মুসলিম দেশ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে কথা বলেছেন। তিনি পহেলগাম গণহত্যায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের প্রতিটি পদক্ষেপকে তিনি সমর্থন করেছিলেন। কাতারের আমিরের সাথে এই কথোপকথন কেবল ভারতের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি পাকিস্তানের জন্য আরও উদ্বেগজনক হতে চলেছে। কারণ কাতার পাকিস্তানের বিশ্বস্ত বন্ধু। মুসলিম দেশগুলির সংগঠন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) তে কাতারের মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চ। অতএব, যদি তিনি কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে কথা বলেন, তাহলে তা হবে পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা।
কথোপকথনের তথ্য দিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল টুইটারে লিখেছেন, 'কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে ফোনে কথা বলেছেন।' তিনি পহেলগামে সীমান্ত পার সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা ও সংহতি প্রকাশ করেছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের গৃহীত সকল পদক্ষেপের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিকে তার সংহতি ও সমর্থনের স্পষ্ট বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানান। উভয় নেতা ভারত-কাতার কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার এবং পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
পাকিস্তান ও কাতারের সম্পর্ক
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কাতারে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। আইএসআই আফগান-তালেবানদের সাথে কূটনৈতিক ব্যাকচ্যানেলে এবং কাতার হয়ে পশ্চিম এশিয়ায় সক্রিয় রয়েছে। অনেক প্রতিবেদনে, আইএসআই-এর কিছু কার্যকলাপে কাতারের যোগসূত্র পাওয়া গেছে, এই কারণেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কাতারের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে।
কিন্তু ভারতের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক
১. ভারতের সাথে কাতারের সম্পর্ক খুবই দৃঢ়। সেখানে মোট জনসংখ্যার ২৭ শতাংশ ভারতীয়। কাতারে প্রায় ১৬ হাজার ভারতীয় কোম্পানি কাজ করছে।২. কাতার ভারতের বৃহত্তম এলএনজি, এলপিজি সরবরাহকারী। চীন ও জাপানের পরে ভারত এই পণ্যগুলির তৃতীয় বৃহত্তম ক্রেতা। ভারত ও কাতারের মধ্যে মোট বাণিজ্য প্রায় ১৯ বিলিয়ন ডলার।৩। ভারত ও কাতারের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তিও রয়েছে, যার আওতায় ভারতীয় নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজগুলি কাতারে নিয়মিত ভ্রমণ করে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যেও একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।
No comments:
Post a Comment