লিভারকে শক্তিশালী করতে এই জিনিসগুলি খান, ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও দূর হবে, কার্যকারিতা উন্নত হবে

 

সমগ্র শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য এবং এর সঠিক কার্যকারিতার জন্য লিভার গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে, লিভার সুস্থ রাখতে, অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। লিভার আপনার শরীরকে বিষমুক্ত করতে, আপনার বিপাক পরিচালনা করতে এবং চর্বি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিন্তু কখনও কখনও আমাদের ভুল জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাস লিভারের স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। আসুন জেনে নিই ডাক্তারের কাছ থেকে কীভাবে লিভার সুস্থ রাখা যায় এবং কোন কোন জিনিস লিভারের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডাঃ জোসেফ সালহা সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে তিনি লিভারকে সুস্থ রাখার টিপস শেয়ার করেছেন। এই অভ্যাসগুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার লিভারকে সুস্থ রাখতে পারেন।

লিভার সুস্থ রাখতে কী খাবেন

লেবু এবং তরমুজের রস – লিভার সুস্থ রাখতে লেবু এবং তরমুজ খান। এই জিনিসগুলি আপনার শরীরের জন্য উপকারী। এই দুটিতেই প্রচুর পরিমাণে সিট্রুলিন রয়েছে। দিনে একবার লেবু এবং তরমুজের রস পান করলে আপনার ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা রক্তনালীগুলিকে কার্যকরী করতে সাহায্য করে, লিভারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ডার্ক চকোলেট এবং বেরি - ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। যেখানে বেরি রক্ত ​​সঞ্চালনে কার্যকর। এটি আপনার লিভারকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। লিভার সুস্থ রাখতে চকোলেট খান।

বাদাম এবং আখরোট- বাদাম এবং আখরোট আপনার শরীরকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এই দুটি বাদামই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যা লিভারের চর্বি কমায়। এটি আপনার লিভারকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকেও রক্ষা করে। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি বাদাম এবং আখরোট খেতে ভুলবেন না।

কিউই এবং টক দই - কিউই আপনার শরীরে অনেক ধরণের পুষ্টি সরবরাহ করে। উভয়ই পটাসিয়াম, ভিটামিন সি এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ। এটি লিভারকে সুস্থ রাখতে এবং চর্বি নিয়ন্ত্রণে উপকারী।

আপেল এবং দারুচিনি - ডাক্তাররা সবসময় আপনাকে আপেল খেতে বলেন কারণ এটি আপনার শরীরে উচ্চ ফাইবার সরবরাহ করে। দারুচিনি আপনার লিভারকে রক্ষা করতে এবং দীর্ঘ সময় ধরে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া উচিত। এর সাথে দারুচিনিও খাওয়া উচিত। 



সতর্কতা : (এই প্রবন্ধে প্রস্তাবিত টিপসগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যেকোনো ধরণের ফিটনেস প্রোগ্রাম শুরু করার আগে বা আপনার খাদ্যতালিকায় কোনো পরিবর্তন আনার আগে বা যেকোনো রোগের সাথে সম্পর্কিত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার আগে, অনুগ্রহ করে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।)