প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২২ মে ২০২৫, ১১:৪০:০১ : বাংলাদেশ আজকাল এক গভীর রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস এখন তার পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। ঢাকায় উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তার পক্ষে কাজ করা অসম্ভব হয়ে উঠছে।
এটি কেবল ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয় বরং সমগ্র রাজনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা প্রতিফলিত করে, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ন্যূনতম ঐকমত্য তৈরি করাও কঠিন হয়ে উঠছে। ইউনূসের বন্দী বোধ করার বক্তব্য দেশের অস্থিতিশীলতার প্রতিফলন ঘটায়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে যখন এটি প্রকাশিত হয় যে ইউনূস সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে একটি মানবিক করিডোর স্থাপনের পরিকল্পনা করেছিল। এই চুক্তি গোপনে কার্যকর করা হয়েছিল, যা সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে ক্ষুব্ধ করেছিল। তিনি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আল্টিমেটাম দিয়ে সরকারকে সতর্কও করেছিলেন। এ থেকে স্পষ্ট যে দেশের বেসামরিক ও সামরিক ব্যবস্থার মধ্যে এক বিরাট দ্বন্দ্ব চলছে, যা ভবিষ্যতের জন্য একটি বিপজ্জনক লক্ষণ।
ইউনুসকে কেবল রাজনৈতিক দলই নয়, ছাত্র সংগঠন এবং সাধারণ জনগণও ঘিরে রেখেছে। বিরোধী দলগুলি এই বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচনের দাবীতে রাজপথে বিক্ষোভ তীব্র করেছে। মাহফুজ আসিফ এবং খলিলুর রহমানের মতো নেতাদের সরকার থেকে অপসারণের দাবী এই বিক্ষোভকে আরও তীব্র করে তুলেছে। এর ফলে দেখা যাচ্ছে যে জনসাধারণ এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলি এখন বর্তমান সরকারের প্রতি সম্পূর্ণ অসন্তুষ্ট।
শেখ হাসিনার হঠাৎ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার এবং অভ্যুত্থানের পর গত বছর বাংলাদেশের এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল। তারপর থেকে, ইউনুসকে স্থায়ী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত দেশকে স্থিতিশীল রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু মনে হচ্ছে এই পরীক্ষা এখন ব্যর্থতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment