উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের থারওয়াই থানা এলাকার বাসমাহুয়া গ্রামে এক মহিলার শ্লীলতাহানি ও লাঞ্ছনার ঘটনা সামনে এসেছে। ভুক্তভোগী উঠোনে স্নান করছিলেন। এই সময়, পাড়ার দুই যুবক এসে উঁকি দিতে শুরু করে। ভুক্তভোগী প্রতিবাদ করলে তারা তাকে মারধর শুরু করে। এখন এই বিষয়টি পুলিশের কাছে পৌঁছেছে। পুলিশ মামলা দায়ের করেছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে। অভিযুক্তদের নাম রাহুল এবং দেবেন্দ্র।
ভুক্তভোগী পুলিশকে জানিয়েছেন যে, যখন তিনি স্নান করছিলেন, তখন রাহুল এবং দেবেন্দ্র উঁকি দিচ্ছিলেন। তিনি এর প্রতিবাদ করলে, অভিযুক্ত উভয়ই ইট, পাথর এবং লাঠি নিয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে। অভিযুক্তরা তাকে মারধর শুরু করে। তার দুই নাবালিকা মেয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। অভিযুক্তরা মেয়েদেরও রেহাই দেয়নি। সবাইকে লাঠি ও ইট দিয়ে পেটানো হয়েছিল। আক্রমণের সময়, রাহুল এবং দেবেন্দ্রের সাথে তাদের মা এবং বোনও ছিলেন।
ঘটনার সময় ঘরে উপস্থিত ভুক্তভোগীর ছোট মেয়ে টেবিলের উপর বসে কাঁদতে থাকে। সে কোনওভাবে টেবিলে লাফিয়ে উঠে তার জীবন রক্ষা করল। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ অ্যাকশনে আসে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকে সকল অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে এবং সকল অভিযুক্তকে খুঁজছে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে গ্রেপ্তার করা উচিত। অভিযুক্তের কাছ থেকে তার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। এই ঘটনার জেরে পরিবারের সদস্যরা হতবাক। এলাকার মানুষ এই ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলতে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এদিকে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত শীঘ্রই পুলিশ হেফাজতে থাকবে। তার খোঁজে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment