প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩১ মে ২০২৫, ২০:২৫:০১ : ইউক্রেনের পর, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এখন পরবর্তী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে, রিপোর্ট অনুসারে, রাশিয়া ২৭ মে থেকে বাল্টিক সাগরে একটি বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এই মহড়ায় ২০ টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ, নৌকা এবং সহায়ক জাহাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রায় ৩,০০০ সৈন্য, ২৫টি বিমান এবং হেলিকপ্টার এই মহড়ার অংশ। এবার রাশিয়ান নৌবাহিনী মনুষ্যবিহীন ড্রোন (UAV) এবং নৌকা মোকাবেলার কৌশল নিয়ে কাজ করছে।
এদিকে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সতর্ক করেছে যে রাশিয়া শীঘ্রই সুওয়ালকি করিডোরকে তার পরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে। সংস্থার মতে, যদি রাশিয়া ইউক্রেনে বড় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়, তাহলে মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে বা কৌশলগত সুবিধা অর্জনের জন্য তারা এই করিডোরে আক্রমণ করতে পারে।
মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, জার্মানির ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের সাম্প্রতিক ঘোষণা রাশিয়ার ক্রোধ এবং কৌশল উভয়কেই আরও তীব্র করেছে। এই কারণেই সুওয়ালকি করিডোরে এখন সতর্কতার ঘন্টা বাজছে। সুওয়ালকি করিডোর পোল্যান্ড এবং লিথুয়ানিয়ার মধ্যে অবস্থিত একটি পাতলা ভূমি। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৫ কিলোমিটার। এই স্ট্রিপটি রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ অঞ্চল এবং বেলারুশের সাথে সংযোগকারী সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত স্থলপথ।
এই করিডোরটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বাল্টিক দেশ এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়াকে ইউরোপের বাকি অংশ এবং ন্যাটো দেশগুলির সাথে সংযুক্ত করার একমাত্র স্থলপথ। যদি রাশিয়া এবং বেলারুশ একসাথে এটি দখল করে, তাহলে ন্যাটোর বাকি অংশের সাথে এই বাল্টিক দেশগুলির স্থল যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, কেবল এই দেশগুলির নিরাপত্তাই হুমকির মুখে পড়বে না, বরং ন্যাটোও একটি বড় কৌশলগত সংকটের মুখোমুখি হতে পারে।
No comments:
Post a Comment