ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা হোক বা চীন-তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা... এই এশীয় দেশটি সর্বদা নীরব থাকে। এই দেশের নাম থাইল্যান্ড। ভারত থাইল্যান্ডের সাথে তার সমুদ্রসীমা ভাগ করে নেয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও থাইল্যান্ড ভারত-পাকিস্তান বিরোধের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
থাইল্যান্ডকে পর্যটন দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখানে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের, যাদের শান্ত প্রকৃতির বলে মনে করা হয়। বলা হয় যে এই কারণেই থাইল্যান্ডের মানুষ কোনও বিরোধের কারণে তিনেও বাস করে না, তেরোতেও বাস করে না।
ভারত-পাকিস্তান বিরোধে নীরব থাইল্যান্ড
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধের বিষয়ে থাইল্যান্ড সম্পূর্ণ নীরব ছিল। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পি. সিনাওয়াত্রা পাহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করেছেন কিন্তু ধর্মঘটের বিষয়ে নীরব রয়েছেন।
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মতো দেশগুলিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে বিবৃতি জারি করেছিল, কিন্তু থাইল্যান্ড পুরো বিষয়টি থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছিল।
তবে, এটিই প্রথমবার নয় যে থাইল্যান্ড কোনও দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। থাইল্যান্ড অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নীরব রয়েছে। এর মধ্যে প্রধানত চীন-জাপানের মধ্যে উত্তেজনা এবং চীন-তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্ন – থাইল্যান্ড কেন এটা করে?
থাইল্যান্ডের নীরব পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে দ্য ডিপ্লোম্যাট রিপোর্ট করেছে। এই অনুযায়ী, থাইল্যান্ড তার নিজস্ব প্রবাদ 'কুকুর যদি ঘুমায়, তাকে ঘুমাতে দাও'-এর সূত্র ধরে তার পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করেছে। থাইল্যান্ড কাউকে ভালো বন্ধু বা শত্রু বানাতে চায় না।
এর বড় কারণ থাইল্যান্ডের পর্যটন নীতি। থাইল্যান্ড জানে যে যদি তারা একটি দেশের সাথে বন্ধুত্ব করে, তাহলে অন্যটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার শত্রু হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে এর পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
থাইল্যান্ডের পর্যটন ব্যবসার মূল্য প্রায় ৬১৩২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। থাইল্যান্ডের বেশিরভাগ রাজস্ব আসে এখান থেকে। থাইল্যান্ডের পর্যটন ব্যবসার অবনতি হলে, দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।
এই কারণেই থাইল্যান্ড কোনও দেশের সাথে ঝামেলা করে না। সে প্রতিটি বিষয়ে নীরব থাকে। সমস্যাটি ছোট হোক বা বড়।
No comments:
Post a Comment