শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বীরভূম জেলার নলহাটি থেকে গ্রেপ্তার হওয়া দুই সন্দেহভাজন - আজমল হুসেন এবং সাহেব আলী খানের মোবাইল ফোন থেকে বেশ কয়েকটি কোডেড এবং এনক্রিপ্টেড বার্তা উদ্ধার করেছে। তাদের দুজনকেই বাংলাদেশ-ভিত্তিক ইসলামী মৌলবাদী সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সাথে যুক্ত বলে জানা গেছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই গোপন বার্তাগুলির মধ্যে কিছুতে আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ, হিজবুত-তাহরির (HUT), এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (ABT) এর মতো সংগঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন সব সংগঠনকেই চরমপন্থী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে HUT এবং ABT সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত জেলাগুলিতে, যেমন মুর্শিদাবাদ এবং মালদা, যেখানে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী, স্লিপার সেল (লুকানো নেটওয়ার্ক) তৈরির চেষ্টা করছে।
সীমান্তের ওপারে আমাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে চাই
আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের প্রধান ঘাঁটি জম্মু ও কাশ্মীরে হলেও, HUT এবং ABT বাংলাদেশে অবস্থিত এবং তাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় তাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা। রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তদন্তকারী কর্মকর্তারা বর্তমানে এই দুই সন্দেহভাজনের মোবাইল ফোনে পাওয়া কোডেড বার্তাগুলি সম্পূর্ণরূপে ডিকোড করার চেষ্টা করছেন যাতে তাদের আসল উদ্দেশ্য জানা যায়।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে
এর পাশাপাশি, পুলিশ আজমল হুসেন এবং সাহেব আলী খানকে ক্রমাগত জিজ্ঞাসাবাদ করছে। শুক্রবার, বীরভূম জেলা আদালত তাকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিশ কিছু সন্দেহজনক অনলাইন লেনদেন সম্পর্কেও তথ্য পেয়েছে, যেগুলি তদন্ত করা হচ্ছে। সূত্রমতে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় হুসেন স্বীকার করেছেন যে তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন কিন্তু সীমান্তে নিরাপত্তা সংস্থার কঠোরতার কারণে তিনি ব্যর্থ হন।
এদিকে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছ থেকে তথ্য পেয়েছে যে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে প্রবেশকারী ব্যক্তিরা মুর্শিদাবাদ জেলায় ওয়াকফ (সংশোধন) আইনের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতা ও ভাঙচুরে ভূমিকা পালন করতে পারে। সেই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে জেএমবি, এইচইউটি এবং এবিটির নামও উঠে আসে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের পূর্ব দিকে শমশেরগঞ্জ এবং ধুলিয়ানের ওপারে বাংলাদেশের চাঁপাই-নবাবগঞ্জ জেলা অবস্থিত, যাকে এবিটির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
No comments:
Post a Comment