লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৮ মে ২০২৫: ঘুম কেবল শরীরকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য নয় বরং এটি শিশুদের সামগ্রিক বিকাশেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভালো এবং পূর্ণ রাতের ঘুম একটি সুস্থ দৈনন্দিন রুটিনের ভিত্তি তৈরি করে। বিশেষ করে যখন শিশুদের কথা আসে, তখন এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভালো ঘুম শিশুদের সুস্থ বিকাশে সাহায্য করে কারণ যখন একটি শিশু গভীর ঘুমে থাকে, তখন শরীরে নতুন টিস্যু তৈরি হয়, মস্তিষ্ক দিনের বেলায় শেখা তথ্য সংগঠিত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও মজবুত হয়। এই কারণেই শিশুদের সময়মত এবং পর্যাপ্ত ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। অতএব, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য তাদের ঘুমের একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আসুন জেনে নিই শিশুদের ঘুমানোর সঠিক সময় কী হওয়া উচিৎ এবং কেন তাদের তাড়াতাড়ি ঘুম পাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ-
রাতে শিশুদের তাড়াতাড়ি ঘুম পাড়ানো কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ঘুম বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম পাড়ানো তাদের দৈনন্দিন জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি বিশেষ করে ছোট শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ তাদের শরীর বৃদ্ধির পর্যায়ে থাকে এবং তাই তাদের আরও বেশি ঘুমের প্রয়োজন হয়। সাধারণত, ৩ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের প্রতিদিন ৯ থেকে ১২ ঘন্টা ঘুমানো উচিৎ। শিশু যদি স্কুলে যায় এবং তাকে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হয়, তাহলে তাকে রাত ৮:০০ থেকে ৯:০০ টার মধ্যে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া ভালো।
শিশুদের বৃদ্ধির ওপর ঘুমের প্রভাব
একটি শিশু কতটা ভালো ঘুমায় তার সরাসরি প্রভাব পড়ে তার মেজাজ, শেখার ক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি এবং একাগ্রতার ঝপর। অনেক বাবা-মা মনে করেন যে, যদি শিশু রাত পর্যন্ত জেগে থাকে এবং সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে, তবুও সে পর্যাপ্ত ঘুম পায়, কিন্তু এই ধারণাটি ভুল। আসলে, রাতের ঘুম শরীরের বৃদ্ধি এবং হরমোনের ভারসাম্যের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে রাত ১০টা থেকে রাত ২টার মধ্যে সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই সময়ে শরীরের বৃদ্ধি হরমোন সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে।
সঠিক ঘুমের জন্য নিয়মিত রুটিন প্রয়োজন
শিশুরা যাতে পর্যাপ্ত এবং ভালো ঘুম পায় তা নিশ্চিত করার জন্য, তাদের জন্য একটি নিয়মিত এবং সুশৃঙ্খল রুটিন তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য প্রথমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে রাতের খাবার খাওয়ান। এর পরে, হালকা খেলাধূলা বা বই পড়ার জন্য একটি সময় নির্ধারণ করুন। তারপর, শিশুদের টিভি এবং মোবাইল স্ক্রিন থেকে দূরে রেখে একটি শান্ত পরিবেশে ঘুমাতে দিন। এটি শিশুদের দ্রুত এবং গভীর ঘুমে সাহায্য করবে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী হবে।
No comments:
Post a Comment