রান্নাঘরের লুকানো রত্ন! খেলেই গ্যাস-ডায়াবেটিস-চুল পড়াতে একসঙ্গে প্রভাব - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, May 18, 2025

রান্নাঘরের লুকানো রত্ন! খেলেই গ্যাস-ডায়াবেটিস-চুল পড়াতে একসঙ্গে প্রভাব


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৮ মে ২০২৫: বেশিরভাগ মানুষই কেবল স্বাদের জন্য খাবারে মিষ্টি নিম অর্থাৎ কারি পাতা যোগ করে, যা প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরে পাওয়া যায়। কিন্তু খুব কম লোকই জানেন যে এর ব্যবহার কেবল স্বাদের জন্য নয়, স্বাস্থ্যেরও ভাণ্ডার। আয়ুর্বেদে, মিষ্টি নিমকে একটি ঔষধি উদ্ভিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।


হজম থেকে শুরু করে চিনি নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত সর্বত্র কার্যকর-

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডঃ প্রজ্ঞা সাক্সেনা বলেন যে, মিষ্টি নিম "রুটাসি পরিবারের" একটি উদ্ভিদ, যার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটিতে পাওয়া যায়:-


ফাইবার- যা পাচনতন্ত্রের উন্নতি করে, কার্মিনেটিভ উপাদান- যা গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয়, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ- যা রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে। 


হৃদপিণ্ড এবং রক্ত সঞ্চালনও শক্তিশালী হয়-

মিষ্টি নিমে উপস্থিত প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রক্তনালী পরিষ্কার রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এটি হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।


চুল এবং ত্বকের জন্য আশীর্বাদ -

চুল পড়ার সমস্যা হোক বা খুশকি, উভয় ক্ষেত্রেই কারি পাতা কার্যকর। এটি ত্বকের জন্য একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা সংক্রমণ এবং ব্রণ থেকে সুরক্ষা দেয়।


গ্রীষ্মে শরীর ঠাণ্ডা রাখে মিষ্টি নিম-

এর প্রভাব শীতল, তাই গ্রীষ্মকালে এর ব্যবহার শরীরকে ভেতর থেকে ঠাণ্ডা রাখে। এটি শরীরের তাপের কারণে সৃষ্ট ক্লান্তি এবং বিরক্তি দূর করে।


কতটা খাওয়া উচিৎ? 

ভারসাম্য অপরিহার্য-

ডাঃ প্রজ্ঞা সতর্ক করে বলেন যে, অতিরিক্ত মিষ্টি নিম খাওয়াও ক্ষতিকারক হতে পারে। এর ফলে বমি, মাথা ঘোরা বা পেট ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে। অতএব, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরই এটি নিয়মিত খাওয়া উচিৎ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad