ভারত বাংলাদেশের উপর তার নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করতে শুরু করেছে। প্রথমত, ভারত বাংলাদেশ থেকে আসা সকল পণ্য নিষিদ্ধ করেছিল এবং অন্যদিকে, এটি একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিল যে বাংলাদেশের ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তার বন্দী বাজার হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত কিছু রপ্তানি পণ্যের উপর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে ভারত একটি বার্তা দিয়েছে যে, বাণিজ্য তখনই সম্ভব যখন আমরা আমাদের জনগণের জন্য সুবিধা দেখতে পাব। এই একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে, পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনাকারী মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
ভারত বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, তারা নিজের স্বার্থে বাণিজ্যের শর্তাবলী বেছে বেছে বাস্তবায়ন করতে পারে না। এখন পর্যন্ত, ভারত বাংলাদেশ থেকে সমস্ত রপ্তানি কোনও বাধা ছাড়াই গ্রহণ করত, কিন্তু উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারতীয় পণ্যের জন্য বাংলাদেশের বাজার প্রবেশাধিকার এবং ট্রানজিট সীমিত ছিল। প্রতিক্রিয়ায়, ভারত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (RMG) আমদানি শুধুমাত্র দুটি বন্দরে (কলকাতা এবং নহাভা শেভা, মুম্বাই) সীমাবদ্ধ রেখেছে। ভারতীয় সুতা, চাল এবং অন্যান্য পণ্যের উপর বাংলাদেশ কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধ এবং কঠোর পরিদর্শনের প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
স্থলবন্দর বিধিনিষেধের ফলে ভারত বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সমতা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ সমতার কথা বলে কিন্তু উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তার রপ্তানির জন্য একটি বন্দী বাজার হিসেবে দেখে। এটা আর কাজ করবে না। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে বোঝানো যে বাণিজ্য উভয় পক্ষের স্বার্থের উপর ভিত্তি করে হবে।
উত্তর-পূর্ব এবং বিমসটেকের গুরুত্ব
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট করে বলেছেন যে উত্তর-পূর্বের উন্নয়ন কেবল উত্তর-পূর্বে তৈরি পণ্যের মাধ্যমেই ঘটবে। এটি আঞ্চলিক বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়ার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ ব্রহ্মা চেলানি এক্স-এ লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রতি ভারতের কঠোর অবস্থান আঞ্চলিক বাণিজ্যে ভারসাম্য এবং স্বনির্ভরতার দিকে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ। উত্তর-পূর্বকে বাংলাদেশের অনুসারী হতে দেওয়া হবে না।
No comments:
Post a Comment