প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১২ মে ২০২৫, ০৮:৩০:০১ : ভারতীয় ঐতিহ্যে, প্রদীপ জ্বালানোর অভ্যাস কেবল একটি রীতি নয়, বরং এর সাথে অনেক বিশেষ জিনিস জড়িত। বিশেষ করে যখন সন্ধ্যার সময় আসে, তখন প্রদীপ জ্বালানোর প্রভাব আরও বেড়ে যায়। বলা হয় যে সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথেই নেতিবাচক শক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে প্রদীপের শিখা সেই অন্ধকার দূর করে এবং ঘরে সুখ ও শান্তি বজায় থাকে। ভোপাল-ভিত্তিক জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শদাতা পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মা বিশ্বাস করেন যে তেলে কিছু বিশেষ জিনিস মিশিয়ে প্রদীপ জ্বালালে এর প্রভাব বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। এটি কেবল মনকে শান্তি দেয় না, বরং ঘরের সমস্যাও দূর করতে পারে।
১. লবঙ্গ যোগ করে প্রদীপ জ্বালান
রাহু কেতুকে শান্ত করার জন্য লবঙ্গ কার্যকর বলে মনে করা হয়। প্রদীপে লবঙ্গ রেখে সন্ধ্যায় জ্বালালে খারাপ প্রভাব কমে যায়। এর প্রভাব বিশেষ করে সেইসব লোকদের উপর দৃশ্যমান যাদের রাশিফলের রাহু কেতুর সাথে সম্পর্কিত সমস্যা রয়েছে।
২. তেজপাতা যোগ করে প্রদীপ জ্বালান
তেজপাতা সম্পদের দেবী লক্ষ্মী এবং সম্পদের দেবতা কুবেরের সাথে সম্পর্কিত। তেলে তেজপাতার গুঁড়ো যোগ করে প্রদীপ জ্বালান, তাহলে ঘরে অর্থের সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে এবং আয়ের নতুন পথ খুলে যেতে পারে।
৩. কর্পূর যোগ করে প্রদীপ জ্বালান
কর্পূর পরিবেশকে শুদ্ধ করার প্রভাব ফেলে। এটি শুক্র গ্রহের সাথে সম্পর্কিত। প্রদীপে কর্পূর মিশিয়ে জ্বালালে ঘরে সমৃদ্ধি আসে এবং মনে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা থাকে। এটি সৌভাগ্য এবং সুখ বৃদ্ধি করে।
৪. তিল যোগ করে প্রদীপ জ্বালান
সন্ধ্যায় সরিষা বা তিলের তেলে কিছু তিল যোগ করে প্রদীপ জ্বালান। তিলের বীজ পূর্বপুরুষ এবং শনিদেবের সাথে সম্পর্কিত। এটি করলে পূর্বপুরুষরা খুশি হন এবং ঘরে আশীর্বাদ থাকে। এছাড়াও, শনি সম্পর্কিত সমস্যাগুলিও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।
এই বিষয়গুলি মনে রাখবেন
- প্রদীপ জ্বালানোর সময় মন পরিষ্কার এবং শান্ত থাকা উচিত। - প্রদীপ রাখার জায়গাটি পরিষ্কার থাকা উচিত। - কখনও ফুঁ দিয়ে প্রদীপ নিভিয়ে দেবেন না।
এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালালে কেবল পরিবেশই পবিত্র থাকবে না, ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধিও বজায় থাকবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment