ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৪ মে ২০২৫: পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা এবং তারপর ভারতের অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কে সত্য জানাতে বর্তমানে বিদেশ সফরে রয়েছে ভারতের একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল। এই দলে রয়েছেন বাংলার তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পর্বে টোকিওতে পৌঁছেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সন্ত্রাসবাদকে পাগল কুকুরের সাথে তুলনা করে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করেছেন। তিনি বলেন, 'আমরা এখানে এই বার্তা দিতেই এসেছি যে, আমরা সন্ত্রাসবাদের কাছে মাথা নত করতে পারি না। আমি ভারতের বিরোধী দল থেকে এসেছি। আমরা বলি যে পাকিস্তানকে সেই ভাষায় বোঝানো উচিৎ, যে ভাষা তারা বোঝে।'
তিনি বলেন, 'সন্ত্রাসবাদ পাগল কুকুরের মতো, যা পাকিস্তান লালন করছে। আমাদের প্রথমে তার সাথে লড়াই করতে হবে যারা এটা পালন করছেন। নাহলে তারা আরও এই রকম কুকুর তৈরি করবে। ভারত একটি দায়িত্বশীল দেশ। আমরা যেই পদক্ষেপ করেছি, সেটা একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবেই। আমরা কোনও উস্কানিমূলক পদক্ষেপ করিনি, কেবল সন্ত্রাসীদের আস্তানায় আক্রমণ করেছি।'
এর পাশাপাশি, জেডিইউ নেতা সঞ্জয় ঝা টোকিওতে বলেছেন, 'আমাদের অন্য কোনও এজেন্ডা ছিল না কিন্তু যখন তারা আক্রমণ শুরু করেছিল, তখন ভারতীয় সেনাবাহিনী কীভাবে আত্মরক্ষা করে, তা সকলের সামনে। যখন তারা আক্রমণ করে, তখন ভারতীয় বিমান বাহিনী তাদের ৯টি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। মিডিয়ায় নানা ধরণের কথা আসতে থাকে কিন্তু সেখানকার ডিজিএমও কথা বলেন। তাদের ডিজিএমও ভারতের ডিজিএমওকে ফোন করে বলেন যে, আমরা যুদ্ধবিরতি চাই, তারপর ভারতও রাজি হয়ে যায়।'
জেডিইউ নেতা বলেন, 'সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলাদা-আলাদা ভাবে গিয়ে বলা দরকার যে, সেখানকার সরকার এবং সেনাবাহিনী এই সমস্ত কাজের সাথে জড়িত। আমরা এবং বিশ্ব নিরপেক্ষ থাকতে পারি না। আমরা বার্তা দিয়েছি যে, যদি তারা আমাদের আক্রমণ করে, তাহলে আমরা বাড়িতে ঢুকে মারব। আমরা চুপ করে বসে থাকব না। পাকিস্তানের বোঝা উচিৎ যে, ভারত সম্পর্কে কিচ্ছু বলা যাবে না। তারা কিছু করলে আমরা ভেতরে ঢুকে মারব।'
সঞ্জয় কুমার ঝা বলেন, 'আমরা পাকিস্তানি সেনা আধিকারিকদের সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার ছবি দেখিয়েছি। পাকিস্তানের হাল তো আপনারা জানেন। সেই দেশে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। তাদের সেনাপ্রধানের বক্তব্য আপনারা শুনুন; পহেলগাম আক্রমণের এক সপ্তাহ আগে কী ধরণের কথা বলেছে? তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তান ধর্মের ভিত্তিতে গঠিত হয়েছিল। আমাদের চিন্তাভাবনা ভিন্ন। তিনি প্রবাসী পাকিস্তানিদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এই ধরণের প্রতিবেশী। সরকার এবং জনগণ চায়, এখন যথেষ্ট হয়েছে। এখন প্রতিটি কর্মকাণ্ডের সরাসরি জবাব দেওয়া হবে।'
No comments:
Post a Comment