভিডিও গেম এবং সিডি প্লেয়ারের মতো জিনিসগুলি পড়ার ঘরে রাখা উচিত নয়। এই জিনিসগুলি পড়া থেকে মনকে বিভ্রান্ত করে।

রঙিন দেয়াল

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, শিশুরা যেখানে পড়ে তার দেয়াল সর্বদা বাদাম, আকাশী নীল, সাদা বা হালকা ফিরোজা রঙের হওয়া উচিত। বাচ্চাদের পড়ার টেবিলটিও যদি এই রঙের হয় তবে আরও ভালো হবে। বাচ্চাদের পড়ার ঘরগুলি কখনই নীল, কালো বা লাল রঙ করা উচিত নয়, এটি শিশুদের পড়াশোনার ক্ষতি করে।

পড়ার ঘরে প্রচুর আলো

বাচ্চাদের পড়ার ঘরে প্রচুর আলো থাকা উচিত। কম আলো নেতিবাচক শক্তি সঞ্চার করে, যার ফলে শিশুদের মন স্থির থাকে না এবং পড়াশোনায় একঘেয়েমি দেখা দেয়। এছাড়াও, টিভি, ম্যাগাজিন, সিডি প্লেয়ার, ভিডিও গেম, আবর্জনা ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পড়ার ঘরে রাখবেন না, এই জিনিসগুলিও নেতিবাচক শক্তি সঞ্চার করে।

ভগবান গণেশের ছবি বা মূর্তি

শিশুদের পড়ার ঘরে শিক্ষার দেবী, মা সরস্বতী এবং জ্ঞানের দাতা স্থাপন করা উচিত। এছাড়াও, শিশুদের পড়ার টেবিলটি চৌকো হওয়া উচিত এবং কখনও দেয়াল বা দরজার সাথে টেবিলটি রাখবেন না। এছাড়াও, আলোর নীচে বা তার ছায়ায় টেবিলটি রাখবেন না, এটি শিশুদের পড়াশোনার উপর প্রভাব ফেলে।

পড়ার ঘরটি উত্তর-পূর্ব দিকে হওয়া উচিত

শিশুদের পড়ার ঘরটি সর্বদা উত্তর-পূর্ব দিকে হওয়া উচিত। এই দিকের অধিপতি হলেন সূর্য দেবতা এবং সূর্য দেবতাকে উজ্জ্বলতা এবং শক্তির প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই কারণে, উত্তর-পূর্ব দিকটি শিশুদের মন, বুদ্ধি এবং বিচক্ষণতার উপর প্রভাব ফেলে। মনে রাখবেন যে শিশুদের পড়ার ঘরটি কখনই দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে হওয়া উচিত নয়। এই দিকে ঘর থাকলে বাচ্চাদের পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায়।

যারা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন তারা কি কোভিড আক্রান্ত হবেন না? বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নিন

 


দেশে আবারও করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা এড়াতে যে টিকা দেওয়া হয়েছিল তা এখনও কার্যকর হবে কিনা তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। যারা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন তারাও কি করোনা সংক্রমণের শিকার হতে পারেন? এর পাশাপাশি, এবার করোনা এড়াতে কি আমাদের আবার টিকা নিতে হবে? আমরা একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে এই বিষয়ে কথা বলেছি।



করোনা সংক্রমণ বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দেশে ১০০০ জনেরও বেশি করোনা রোগীর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগীর সংখ্যা কেরালায় (৪৩০) এবং সবচেয়ে কম সংখ্যা দিল্লিতে (১২৬)। মহারাষ্ট্র সহ আরও অনেক রাজ্যে করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। মাত্র দুই সপ্তাহে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। করোনা যে গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে তা দেখে, সেইসব মানুষ বেশি চিন্তিত যারা কোভিডের আগের তরঙ্গে তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। এমনও মানুষ আছেন যারা আগের তরঙ্গে সংক্রমণের মুখোমুখি হয়েছেন।

নতুন রূপের কারণে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে

এবার দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পিছনে কোভিড ভাইরাসের নতুন রূপ রয়েছে। বিশ্বজুড়ে চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরাও সন্দেহ করছেন যে নতুন রূপটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও এড়াতে পারে। যার কারণে আরও বেশি মানুষের সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এর পরে, নতুন রূপের বিপদ এড়াতে ভ্যাকসিন নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে নতুন রূপগুলি খুব গুরুতর নয়, যার কারণে এই মুহূর্তে তাদের খুব বেশি ছড়িয়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

যারা টিকা নেবেন তারাও কি সংক্রামিত হবেন?

গাজিয়াবাদের জেলা নজরদারি কর্মকর্তা (ডিএসও) ডাঃ রাকেশ কুমার গুপ্ত বলেছেন যে যারা কোভিড ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ বা দুটি ডোজ নিয়েছেন তাদের নতুন রূপ থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি খুব কম। এমনকি যদি এই ধরণের লোকেরা সংক্রামিত হয়, তাদের গুরুতর সংক্রমণ হবে না। তিনি বলেন যে এখনও পর্যন্ত করা গবেষণা অনুসারে, নতুন রূপের প্রভাব 4 বা 8 দিন স্থায়ী হতে পারে। অতএব, এটি নিয়ে ভয় পাওয়ার দরকার নেই, তবে সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক দূরত্ব এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার চালিয়ে যান।

ডাঃ রাকেশ কুমার বলেছেন যে যারা বুস্টার ডোজ পেয়েছেন তাদের ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, তাদের ভাইরাস থেকে গুরুতর সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকে, যদিও এমন নয় যে যারা বুস্টার ডোজ নেবেন তারা মোটেও সংক্রামিত হবেন না। তারাও সংক্রামিত হতে পারেন, তবে লক্ষণগুলি গুরুতর হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

"আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যার খেলা চলছে", প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশকে আক্রমণ মমতার



কলকাতা, ৩১ মে ২০২৫, ১০:২২:০১ : শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, "আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমাবেশ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা চালানো হয়েছে।" রাজ্যে সহিংসতা, দুর্নীতি ও অরাজকতার অভিযোগ তুলে মোদীর আক্রমণের পর মমতার এই বক্তব্য আসে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সমাবেশে মুর্শিদাবাদ সহিংসতা এবং শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনা করেন এবং অভিযোগ করেন যে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস সরকার নির্মম হয়ে উঠেছে। মোদী দাবী করেছিলেন যে রাজ্যের মানুষ এখন পরিবর্তন চায় এবং এই সরকারকে অপসারণ করতে মরিয়া।

এর জবাবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ লিখেছেন, "গতকাল, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে রাজনীতি দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি বিদ্বেষপূর্ণ ও মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছিল। এটি ছিল আমাদের সরকারের করা উন্নয়নমূলক কাজ মুছে ফেলার চেষ্টা।" তিনি বলেন, "আলিপুরদুয়ার জেলায় তৃণমূল সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, যা উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়।"

মনে করা হচ্ছে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, বাংলার রাজনীতিতে সংঘাত এবং বাকবিতণ্ডা ততই বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের মাধ্যমে বিজেপি যখন বাংলায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর তীব্র জবাব দিতে দ্বিধা করছেন না।

পুড়ে গেলে বরফ লাগান? ভুলেও এই ভুল নয়, সঠিক উপায় জানালেন চিকিৎসক


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ৩১ মে ২০২৫: রান্নাঘরে কাজ করার সময়, গরম জল বা তেলের কারণে বা অন্য কোনও দুর্ঘটনার কারণে পুড়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। এমন পরিস্থিতিতে, বেশিরভাগ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে বরফ লাগান, তবে ডাক্তারদের মতে, এটি একটি বড় ভুল। বরফ অবশ্যই পোড়া থেকে তাৎক্ষণিক উপশমের অনুভূতি দেয়, তবে এটি ত্বকের টিস্যুর আরও ক্ষতি করতে পারে। বিখ্যাত ডাক্তার অগ্নি বোস তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে পোড়ার প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি শেয়ার করেছেন, যা সকলের জানা উচিৎ।


প্রথমত, পোড়ার ক্ষেত্রে সঠিক প্রাথমিক চিকিৎসা কী হওয়া উচিৎ, তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। ডঃ অগ্নি ব্যাখ্যা করেন যে, যদি কারও হাত বা শরীরের কোনও অংশ পুড়ে যায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে বরফ প্রয়োগ না করে, তা পরিষ্কার, ঠাণ্ডা এবং প্রবাহিত জলের নীচে ১০ মিনিটের জন্য রাখুন। এটি ধীরে ধীরে ত্বকের পৃষ্ঠে উপস্থিত তাপ হ্রাস করে এবং পোড়ার প্রভাবও হালকা হতে পারে। ঠাণ্ডা জল কেবল স্বস্তি দেয় না বরং ত্বককে আরও ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে।


ডঃ বোস স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, বরফ প্রয়োগ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, কারণ এটি ত্বককে পুড়িয়ে দিতে পারে এবং পোড়ার গভীরতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। পরিবর্তে, সঠিক উপায় হল পোড়া জায়গায় মুপিরোসিন বা ফুসিডিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম প্রয়োগ করা। এই ক্রিমগুলি সংক্রমণ রোধ করে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ডাক্তাররা পরামর্শ দেন যে, এই ক্রিমগুলি প্রত্যেকের প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সে বা ভ্রমণের থলিতে থাকা উচিৎ, যাতে প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবহার করা যায়।


পোড়া জায়গা ঢেকে রাখার সময়ও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। প্রায়শই লোকেরা তুলা ব্যবহার করেন, তবে এটি করা উচিৎ নয়। তুলা পোড়া জায়গায় লেগে থাকতে পারে এবং এটি অপসারণ করার সময়, ক্ষত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পরিবর্তে, পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত গজ ব্যবহার করুন। ক্ষতটি ঢেকে রাখা নিরাপদ এবং সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে। যদি পোড়া স্থানে ফোসকা তৈরি হয়, তাহলে কখনও নিজে নিজে সেগুলি ফাটিয়ে ফেলবেন না। এই ফোসকাগুলি শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষামূলক ঢাল, যা ক্ষতকে বাইরের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ফেটে গেলে সংক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। যদি ফোসকা খুব বড় হয় বা অসহ্য ব্যথা হয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরেই যেকোনও পদক্ষেপ করুন।


ড্রেসিং করার সময় যদি ব্যান্ডেজ ভিজে যায়, তাহলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ধীরে ধীরে এটি খুলে পরিষ্কার করুন এবং প্রতিদিন ড্রেসিং পরিবর্তন করতে থাকুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত যত্নের মাধ্যমে পোড়া দাগ দ্রুত সেরে যায় এবং দাগ পড়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। তাই পরের বার যদি এমন দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে বরফের পরিবর্তে ঠাণ্ডা জল, অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম এবং গজ দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করুন। ডাক্তারের এই পরামর্শগুলি অনুসরণ করে, আপনি গুরুতর পোড়াও সহজেই মোকাবেলা করতে পারবেন, তাও কোনও দাগ ছাড়াই।