কলকাতা, ০২ মে ২০২৫, ১৮:০৯:০১ : বড় বাজার অগ্নিকাণ্ডের পর মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে শহরে আর কোনও রুফটপ রেস্তোরাঁ খোলা হবে না। তিনি বলেছেন যে রাজ্য সরকার গঠিত কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফিরহাদ বলেন, "আপাতত রুফটপ রেস্তোরাঁর সংখ্যা কমানো হয়েছে। একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। এখনও খোলা থাকা রেস্তোরাঁগুলি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" মেয়র বলেন, "আমি পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁর নামের তালিকা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। আমরা রেস্তোরাঁগুলিকে নোটিশ পাঠাব।" তিনি বলেন, "বড় বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে বড় বাজারের মেছুয়ার ফলপট্টিতে একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে হোটেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নানা ধরণের অবহেলার কথা সামনে আসছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে হোটেলে দাহ্য পদার্থ রাখা ছিল। হোটেলের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দমকলের ডিজি রণবীর কুমার বলেন, হোটেলের 'ফায়ার লাইসেন্স' তিন বছর আগে শেষ হয়ে গিয়েছিল। এর পর হোটেল প্রশাসন তা নবীকরণ করেনি। হোটেলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু আগুন লাগার সময় তা কাজ করছিল না। তবে, দমকল বিভাগের প্রাথমিক মূল্যায়নে বলা হয়েছে যে হোটেলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা একেবারেই কাজ করছিল না।
দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, আগুন লাগার সময় হোটেলে 'ফায়ার অ্যালার্ম' বাজেনি। দমকল আধিকারিকরা মনে করছেন, হোটেলের দোতলায় প্লাইউডের কাজ চলছিল, সেখান থেকেই আগুন লেগেছে। অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে তৃতীয় বা চতুর্থ তলায় থাকায় লোকেরা হোটেলের নিচে নামতে পারেননি। এমনকি একজন নিজের জীবন বাঁচাতে লাফিয়ে পড়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে, উপরের তলার জানালা দিয়ে ধোঁয়া বেরোতে না পারার প্রশ্ন উঠেছিল। হোটেলে কেন্দ্রীয় বাতানুকূল ব্যবস্থা বা সেন্ট্রাল এসি নেই। তা সত্ত্বেও, কেন বেশিরভাগ জানালা বন্ধ ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে, কলকাতা পৌর কর্পোরেশন কলকাতার সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
No comments:
Post a Comment