'ভারত হামলা করলে--', পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের চরম হুঁশিয়ারি পাক রাষ্ট্রদূতের - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, May 4, 2025

'ভারত হামলা করলে--', পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের চরম হুঁশিয়ারি পাক রাষ্ট্রদূতের


ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৪ মে ২০২৫, ০৯:৫১:০০: পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই আবহে ফের বিস্ফোরক পাকিস্তান। রাশিয়ায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ খালিদ জামালি আরটি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, ভারত যদি পাকিস্তানে আক্রমণ করে অথবা সিন্ধু নদীর জল বন্ধ করে দেয়, তাহলে পাকিস্তান কেবল প্রচলিত অস্ত্র দিয়েই নয়, পারমাণবিক অস্ত্র দিয়েও জবাব দেবে।


পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের এই বক্তব্য বিশ্বস্তরে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ উভয় দেশই পারমাণবিক শক্তিধর। পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আরও দাবী করেছেন যে, ভারতীয় সামরিক নথি ফাঁস হয়েছে যাতে পাকিস্তানে আক্রমণের পরিকল্পনা রয়েছে। এর থেকে স্পষ্ট যে পাকিস্তান আক্রমণের ভয়ে ভীত এবং যেকোনও মুহূর্তে জবাব দিতে প্রস্তুত।


পহেলগাম হামলার পর ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে। এ কারণে পাকিস্তানি শাসকরা বেশ বিচলিত। ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জল চুক্তি এখন উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তান বলেছে যে, ভারত যদি নিম্নাঞ্চলে জল বন্ধ করে দেয় বা এর প্রবাহকে ভিন্ন দিকে ঠেলে দেয়, তাহলে তা যুদ্ধের একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। ভারত ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা চুক্তিটি পর্যালোচনা করবে, বিশেষ করে তখন, যখন পাকিস্তানের তরফে বারবার সন্ত্রাসবাদ সমর্থন পাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে, জল এখন আর কেবল একটি সম্পদ নয় বরং একটি কৌশলগত অস্ত্র হয়ে উঠেছে।


জামালি সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন যে, উভয় দেশই পারমাণবিক শক্তিধর এবং এমন পরিস্থিতিতে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াকে বিপদে ফেলতে পারে। তিনি কাশ্মীর হামলার নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবী জানান এবং বলেন যে, এতে রাশিয়া ও চীনের ভূমিকা থাকতে পারে। তবে পাকিস্তানের এই দাবী প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।  


প্রসঙ্গত, ২২শে এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা কেবল ভারতকেই হতবাক করেনি বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপরও মারাত্মক আঘাত এনেছে। এই হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যা দেশজুড়ে ক্ষোভ ও শোকের ঢেউ তুলেছে। এই আক্রমণটি এমন এক সময়ে ঘটে যখন ভারত আগে থেকেই সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনার সম্মুখীন ছিল। ভারত সরকার তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ করার জন্য তিন বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। এর সাথে সাথে, তিনি সন্ত্রাসবাদী এবং এর সমর্থকদের সতর্ক করে দেন যে ভারত এখন প্রতিরক্ষামূলক নয়, আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad