ন্যাশনাল ডেস্ক, ১১ মে ২০২৫: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, কিন্তু ভারত সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কাশ্মীর নিয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা গ্রহণযোগ্য নয়। বিদেশ মন্ত্রকের সূত্রের খবর, ভারত গোটা বিশ্বকে বলেছে যে, কাশ্মীর সমস্যাটি কেবল এই ভিত্তিতেই আটকে আছে যে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) ফিরিয়ে দেওয়া উচিৎ। এই সমস্যাটি দ্বিপাক্ষিক। আমরা পাকিস্তানের সাথে কেবল পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত দেওয়ার বিষয়ে কথা বলব। তৃতীয় কোনও দেশের হস্তক্ষেপ মঞ্জুর নয়।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে, বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, ভারত কাশ্মীর নিয়ে কোনও তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতা চায় না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ সূত্রের মতে, কাশ্মীর নিয়ে ভারতের নীতি খুবই স্পষ্ট। কাশ্মীর নিয়ে এখন আর কোনও বিরোধ অবশিষ্ট নেই। শুধু একটা সমস্যা বাকি আছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) ফেরত। আমরা কেবল এই বিষয়টি নিয়েই পাকিস্তানের সাথে কথা বলব। সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চান। তবে, ভারত সরকার তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং কোনও তৃতীয় পক্ষের এতে কোনও ভূমিকা থাকতে পারে না।
কাশ্মীর সম্পূর্ণরূপে ভারতের অংশ। ৫ আগস্ট ২০১৯ তারিখে ৩৭০ ধারা অপসারণের পর, জম্মু-কাশ্মীর এখন ভারতের সংবিধান অনুসারে সম্পূর্ণরূপে সংহত। শুধু পিওকে বাকি আছে। ভারত এখন কেবল পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতে ফিরিয়ে আনার দিকে মনোনিবেশ করছে।
ভারত সরকার আমেরিকা, ইউরোপ, উপসাগরীয় দেশ এবং জাতিসংঘকে জানিয়েছে যে, এই বিষয়টি সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক। কারওই এতে ঝাঁপিয়ে পড়ার দরকার নেই। অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত, পাকিস্তানকে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে সন্ত্রাসবাদের বদলে সরাসরি এবং চূড়ান্ত প্রত্যাঘাত করা হবে। যেসব দেশ বারবার ভারতকে বোঝানোর চেষ্টা করছে, তাদেরও এখন স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে ভারত 'জ্ঞান' না, সম্মান চায়।
No comments:
Post a Comment