প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৮ মে ২০২৫, ১৭:০৫:০১ : ভারতের সাথে উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান থেকে আসা প্রতিবেদন অনুসারে, চীনা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা HQ-9 মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ড্রোন হামলায় পাকিস্তানি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তান চীনা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে এবং পাকিস্তানের কাছে ৮০ শতাংশেরও বেশি চীনা অস্ত্র রয়েছে। কিন্তু যদি চীনা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতির প্রতিবেদন সত্য হয়, তাহলে এটি পাকিস্তানের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
HQ-9 রাশিয়ার S-300 সিস্টেম এবং আমেরিকার প্যাট্রিয়ট সিস্টেমের প্রযুক্তি চুরি করে চীন তৈরি করেছে। চীন দাবী করেছে যে এর পাল্লা ১২০-২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত। তবে এর পাল্লা তার ওজনের উপর নির্ভর করে এবং এর অনেক রূপ রয়েছে যেমন HQ-9A, HQ-9B, HQ-9BE। চীন দাবী করেছে যে এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে বাধা দিতে পারে। কিন্তু ড্রোন হামলায় এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। চীনের দাবী যে এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় AESA রাডার, মাল্টি-ট্র্যাকিং এবং মাল্টি-টার্গেট এনগেজমেন্ট ক্ষমতা রয়েছে তা ব্যর্থ হয়েছে।
পাকিস্তান ২০২১ সাল থেকে তার বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য HQ-9B সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করেছিল, যখন চীনা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তখনও তার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। অনেক প্রতিবেদনে চীনা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতা দুর্বল বলে বর্ণনা করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান এখনও এটি কিনেছে, কারণ চীন এখন তার উপর অনেক চাপ সৃষ্টি করে। এই চীনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিশেষভাবে করাচি, গোয়াদর এবং ইসলামাবাদের মতো সংবেদনশীল ঘাঁটি রক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। রাফালে, ব্রহ্মোস এবং Su-30MKI-এর মতো ভারতের সক্ষমতা মোকাবেলা করার জন্য পাকিস্তান এই সিস্টেমটি কিনেছিল। কিন্তু যদি ড্রোন হামলায় পাকিস্তানের চীনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধে নামা খুব কঠিন হবে।
No comments:
Post a Comment