লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৫ মে ২০২৫, ১৭:০০:০০: আজকের যুগে স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ মোবাইল ফোনের প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছেন যে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তাঁরা প্রথমেই এটি ব্যবহার করেন এবং রাতে ঘুম না আসা পর্যন্ত এটি ব্যবহার করেই চলেন। এর ফলে স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। এর পাশাপাশি চোখ ও হাড়ের সমস্যাও বাড়ছে। খুব অল্প বয়সে চশমা পরা ছাড়াও, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত রোগগুলিও সাধারণ হয়ে উঠছে। এটি যতটা ভালো, ঠিকমতো ব্যবহার না করলে মানুষের জন্য ততটাই খারাপ।
ফোন এবং কম্পিউটারের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে ঘাড় এবং মেরুদণ্ড সম্পর্কিত সমস্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার মধ্যে একটি হল টেক্সট নেক, যা ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের কারণে হয়।
টেক্সট নেক সিনড্রোম কী?
প্রথমেই জানা যাক টেক্সট নেক সিনড্রোম কী? আসলে, যখন আপনি দীর্ঘক্ষণ মাথা নিচু করে মোবাইল বা অন্য কোনও ডিভাইস ব্যবহার করেন, তখন এটি ঘাড়ের ওপর অনেক চাপ ফেলে। এর ফলে ঘাড়, কাঁধ, মেরুদণ্ডে ব্যথা, শক্ত হয়ে যাওয়া এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। যখন আপনি দীর্ঘক্ষণ ঘাড় সামনের দিকে বাঁকিয়ে রাখেন, তখন এটি ঘাড়ের ওপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি করে, যা পেশী এবং লিগামেন্টের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দীর্ঘ সময় ধরে এই অবস্থা থেকে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। একে টেক্সট নেক বলা হয়।
লক্ষণ
চিকিৎসকদের মতে, এর লক্ষণগুলি খুবই সাধারণ, যা আপনি সহজেই জানতে পারবেন। যদি আপনার ঘাড়, কাঁধ এবং উপরের পিঠে ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যায়, মাথায় একটানা ব্যথা হয়, হাতে বা কাঁধে ঝিঁঝিঁ অনুভূতি হয়, যদি দীর্ঘক্ষণ বাঁকানোর কারণে মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে পারবেন এটি টেক্সট নেকের সমস্যা। এটি এড়াতে, আপনাকে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। অন্যথায়, এটি ভবিষ্যতে একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠতে পারে।
বাঁচবেন যেভাবে
মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করার সময় ঘাড় সোজা রাখুন। ডিভাইসটি চোখের সমানে রাখুন। চেয়ারে বসার সময় আপনার পিঠ সোজা রাখুন। প্রতি ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অন্তর চোখকে বিশ্রাম দিন। মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার শিশু, কিশোর এবং যুবদের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে। অতএব, খুব প্রয়োজন না হলে, মোবাইল থেকে দূরে থাকুন। প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। এছাড়াও, প্রচুর জল পান করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এতে আপনার চোখ এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আর হ্যাঁ, সমস্যা অল্প থাকতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment