দিলীপ জায়া রিঙ্কুর একমাত্র পুত্রের রহস্য মৃত্যু! "পুত্রসুখ হল না, পুত্রশোক পেলাম", আক্ষেপ বিজেপি নেতার - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, May 13, 2025

দিলীপ জায়া রিঙ্কুর একমাত্র পুত্রের রহস্য মৃত্যু! "পুত্রসুখ হল না, পুত্রশোক পেলাম", আক্ষেপ বিজেপি নেতার

 


কলকাতা, ১৩ মে ২০২৫, ২০:২৫:০১ : বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের নব‍্য বিবাহিত স্ত্রীর ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু। বাড়ি থেকে উদ্ধার মৃতদেহ। রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয়ের দাশগুপ্তের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সাতসকালে নিউটাউনে তার বাসভবনে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর তাকে প্রথমে নিউটাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে বিধাননগর উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।



চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কেন তার মৃত্যু হয়েছে এবং ঘটনার পেছনের কারণ কী তা নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিনি যে ঘরে থাকতেন সেই ঘরে বিছানায় পড়ে থাকা অবস্থায় তার দেহটি পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে এবং রহস্য উদঘাটন করা হবে।


মৃত সৃঞ্জয়ের মজুমদার ছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের প্রথম বিবাহের গর্ভে জন্মগ্রহণকারী পুত্র। মঙ্গলবার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে। পুলিশ আধিকারিক বলেন, "মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। পোস্টমর্টেমের পরই তা জানা যাবে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।" বর্তমানে, রিঙ্কু মজুমদার বা মৃতের পরিবারের কোনও সদস্যের কাছ থেকে পুলিশ কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পায়নি।

পুলিশ জানিয়েছেন, ঘরের বিছানায় সৃঞ্জয়ের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। পুলিশ মৃতদেহটি তাদের হেফাজতে নিয়ে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠিয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পরেই এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা যাবে। অন্যদিকে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার এখানে একটি পার্টি চলছিল। এই ঘটনার সাথে এই ঘটনারও সম্পর্ক থাকতে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু বাবা-মা এখনও পর্যন্ত কিছু বলেননি, তাই বিভ্রান্তি রয়ে গেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রিঙ্কুর পাশে নিমতলা শ্মশানে ছিলেন দিলীপ। সৃঞ্জয়ের মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "পুত্রসুখ হল না, পুত্রশোক পেলাম। এটা এমন একটা ঘটনা, যার বর্ণনা দেওয়া যায় না। আমরা কল্পনাই করতে পারছি না। ওর মা সকালে রান্না করছিল। একটা ফোন এল। সেই অবস্থায় দৌড়ে চলে গেল। এখন এখানে এসে পৌঁছেছি আমরা।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad