বিশ্বের জনসংখ্যা জলবায়ু পরিবর্তনের মুখোমুখি হচ্ছে। এর ফলে বন্যা, ঝড় এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে অসহনীয় তাপদাহই প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই চ্যালেঞ্জগুলি কেবল পরিবেশগত নয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এর ফলে মানুষের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। সামগ্রিকভাবে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষ অর্থনৈতিক এবং শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে বাধ্য। একদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, খাদ্যপণ্যের দাম দ্বিগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে, জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের ঘুমের একটি বড় শত্রুও হয়ে উঠতে পারে। আসুন জেনে নেই পুরো বিষয়টি কী।
২০৩৫ সালের মধ্যে খাদ্যপণ্যের দাম দ্বিগুণ হবে
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে কৃষি সংকট আরও গভীর হয়েছে এবং খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে। এই প্রসঙ্গে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির তথ্য বিশ্লেষণ করেছে। তথ্যের পর, ব্যাংকটি অনুমান করেছে যে ২০৩৫ সালের মধ্যে, অর্থাৎ আজ থেকে ১০ বছর পর, গরম তাপমাত্রার কারণে বার্ষিক ০.৫ থেকে ১.২ শতাংশ হারে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে খাদ্যের দাম দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘুমের অভাব
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা খাওয়ার পর মানুষের প্রয়োজনীয় ঘুমের জন্য একটি বড় সমস্যা তৈরি করছে। যদিও আমরা তাপমাত্রা কমাতে এয়ার কন্ডিশনার চালাচ্ছি, তবুও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
এই বিষয়ে, চীনের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয় মানুষের ঘুমের তথ্য বিশ্লেষণ করেছে। এই গবেষণার অধীনে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২ কোটিরও বেশি রাতের মানুষের ঘুম পর্যবেক্ষণ করেছেন। যেখানে দেখা গেছে যে, যেকোনো রাতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেলে মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার সম্ভাবনা ২০ শতাংশ বেড়ে যায়। গবেষকরা অনুমান করেছেন যে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে, এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ চীনের প্রতিটি মানুষ বছরে প্রায় ৩৩ ঘন্টা ঘুম হারাতে পারে।
No comments:
Post a Comment