ইউরিক অ্যাসিডকে বিদায় জানান! সকালে উঠে এই ৩টি অভ্যাস করে দেখুন, জেনে নিন এর নিশ্চিত প্রতিকার - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, May 9, 2025

ইউরিক অ্যাসিডকে বিদায় জানান! সকালে উঠে এই ৩টি অভ্যাস করে দেখুন, জেনে নিন এর নিশ্চিত প্রতিকার


 আজকের ব্যস্ত জীবন, মানসিক চাপ এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা বাড়ছে। এর মধ্যে একটি হল ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি যা এখন একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি সময়মতো এর যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে এটি জয়েন্টে ব্যথা, ফোলাভাব এবং আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।


অনেক সময় মানুষ চিকিৎসার জন্য ওষুধের আশ্রয় নেয় কিন্তু জীবনযাত্রার পরিবর্তন না করা পর্যন্ত এর পূর্ণ প্রভাব দেখা যায় না। বিশেষ করে সকালের কিছু সুপ্রভাত অভ্যাস প্রাকৃতিকভাবে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আসুন জেনে নিই ইউরিক অ্যাসিড সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং সকালের সেই ৩টি অভ্যাস যা এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিড কী?

ইউরিক অ্যাসিড হল শরীরে তৈরি একটি বর্জ্য পদার্থ যা পিউরিন নামক একটি উপাদানের ভাঙনের ফলে তৈরি হয়। পিউরিন মূলত লাল মাংস, সামুদ্রিক খাবার, অ্যালকোহল এবং কিছু ডাল ও শাকসবজিতে পাওয়া যায়। যখন শরীরে পিউরিনের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং কিডনি তা সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করতে অক্ষম হয়, তখন রক্তে ইউরিক অ্যাসিড জমা হতে শুরু করে, যার ফলে জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলাভাব দেখা দেয়।

ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির লক্ষণ

➤ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর জয়েন্টগুলোতে শক্ত হয়ে যাওয়া এবং ফোলাভাব

➤ হাঁটু, গোড়ালি এবং পায়ে তীব্র ব্যথা

 হাঁটতে অসুবিধা বা শক্ত বোধ করা

সারাদিন ক্লান্তি এবং দুর্বলতা

প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা কম প্রস্রাব হওয়া

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সকালের ৩টি সহজ অভ্যাস

১. হালকা গরম জল পান করে আপনার দিন শুরু করুন

সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে খালি পেটে এক বা দুই গ্লাস হালকা গরম দল পান করা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং কিডনি আরও ভালোভাবে কাজ করে। শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড অপসারণের জন্য কিডনি দায়ী, তাই এটিকে সুস্থ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পরামর্শ: আপনি চাইলে পানিতে সামান্য লেবু বা আধা চা চামচ মধুও যোগ করতে পারেন।

 
 

২. হালকা শারীরিক পরিশ্রম করুন অথবা হাঁটুন

সকালে হালকা ব্যায়াম, যোগব্যায়াম অথবা ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটা শরীরের রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে। এর ফলে, ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। এছাড়াও, ব্যায়াম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে যা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য উপকারী।



 

৩. খালি পেটে আমলকির রস বা আপেল সিডার ভিনেগার খান।

সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জলে ১ চা চামচ আমলকির রস অথবা ১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করলে শরীরের pH ভারসাম্য উন্নত হয়। এর ফলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এই দুটি জিনিসই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং প্রদাহও কমায়।

একই সাথে, এটা বলা যেতে পারে যে ইউরিক অ্যাসিড একটি গুরুতর কিন্তু নিয়ন্ত্রণযোগ্য সমস্যা। ওষুধের পাশাপাশি, যদি আপনি আপনার দৈনন্দিন রুটিনে, বিশেষ করে আপনার সকালের অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন করেন, তাহলে এর প্রভাব দ্রুত দৃশ্যমান হয়। হালকা গরম জল পান করা, হালকা ব্যায়াম করা এবং স্বাস্থ্যকর পানীয় গ্রহণ প্রাকৃতিক উপায়ে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad