ফ্যাটি লিভারকে উপেক্ষা করা ব্যয়বহুল হতে পারে, সময়মতো লক্ষণগুলি সনাক্ত করুন - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, May 9, 2025

ফ্যাটি লিভারকে উপেক্ষা করা ব্যয়বহুল হতে পারে, সময়মতো লক্ষণগুলি সনাক্ত করুন

 


আজকের অনিয়মিত জীবনধারা এবং ভারসাম্যহীন খাদ্যাভ্যাসের কারণে লিভার সম্পর্কিত রোগ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে একটি হল ফ্যাটি লিভার - যা প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাভাবিক বলে মনে হয়, কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে এটি লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগের রূপ নিতে পারে। ফ্যাটি লিভার প্রথমে গুরুতর মনে নাও হতে পারে, কিন্তু যদি উপেক্ষা করা হয়, তাহলে এটি মারাত্মক হতে পারে। সঠিক তথ্য, নিয়মিত চেক-আপ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণের মাধ্যমে কেবল এই রোগ প্রতিরোধ করা যায় না, লিভারকেও সুস্থ রাখা যায়।


ফ্যাটি লিভার কী?

যখন লিভারের কোষে চর্বি জমা হতে শুরু করে এবং এই চর্বি লিভারের মোট ওজনের ১০% এর বেশি হয়ে যায়, তখন তাকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়। এটি দুই ধরণের হতে পারে:

অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার - অ্যালকোহল সেবনের কারণে ঘটে।

নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (NAFLD) - এমনকি যারা মদ্যপান করেন না তাদের মধ্যেও এটি দেখা দিতে পারে।
➤ ফ্যাটি লিভারের প্রধান কারণ
➤ অতিরিক্ত মদ্যপান

ভুল খাদ্যাভ্যাস (যেমন ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার)
➤ ডায়াবেটিস
➤ স্থূলতা
➤ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড বৃদ্ধি
➤ শারীরিক কার্যকলাপের অভাব
➤ ধূমপান

ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ - যখন রোগটি বৃদ্ধি পায়

ফ্যাটি লিভারের প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত কোনও লক্ষণ থাকে না। কিন্তু এটি আরও তীব্র হওয়ার সাথে সাথে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে:

➤ নিরন্তর ক্লান্ত বোধ করা
➤ পেটের উপরের ডান অংশে হালকা ব্যথা
➤ গাঢ় রঙের প্রস্রাব
➤ পেট ফুলে যাওয়া
➤ ত্বকের চুলকানি
➤ চোখ এবং ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া (জন্ডিস)
➤ কালো রঙের মল
➤ গুরুতর ক্ষেত্রে রক্ত ​​বমি হওয়া

ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধের টিপস

১. আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন - স্থূলতা ফ্যাটি লিভারের সবচেয়ে বড় কারণ।
২. স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন - অতিরিক্ত ভাজা, চর্বিযুক্ত এবং চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৩. অ্যালকোহল পান করবেন না - অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন - প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করা খুবই উপকারী।
৫. ফল এবং সবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান
৬. রক্তে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণ করুন
৭. কোনও লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad