রাতভর নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে গুলি পাক সেনাবাহিনীর! উপযুক্ত জবাব ভারতেরও - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, May 6, 2025

রাতভর নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে গুলি পাক সেনাবাহিনীর! উপযুক্ত জবাব ভারতেরও



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬ মে ২০২৫, ১০:৪৬:০১ : জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে বিনা উস্কানিতে গুলি চালানো থেকে বিরত থাকছে না পাকিস্তানি সেনারা। ৫-৬ মে মধ্যরাতে কুপওয়ারা, বারামুল্লা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধার, নওশেরা, সুন্দরবানি এবং আখনুরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর দুই দেশের সম্পর্কের উত্তেজনা যখন চরমে, তখন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বিনা উস্কানিতে গুলি চালানো হচ্ছে।


জম্মু-কাশ্মীরের ৭টি সীমান্ত জেলার মধ্যে ৫টিতে গুলি চালানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সাম্বা এবং কাঠুয়া জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে গুলি চালানোর কোনও খবর নেই। সীমান্তের ওপার থেকে এই নতুন দফা গুলি চালানো যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে আরও দুর্বল করে তোলে, যা এখন ৭৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তানের ক্রমাগত লঙ্ঘনের কারণে মূলত অকার্যকর বলে বিবেচিত হচ্ছে। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক এই আক্রমণগুলি কাশ্মীর উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় কুপওয়ারা এবং বারামুল্লা জেলায় শুরু হয়েছিল, যা এখন দক্ষিণে রাজৌরি, পুঞ্চ, আখনুর এবং জম্মু জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তের পারগওয়াল সেক্টরে ছড়িয়ে পড়েছে। পাঁচটি সীমান্ত জেলা - বারামুল্লা, কুপওয়ারা, পুঞ্চ, রাজৌরি এবং জম্মু - গুলিবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। চুক্তিটি মূলত ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ সালে কার্যকর হয়, যখন উভয় দেশের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক যুদ্ধবিরতি পালনের প্রতিশ্রুতি দেন। এটি ২০০৩ সালের মূল যুদ্ধবিরতি চুক্তির পুনরাবৃত্তি, যার লক্ষ্য ছিল জম্মু-কাশ্মীরে সীমান্তে গোলাগুলি এবং সহিংসতা প্রতিরোধ করা। ২০১৯ সালে ভারত কর্তৃক জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর এই চুক্তিটি হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করা। দুই দেশ নিয়মিত সংলাপ এবং হটলাইন যোগাযোগের মাধ্যমে লঙ্ঘনের সমাধান করতে সম্মত হয়েছে। তবে মাঝেমধ্যেই লঙ্ঘনের খবর আসছে।

পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক পদক্ষেপ নেয়। সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত ছিল ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা, যা পাকিস্তানের কৃষি ও অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভারত পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেয়। আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাকিস্তানি হাইকমিশনের কর্মচারীর সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ করা হয়। প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান বাহিনীর উপদেষ্টাদের 'অবাঞ্ছিত ব্যক্তি' ঘোষণা করে বহিষ্কার করা হয়। ভারত পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় এবং বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল এবং ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করে। প্রধানমন্ত্রী মোদী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে স্বাধীনতা দিয়েছেন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি হামলার জন্য দায়ী সন্ত্রাসী সংগঠন 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট'-এর প্রমাণ সংগ্রহ করছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad