Thursday, May 8, 2025
গ্রীষ্মকালে ঘামাচির চিকিৎসা করুন এই ঘরোয়া প্রতিকার দিয়ে, আরাম পাবেন, আসুন জেনে নিই সেই কৌশলগুলি
গ্রীষ্মকালে তাপজনিত ফুসকুড়ি হওয়া সাধারণ, যাকে ইংরেজিতে "প্রিকলি হিট" বা "হিট র্যাশ" বলা হয়। যা গ্রীষ্মকালে খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। ঘাম গ্রন্থি ব্লক হওয়ার কারণে এই সমস্যাটি দেখা দেয়, যার ফলে ত্বকে চুলকানি, লাল ফুসকুড়ি এবং জ্বালাপোড়া হয়। ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সকলেই এর শিকার হতে পারেন। নীচে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার দেওয়া হল যা তাপের ফুসকুড়ি উপশমে সাহায্য করতে পারে। তাহলে আসুন আমরা আপনাকে এই বিষয়ে কিছু পদ্ধতি বলি।
গরমের ফুসকুড়ি থেকে মুক্তি দেয় এমন ঘরোয়া প্রতিকার:
. নিম পাতার ব্যবহার:
১. নিম পাতা জলে সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে স্নান করুন।
নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং শীতলকারী বৈশিষ্ট্য ত্বককে প্রশান্ত করে।
২. চন্দন কাঠের গুঁড়ো এবং গোলাপ জল:
১. গোলাপজলের সাথে চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
২. আক্রান্ত স্থানে লাগান, শুকানোর পর ধুয়ে ফেলুন।
৩. বেসন পেস্ট:
১. বেসন ও কিছু জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং কাঁটাযুক্ত আঁচে লাগান।
২. এটি ঘাম শোষণ করে এবং শীতল প্রভাব প্রদান করে।
৪. অ্যালোভেরা জেল:
১. অ্যালোভেরা পাতা থেকে তাজা জেল বের করে সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগান।
২. এটি চুলকানি এবং জ্বালা কমায়।
৫. মুলতানি মাটি:
১. মুলতানি মাটি গোলাপ জলের সাথে মিশিয়ে লাগান।
২. ত্বক ঠান্ডা করতে কার্যকর।
৬. কাঁটাযুক্ত তাপের কারণ:
১. অতিরিক্ত গরম এবং ঘাম।
২. টাইট এবং সিন্থেটিক পোশাক।
৩. ত্বকের ময়লা এবং সঠিক পরিষ্কারের অভাব।
৪. অত্যন্ত আর্দ্র বা আর্দ্র পরিবেশ।
৭. প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:
১. হালকা এবং সুতির পোশাক পরুন।
২. দিনে দুবার ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করুন।
৩. যদি খুব বেশি ঘাম হয় তাহলে পোশাক পরিবর্তন করুন।
৪. ট্যালকম বা নিম ভিত্তিক ভেষজ গুঁড়োর মতো পাউডার ব্যবহার করুন।
৫. রোদ এড়িয়ে চলুন এবং ছায়ায় থাকুন।
তাই এই পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করে আপনি এই সমস্যা এড়াতে পারেন। তাই এই বিষয়গুলোর যত্ন নিন।
No comments:
Post a Comment