Friday, May 16, 2025

বিশ্বাসঘাতক স্বামী: মন্দিরে বিয়ে করলেন দুই বান্ধবী ,মালাবদল করে একে অপরের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি

 


যখন প্রেম বিশ্বাসঘাতকতায় পরিণত হয়, তখন একজন ব্যক্তি প্রায়শই ভেঙে পড়ে। কিন্তু উত্তর প্রদেশের বাদাউনের দুই সাহসী মহিলা এই ভাঙনকে নতুন মোড় দিলেন। সমাজের রীতিনীতি অমান্য করে, দুজনে একে অপরের হাত ধরে শিব মন্দিরে সাত পারে বাঁধা পড়ে। একে অপরকে বিয়ে করে তাদের সম্পর্ককে বৈধতা দেন। এই গল্পটি কেবল ভালোবাসার গল্প নয়, বরং আত্মসম্মান এবং একটি নতুন জীবনের সূচনা সম্পর্কেও।


উত্তর প্রদেশের বাদাউন জেলায় একটি মর্মান্তিক কিন্তু আবেগগতভাবে অনুপ্রেরণাদায়ক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দুই তরুণী, যারা তাদের নিজ নিজ স্বামীদের দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছিল, তারা একে অপরের সাথে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয় এবং একটি মন্দিরে বিয়ে করে। এই বিয়ে কেবল আলোচনায় নয়, সামাজিক চিন্তাভাবনার জন্যও একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


একজন মেয়ে আলাপার থানা এলাকার বাসিন্দা, অন্যজন সিভিল লাইনস কোতোয়ালি এলাকার বাসিন্দা। তিন মাস আগে আদালত প্রাঙ্গণে এক আইনজীবীর চেম্বারে তাদের দুজনের দেখা হয়েছিল। এই সাক্ষাৎ শীঘ্রই বন্ধুত্বে পরিণত হয় এবং তারপর সম্পর্কটি বিয়েতে গড়ে ওঠে।

তাদের অতীত এবং নতুন সম্পর্ক উভয়ই

উভয় মহিলাই পূর্বে বিবাহিত ছিলেন, কিন্তু স্বামীর অবিশ্বস্ততা এবং পারিবারিক উত্তেজনার কারণে তাদের বৈবাহিক জীবন ভেঙে গিয়েছিল। এই বিশ্বাসঘাতকতা এবং মানসিক যন্ত্রণা তাদের এতটাই ভেঙে ফেলেছিল যে তারা একে অপরের মধ্যে সত্যিকারের সমর্থন খুঁজে পেয়েছিল। এবার সোনু (কাল্পনিক নাম) স্বামী এবং রিতা (কাল্পনিক নাম) স্ত্রী হলেন। সোনু আগে দিল্লিতে বেবি কেয়ারে কাজ করত এবং রিতা দেরাদুনে একটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে কাজ করত।

পরিবারের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

তারা দুজনেই তাদের পরিবারকে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে যদি তার পরিবার তাকে সমর্থন করে, তাহলে ঠিক আছে, অন্যথায় তিনি দিল্লিতে যাবেন এবং কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করবেন। তাদের লক্ষ্য এখন পরিস্থিতি যাই হোক না কেন একে অপরকে সমর্থন করা।

আদালতে আলোচনা এবং আইনি প্রক্রিয়া

এই বিয়ের খবর আদালত চত্বরে আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। অনেকে এটিকে দুটি ভগ্ন আত্মার সাহসী পদক্ষেপ বলে অভিহিত করছেন, আবার কেউ কেউ এর সামাজিক ও আইনি দিক নিয়েও বিতর্ক করছেন। অ্যাডভোকেট দিবাকর ভার্মা জানান যে, উভয় মেয়েই তার চেম্বারে এসে নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। এ বিষয়ে একটি চুক্তি তৈরি করা হয়েছিল, যা তারা উভয়েই স্বাক্ষর করেছিলেন এবং তারপর শিব মন্দিরে হিন্দু রীতিনীতি অনুসারে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল।

No comments:

Post a Comment