আজকের যুগে ডায়াবেটিস সবচেয়ে সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগগুলির মধ্যে একটি। ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপ, খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যস্ত জীবন এর প্রধান কারণ। শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ ভারসাম্যহীন হয়ে গেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যদি সময়মতো এটি নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে এটি চোখ, কিডনি, হৃদপিণ্ড এবং স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে।
তবে, কিছু সহজ এবং নিয়মিত অভ্যাস অবলম্বন করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। শুধু ওষুধের উপর নির্ভর করা জরুরি নয়। সুষম খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম এবং সঠিক রুটিনের মাধ্যমেও চিনির মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের ৫টি উপায়
সুষম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান
আপনার খাদ্যতালিকায় ওটস, চিয়া বীজ, সবুজ শাকসবজি এবং আস্ত শস্যের মতো আঁশযুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়াতে সাহায্য করে, যা হঠাৎ করে চিনির বৃদ্ধি রোধ করে। এছাড়াও সাদা রুটি, মিষ্টি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম করুন - তা হাঁটা, যোগব্যায়াম বা সাইকেল চালানো যাই হোক না কেন। ব্যায়াম শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে, যা গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে, যা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
চাপ কমানো
অতিরিক্ত মানসিক চাপ গ্রহণ করলে শরীরে কর্টিসল নামক হরমোন বৃদ্ধি পায়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ধ্যান, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (প্রাণায়াম), গান শোনা বা বই পড়া - এই সমস্ত পদ্ধতি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। ভালো ঘুম মানসিক চাপও কমায়।
প্রচুর জল পান করুন
সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চিনি প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। এছাড়াও, হাইড্রেটেড থাকা বিপাককে সুস্থ রাখে। মিষ্টি জুস বা কোল্ড ড্রিঙ্কসের পরিবর্তে সাধারণ জল বা লেবুর শরবত পান করার চেষ্টা করুন।
নিয়মিত আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন
নিয়মিত আপনার চিনির মাত্রা পরীক্ষা করে দেখুন, যাতে আপনি সময়মত তথ্য পেতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন জিনিসগুলি আপনার চিনির মাত্রা বাড়াচ্ছে বা কমাচ্ছে। এছাড়াও, ডাক্তারের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাস বা ওষুধে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা সহজ।
No comments:
Post a Comment