Saturday, May 31, 2025
বাস্তু টিপস: যদি বাচ্চারা পড়াশোনায় আগ্রহী না হয় তবে এই বাস্তু প্রতিকারগুলি অবলম্বন করুন, প্রভাব তাৎক্ষণিকভাবে দৃশ্যমান হবে
পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার সন্তান পড়াশোনায় ক্রমাগত পিছিয়ে থাকে। সে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না, তাহলে আপনার বাস্তুশাস্ত্রের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। ঘরে বাস্তু ত্রুটি থাকলে নেতিবাচকতা বৃদ্ধি পায়। একই সাথে মনের একাগ্রতা সম্ভব হয় না। যার কারণে মানসিক চাপ বাড়তে শুরু করে।
বাস্তুশাস্ত্রে এমন কিছু ব্যবস্থা বলা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে। প্রায়শই শিশুদের শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত জিনিসগুলি মনে রাখতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় এবং ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার কারণে শিশুরাও চাপের মধ্যে থাকে।
এই নিবন্ধের মাধ্যমে, আমরা আপনাকে এমন কিছু বাস্তু প্রতিকারের কথা বলছি, যা শিশুদের স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা বিকাশ করবে।
পড়াশোনা করতে কেন ইচ্ছা করে না?
সনাতন সহ সকল ধর্মেই বাস্তু নিয়ম মেনে চলা হয়। এতে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। একই সাথে অবহেলার কারণে মানসিক চাপ এবং অর্থের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর জন্য, জ্যোতিষীরা সর্বদা ঘরে এবং বাড়ির সমস্ত ঘরে বাস্তু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন।
মানুষ ঘর তৈরির সময় বাস্তু নিয়ম মেনে চলে, কিন্তু ঘরের ঘরে বাস্তুর নিয়ম পুরোপুরি মেনে চলে না। বিশেষ করে, পড়ার ঘরে বাস্তুর নিয়ম না মানার কারণে, শিশুর পড়াশোনায় মন লাগে না। এর ফলে তাদের পড়াশোনার উপর প্রভাব পড়ে। একই সাথে, অনেক বাবা-মা সন্তানদের দোষারোপ করতে শুরু করেন।
প্রায়শই দেখা যায় যে বাচ্চারা হঠাৎ করে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং পড়াশোনার সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো মনে রাখতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়। এছাড়াও, বর্তমান সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার কারণে, বাচ্চাদের প্রায়ই চাপের মধ্যে থাকতে দেখা যায়। শিশুদের এই সমস্যার একটি কারণ বাস্তু ত্রুটিও হতে পারে।
দিকটি মনে রাখবেন
পড়াশোনার ঘরটি উত্তর-পূর্ব দিকে থাকা উচিত। যদি অধ্যয়নের ঘরটি দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে থাকে, তাহলে শিশু পড়াশোনায় মনোযোগ দেয় না।
পড়াশোনার ঘরে শিশু দক্ষিণ দিকে মুখ করে থাকা উচিত নয়। সহজ কথায়, দক্ষিণ দিকে মুখ করে বসবেন না।
এই দিকে আগুনের প্রাধান্য থাকে। এর ফলে শিশু পড়াশোনায় মনোযোগ দেয় না। এছাড়াও, শিশু খিটখিটে হয়ে ওঠে।
পড়াশোনার ঘরে টেবিলে একটি শিক্ষা টাওয়ার, গ্লোব বা পিরামিড রাখতে ভুলবেন না। এছাড়াও, উত্তর দিকের দেয়ালে স্ফটিকের বল রাখুন।
পড়াশোনার ঘরে মা সরস্বতী , হনুমানজি এবং গণেশজির ছবি রাখতে ভুলবেন না।
পড়াশোনার ঘরে প্রতিদিন স্নান করার পর হনুমান এবং সরস্বতী চালিশা পাঠ করতে শিশুকে উৎসাহিত করুন।
আলমারি কোথায় রাখবেন
পড়াশোনার ঘরে সর্বদা পূর্ব বা উত্তর দিকে আলমারি রাখুন। এছাড়াও, পড়াশোনার সময় শিশুর পূর্ব দিকে মুখ করে বসতে হবে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কাঁধে আলো এবং বাতাস আসার ফলে শিশুর মন বিক্ষিপ্ত হয়। এর জন্য আলোর ব্যবস্থার দিকেও খেয়াল রাখুন। শিশুকে রাস্তায় বা তার সামনে বসে পড়াশোনা করার পরামর্শ দেবেন না। এতে শিশুর মনোযোগ নষ্ট হয়।
পড়ার ঘরে মোমবাতি রাখুন
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের পড়ার ঘরে মোমবাতি রাখা উচিত। এতে তাদের মন পড়াশোনার দিকে মনোনিবেশ করবে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, শিশুদের ঘরের উত্তর-পূর্ব বা দক্ষিণ অংশে মোমবাতি জ্বালালে শিশুরা পড়াশোনায় আগ্রহী হয়। তাদের মন পড়াশোনায় মনোনিবেশিত হয়। এর সাথে সাথে বৌদ্ধিক ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
এই দিকে টেবিল রাখুন
পড়ার টেবিলের আকৃতি আয়তাকার হওয়া উচিত। অনিয়মিত আকার কিছু মানুষকে আকর্ষণ করে, তবে এটি শিশুদের পড়াশোনার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। মনে রাখবেন পড়ার টেবিলটি পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করে থাকা উচিত।
জাফরান তিলক লাগান
যদি বাচ্চাদের পড়াশোনা করতে ইচ্ছা না করে, তাহলে তাদের পকেটে এক টুকরো ফিটকিরি রাখুন। প্রতিদিন শিশুর কপাল এবং নাভিতে জাফরান তিলক লাগান। এছাড়াও, টিভি, ভিডিও গেম এবং সিডি প্লেয়ারের মতো জিনিসগুলি পড়ার ঘরে রাখা উচিত নয়। এই জিনিসগুলি পড়া থেকে মনকে বিভ্রান্ত করে।
রঙিন দেয়াল
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, শিশুরা যেখানে পড়ে তার দেয়াল সর্বদা বাদাম, আকাশী নীল, সাদা বা হালকা ফিরোজা রঙের হওয়া উচিত। বাচ্চাদের পড়ার টেবিলটিও যদি এই রঙের হয় তবে আরও ভালো হবে। বাচ্চাদের পড়ার ঘরগুলি কখনই নীল, কালো বা লাল রঙ করা উচিত নয়, এটি শিশুদের পড়াশোনার ক্ষতি করে।
পড়ার ঘরে প্রচুর আলো
বাচ্চাদের পড়ার ঘরে প্রচুর আলো থাকা উচিত। কম আলো নেতিবাচক শক্তি সঞ্চার করে, যার ফলে শিশুদের মন স্থির থাকে না এবং পড়াশোনায় একঘেয়েমি দেখা দেয়। এছাড়াও, টিভি, ম্যাগাজিন, সিডি প্লেয়ার, ভিডিও গেম, আবর্জনা ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পড়ার ঘরে রাখবেন না, এই জিনিসগুলিও নেতিবাচক শক্তি সঞ্চার করে।
ভগবান গণেশের ছবি বা মূর্তি
শিশুদের পড়ার ঘরে শিক্ষার দেবী, মা সরস্বতী এবং জ্ঞানের দাতা স্থাপন করা উচিত। এছাড়াও, শিশুদের পড়ার টেবিলটি চৌকো হওয়া উচিত এবং কখনও দেয়াল বা দরজার সাথে টেবিলটি রাখবেন না। এছাড়াও, আলোর নীচে বা তার ছায়ায় টেবিলটি রাখবেন না, এটি শিশুদের পড়াশোনার উপর প্রভাব ফেলে।
পড়ার ঘরটি উত্তর-পূর্ব দিকে হওয়া উচিত
শিশুদের পড়ার ঘরটি সর্বদা উত্তর-পূর্ব দিকে হওয়া উচিত। এই দিকের অধিপতি হলেন সূর্য দেবতা এবং সূর্য দেবতাকে উজ্জ্বলতা এবং শক্তির প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই কারণে, উত্তর-পূর্ব দিকটি শিশুদের মন, বুদ্ধি এবং বিচক্ষণতার উপর প্রভাব ফেলে। মনে রাখবেন যে শিশুদের পড়ার ঘরটি কখনই দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে হওয়া উচিত নয়। এই দিকে ঘর থাকলে বাচ্চাদের পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায়।
No comments:
Post a Comment