পাকিস্তানকে হারতে দেখে চীন ও বাংলাদেশ ভীত, এখন চিকেন নেকের কাছে ফেলছে সাহসী দৃষ্টি - Press Card News

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, May 19, 2025

পাকিস্তানকে হারতে দেখে চীন ও বাংলাদেশ ভীত, এখন চিকেন নেকের কাছে ফেলছে সাহসী দৃষ্টি

 

Screenshot_20250519_160642_Opera%20News

অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তার অবস্থা দেখে ভারতবিরোধী শক্তিগুলি এখন সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চীন ও আফগানিস্তানের মধ্যে যোগসাজশ ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি পুরনো বিমানঘাঁটি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, 'লালমনিরহাট বিমানঘাঁটির' কাছে তৎপরতা বেড়েছে। চীনা কর্মকর্তাদের সন্দেহজনক কার্যকলাপও দেখা গেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্রবাহিনীর বিমান ঘাঁটি ছিল এবং এখন এটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


সামরিক উদ্দেশ্যের সন্দেহের কারণে এই বিমানঘাঁটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা মহলে উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই বিমানঘাঁটিটি ভারতের কৌশলগত শিলিগুড়ি করিডোর, যাকে 'চিকেন নেক' বলা হয়, থেকে মাত্র ১৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিকে মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্তকারী জীবনরেখা। লালমনিরহাট বিমানঘাঁটির ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান এবং এর সম্ভাব্য দ্বৈত ব্যবহারের (বেসামরিক-সামরিক) ক্ষমতা ভারতের জন্য একটি সতর্ক সংকেত। শিলিগুড়ি করিডোরটি মাত্র ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত। এটি ভারতের আটটি উত্তর-পূর্ব রাজ্য - অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং সিকিমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

চীনের সন্দেহজনক কার্যকলাপ এই সংবেদনশীল অঞ্চলে ভারতের সামরিক ও বেসামরিক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের একটি মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। প্রতিবেদন অনুসারে, অধ্যাপক শ্রীপর্ণা পাঠক সতর্ক করে দিয়েছেন যে এই বিমানঘাঁটি চীনকে শিলিগুড়ি করিডোরের কাছে তার গুপ্তচরবৃত্তির তৎপরতা বাড়ানোর সুযোগ দিতে পারে।
পাকিস্তানও কি এই ষড়যন্ত্রে জড়িত?

চীনা এবং পাকিস্তানি সামরিক ও গোয়েন্দা প্রতিনিধিদের এই অঞ্চলে সফরের খবর পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। উত্তর-পূর্ব ভারতে সক্রিয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির সাথে পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে এবং বাংলাদেশে তাদের কার্যকলাপ ভারতের জন্য হুমকি দ্বিগুণ করে তোলে। ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে পাকিস্তানের মতো দেশের কার্যকলাপ ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করতে পারে।


বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল অবস্থান

মোহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ভারতের প্রতি বাংলাদেশের মনোভাব সন্দেহজনক হয়ে উঠছে। ভারতের স্বার্থের প্রতি সংবেদনশীল শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের পর, প্রতিরক্ষা ও অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে। ভারত ইতিমধ্যেই এই অঞ্চলে তার সামরিক অবস্থান শক্তিশালী করেছে। শিলিগুড়ির কাছে ত্রিশক্তি কর্পস সদর দপ্তর এবং হাসিমারা বিমানঘাঁটিতে রাফালে যুদ্ধবিমান স্কোয়াড্রনের মোতায়েন যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী পাল্টা বাহিনী।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad