সন্ত্রাসবাদের পথে ছুটতে থাকা পাকিস্তান এখন নিজের জালে আটকা পড়েছে, কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র থামেনি। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সাম্প্রতিক গণহত্যা আবারও এর উদ্দেশ্য প্রকাশ করে, যেখানে লস্কর-ই-তৈয়বার সন্ত্রাসীরা ২৬ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল। জবাবে, ভারত 'অপারেশন সিন্দুর'-এর অধীনে পাকিস্তানে নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে ধ্বংস করে। কিন্তু এর পরেও পাকিস্তান থেমে থাকেনি। বিপরীতে, ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণের অভিযোগ তোলা শুরু হয় এবং এটিকে একটি মিথ্যা অভিযান বলার চেষ্টা করা হয়।
আসলে, পাকিস্তানের উদ্দেশ্য কেবল সন্ত্রাস ছড়ানো নয় বরং এটি একটি বড় ষড়যন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, শুক্রবারের নামাজের পর পাকিস্তান একটি বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার পদক্ষেপ স্পষ্ট: প্রথমে আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়া এবং তারপর ভারতের বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত সামরিক বা সন্ত্রাসী পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে নিজেকে বিশ্ব পর্যায়ে 'ভুক্তভোগী' হিসেবে উপস্থাপন করা যায়।
পাকিস্তান কি সন্ত্রাসবাদ বাড়ানোর জন্য অর্থ চায়?
বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ। তিনি বারবার আইএমএফের কাছে ভিক্ষা করেন, কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে এখন ঋণের জন্যও তাকে আন্তর্জাতিক চাপের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। ৯ মে আইএমএফ এক্সিকিউটিভ বোর্ড থেকে পাকিস্তান ১.৩ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ঋণ পাওয়ার পর কি সে আবার সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় নেবে?
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) সাম্প্রতিক বৈঠকে পাকিস্তানের আসল চেহারা উন্মোচিত হয়ে গেছে। সদস্য দেশগুলি পহেলগাম গণহত্যা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন উত্থাপন করে এবং লস্কর-ই-তৈয়বার যোগসূত্রের প্রমাণ চেয়েছিল। তা সত্ত্বেও, পাকিস্তান তার মিথ্যাচারে অনড়। এর প্রচেষ্টা হল ভারতের বিরুদ্ধে আরেকটি 'মিথ্যা পতাকা' আখ্যান তৈরি করা, যাতে সন্ত্রাসবাদের উপর আন্তর্জাতিক চাপ কমানো যায়।
পাকিস্তান এখন সেই 'ভষ্মাসুর'-এর মতো হয়ে গেছে যে নিজের আগুনে জ্বলছে। বেলুচিস্তান থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া পর্যন্ত বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে। অর্থনৈতিক দেউলিয়া অবস্থা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং ক্রমহ্রাসমান সন্ত্রাসী বাণিজ্য - এই সবকিছুই পাকিস্তানকে ভেতর থেকে ফাঁকা করে দিচ্ছে। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে তার ষড়যন্ত্র থামেনি। এবার ভারতকে কেবল সীমান্তেই নয়, কূটনীতি এবং বৈশ্বিক ফোরামেও প্রস্তুত থাকতে হবে, কারণ পরবর্তী আক্রমণ কেবল বুলেটের মাধ্যমে নয়, মিথ্যা ও প্রচারণার মাধ্যমেও হতে পারে।
No comments:
Post a Comment