পাকিস্তানের বিরুদ্ধে S-400 এর শক্তি দেখে উত্তেজিত চীন, বিপজ্জনক AI ড্রোন লঞ্চের প্রস্তুতি - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, May 19, 2025

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে S-400 এর শক্তি দেখে উত্তেজিত চীন, বিপজ্জনক AI ড্রোন লঞ্চের প্রস্তুতি



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৯ মে ২০২৫, ২১:২৫:০১ : ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে, যখন পাকিস্তান তুরস্কের উন্নত ড্রোনের মাধ্যমে ভারত আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল, তখন ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা S-400 তার মারাত্মক শক্তি প্রদর্শন করেছিল। পাকিস্তানের সমস্ত ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছিল। এই পুরো অভিযান কেবল পাকিস্তানকেই নয়, চীন এবং তুরস্ককেও হতবাক করেছিল।


ড্রাগন হতবাক যে ড্রোন প্রযুক্তিগুলিকে তারা গেম চেঞ্জার বলে মনে করেছিল, ভারতের S-400 তাদের একযোগে আকাশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। এই আতঙ্ক এবং প্রতিযোগিতা করার ইচ্ছা নিয়ে, চীন এখন একটি বিপজ্জনক পরিকল্পনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আসলে, চীন আগামী মাসে একটি AI ড্রোন আনার পরিকল্পনা করছে।



রিপোর্ট অনুসারে, চীন আগামী মাসে একটি AI-চালিত মাদারশিপ ড্রোন উৎক্ষেপণ করতে চলেছে যা একই সাথে আকাশে ১০০ টিরও বেশি ছোট ড্রোন ছেড়ে দিতে পারে। এই সমস্ত ড্রোন দূর থেকে পরিচালিত হবে এবং শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে খুব নির্ভুল আক্রমণ চালাতে সক্ষম হবে। আমেরিকাও তাদের বৈশিষ্ট্য দেখে হতবাক।

এই সিস্টেমে PL-12E এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলও থাকবে, যা এর আক্রমণকে আরও মারাত্মক করে তুলবে। চীনের এই প্রযুক্তিটি ঝাঁক প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে অনেক ছোট ড্রোন একসাথে কাজ করে এবং বৃহৎ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে।

S-400 হল রাশিয়ার তৈরি একটি উন্নত বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা যা ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত শত্রু বিমান, ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম। ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এটি অর্জন করেছে এবং সাম্প্রতিক উন্নয়নে এটি নিজেকে প্রমাণ করেছে। চীন জানে যে যদি তার AI মাদারশিপ ড্রোন ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি আসে, তাহলে S-400 এর সঠিক সনাক্তকরণ এবং ফায়ারপাওয়ার এটিকে অকেজো করে দিতে পারে। এই কারণেই চীন পরীক্ষার আগেই একটি সম্পূর্ণ কৌশল তৈরি শুরু করেছে।

ড্রোন মাদারশিপ হল একটি বৃহৎ, AI-চালিত বিমান চলাচল প্ল্যাটফর্ম যা নিজেই অস্ত্রে সজ্জিত, পাশাপাশি এতে কয়েক ডজন বা শত শত ছোট ড্রোন মোতায়েন করা হয়। এই মাদারশিপ উড্ডয়নের সময় এই সমস্ত ড্রোন একসাথে উৎক্ষেপণ করতে পারে। এই ছোট ড্রোনগুলি বিভিন্ন দিকে যেতে পারে এবং শত্রুর রাডার, বিমান প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ কেন্দ্র বা সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ করতে পারে। এছাড়াও, এআই-এর সাহায্যে, তারা রিয়েল টাইমে কৌশল পরিবর্তন করতে পারে, যার ফলে তাদের গুলি করে ভূপাতিত করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

ভারতের কাছে S-400-এর মতো একটি উচ্চমানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে যা ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র উভয়কেই ট্র্যাক এবং লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। এছাড়াও, DRDO-এর তৈরি 'ড্রোন ডোমের' মতো প্রযুক্তির সাহায্যে, ভারত ছোট ড্রোনেরও জবাব দিতে সক্ষম। ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং সেনাবাহিনী ক্রমাগত দেশীয় অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম মোতায়েন করছে যা ঝাঁক আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয়।

রাশিয়ার তৈরি পরবর্তী প্রজন্মের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, S-500 Prometheus, S-400-এর চেয়ে আরও উন্নত হবে। এটি কম উচ্চতা এবং হাইপারসনিক দুই লক্ষ্যবস্তুকেই বাধা দিতে পারে। ভারত যদি ভবিষ্যতে S-500 অর্জন করে, তাহলে চীনের এই AI ড্রোন প্রযুক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হয়ে যাবে। এছাড়াও, ভারত লেজার এবং মাইক্রোওয়েভ ভিত্তিক অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমের উপরও কাজ করছে, যা ভবিষ্যতে এই ধরনের হুমকিকে প্রতিহত করতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad