প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৬ মে ২০২৫, ০৯:৫৮:০১ : বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের অবস্থা এই মুহূর্তে সংকটজনক। প্রতিদিনই খবর আসছে যে সেনাবাহিনী এবং ইউনূসের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠছে। আর্থিক সীমাবদ্ধতা, বেকারত্ব এবং মৌলবাদী শক্তির চাপের কারণে তার অবস্থা দিন দিন এতটাই কঠিন হয়ে উঠছে যে তিনি কখন ক্ষমতা হারাবেন তা জানা যাচ্ছে না। এদিকে, চীন বাংলাদেশে এমন একটি পরামর্শ জারি করেছে, যা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে।
গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস রবিবার রাতে একটি স্মারক জারি করেছে। বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস তার নাগরিকদের 'বিদেশী স্ত্রী কেনার' ভুল ধারণা সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করতে বলেছে। রবিবার রাতে জারি করা এক বিবৃতিতে, দূতাবাস চীনা নাগরিকদের কড়াভাবে বিদেশী বিবাহ সম্পর্কিত আইন অনুসরণ করার, অবৈধ বিবাহ এজেন্টদের এড়িয়ে চলার এবং ছোট ভিডিও প্ল্যাটফর্মে সীমান্তবর্তী ডেটিং কন্টেন্ট দ্বারা বিভ্রান্ত না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
দূতাবাস চীনা নাগরিকদের বাণিজ্যিক আন্তঃসীমান্ত বিবাহ সংস্থাগুলি থেকে দূরে থাকার এবং আর্থিক ও ব্যক্তিগত ক্ষতি এড়াতে অনলাইন প্রেমের কেলেঙ্কারি থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। যদি আপনি এই ধরনের কেলেঙ্কারির শিকার হন, তাহলে আপনার অবিলম্বে চীনা পুলিশকে জানানো উচিত।
দূতাবাস সতর্ক করেছে যে বাংলাদেশ মানব পাচারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়। অবৈধ আন্তঃসীমান্ত বিবাহে জড়িত ব্যক্তিদের পাচারের সন্দেহে গ্রেপ্তার করা যেতে পারে। বাংলাদেশে মানব পাচারের শাস্তি কমপক্ষে সাত বছরের কারাদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এমনকি মৃত্যুদণ্ড এবং কমপক্ষে ৫,০০,০০০ টাকা (প্রায় ৪,১১৬ ডলার) জরিমানা হতে পারে। যারা পাচারে উস্কানি, পরিকল্পনা বা সহায়তা করে তাদের তিন থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
দূতাবাস জানিয়েছে যে বাংলাদেশে আইনি প্রক্রিয়া প্রায়শই দীর্ঘ। মানব পাচারের সন্দেহে কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে, পুলিশ মামলা দায়ের থেকে আদালতের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত মাস বা বছর সময় লাগতে পারে। এটি পরিবার এবং মানুষের জীবন ধ্বংস করতে পারে। এই সতর্কবার্তা এমন এক সময়ে এসেছে যখন বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক গভীর হচ্ছে। চীন চায় না যে এই ধরনের ঘটনা তার নাগরিকদের এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করুক, বিশেষ করে যখন তারা বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগ করছে।
No comments:
Post a Comment