ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৫ মে ২০২৫: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কেবল ১৮ মে পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাকক দার এই বিবৃতি দিয়েছেন। খবর সংবাদ সংস্থা এএফপি-এর। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আবার কি সামরিক সংঘাত শুরু হতে চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ১৮ মে-র পর কি পাকিস্তান থেকে আবার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে আক্রমণ হবে এবং ভারত কি এর জবাব দেবে? কারণ যখন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই এই যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বলে দিচ্ছেধ, তখন এর অর্থ কী? হতে পারে এটি পাকিস্তানের কোনও নতুন কৌশল।
এটা ঠিক যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে এই কথা বলেছেন। কিন্তু পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন এটা বললেন... ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এটি ভারতকে আলোচনার টেবিলে আনার এবং সিন্ধু চুক্তি শুরু করার একটি কৌশলও হতে পারে।
পাকিস্তান ভারতের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে চায়। ইসহাক দার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে এই বিবৃতি দিয়েছেন। যাতে এই বিষয়টি আলোচনায় আসে।
ইশাক দার জাতীয় পরিষদে বলেন, "১০ মে, দুই দেশের মধ্যে ডিজিএমও স্তরের আলোচনার ফলে ১২ মে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। ১২ মে অনুষ্ঠিত আলোচনার ফলে ১৪ মে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। ১৪ মে অনুষ্ঠিত আলোচনার ফলে ১৮ মে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।" তিনি আরও বলেন যে, "সামরিক পর্যায়ে হওয়া চুক্তিটি তখনই পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পরিণত হবে যখন দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা হবে।"
উল্লেখ্য, পহেলগামে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার পর গত তিন সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে তা পুরো বিশ্বের সামনে। কিন্তু পাকিস্তান ভারতের নেওয়া কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশি চিন্তিত, যার কারণে যেকোনও সময় তারা ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ভয় সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেও, ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত থাকবে। যদি পাকিস্তানের সাথে আলোচনা হয়, তাহলে তা হবে সন্ত্রাসবাদ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে। পাকিস্তান সিন্ধু চুক্তির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করাতে চায়। এর জন্য ভারতকে রাজনৈতিক বার্তালাপে আনতে চান। আসলে পাকিস্তান চায় আলোচনা রাজনৈতিক পর্যায়ে হোক। যাতে তিনি সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখার বিষয়ে ভারতের সাথে কথা বলতে পারে। যদিও ভারত আগেই এর জন্য না বলে দিয়েছে। ভারত প্রথমে সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে পাকিস্তানের কাছ থেকে পূর্ণ নিশ্চয়তা চায় যে, ভবিষ্যতে তারা এটি করবে না। ভারত জানিয়েছে যে, বর্তমানে ডিজিএমও পর্যায়ে আলোচনা হবে। যার জন্য ভারত তার শর্তও ঠিক করেছে।
ভারত-পাকিস্তান আলোচনার জন্য ভারত আগে থেকেই তার শর্তাবলী স্থির করেছে। ভারত স্পষ্টভাবে বলেছে যে, যদি আলোচনা হয়, তবে তা কেবল সন্ত্রাসবাদ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) নিয়েই হবে। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত থাকবে। আর এ নিয়েই পাকিস্তান সরকারের অবস্থা খারাপ।
No comments:
Post a Comment