সেনা-নৌ-বিমান বাহিনী, ৫৪ বছর পর একসঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, May 7, 2025

সেনা-নৌ-বিমান বাহিনী, ৫৪ বছর পর একসঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৭ মে ২০২৫, ০৯:২৮:০১ : বুধবার রাতে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) সন্ত্রাসী শিবিরগুলিতে ভারত বিমান হামলা চালায়। এই পদক্ষেপটি 'অপারেশন সিন্দুর'-এর আওতায় নেওয়া হয়েছিল এবং বিশেষ বিষয় হল যে তিনটি বাহিনী, ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী যৌথভাবে এতে অংশ নিয়েছিল। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এটিই প্রথমবার, যখন ভারতের তিনটি বাহিনীই একসাথে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়।



পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের যে ৯টি ঘাঁটিতে ভারত বিমান হামলা চালিয়েছিল তার কয়েকটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিশেষ করে বাহাওয়ালপুর, যা একসময় জৈশ-ই-মহম্মদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল, আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যেখানে মুরিদকে ৩০ কিলোমিটার এবং গুলপুর ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।




এই অভিযানে মোট ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের বাহাওয়ালপুর সদর দপ্তর এবং লস্কর-ই-তৈয়বার মুরিদকে আস্তানা। সেনাবাহিনী জানিয়েছেন, এই জায়গাগুলি থেকে ভারতে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল এবং এগুলিকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিল।




এই অভিযানে তিনটি সেনাবাহিনীই তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। কামিকাজে ড্রোন (লোটারিং অ্যামিউনিশন) ব্যবহার করা হয়েছে, এগুলি এমন অস্ত্র যা সরাসরি শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে এবং সেখানে বিস্ফোরণ ঘটায়। সেনাবাহিনী স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও ঘাঁটিতে আক্রমণ করা হয়নি, কেবল সন্ত্রাসীদের আস্তানাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।




ভারতীয় সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে যে এই অভিযানটি সম্পূর্ণরূপে সংযত, সুনির্দিষ্ট এবং অ-উস্কানিমূলক ছিল। লক্ষ্যবস্তু নির্বাচনের সময় ভারত খুব ভেবেচিন্তে কাজ করেছে এবং কেবল সন্ত্রাসী কাঠামোতে আক্রমণ করেছে। পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যেখানে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।



সূত্র অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই সারা রাত ধরে অভিযান পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। অভিযান শেষ হওয়ার সাথে সাথে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করেন। এটি আরও স্পষ্ট করে যে এবার ভারত রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ সক্রিয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad