প্রেমিকের সঙ্গে মিলে সন্তানকে নৃশংস খুন, দেহ টুকরো করে স্যুটকেসে ভরল 'মা'!

ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৫ মে ২০২৫: প্রেমিকের সঙ্গে মিলে সন্তানকে নৃশংস খুনের অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আসামের গুয়াহাটিতে। বাসিস্তা পুলিশ ছেলের নৃশংস খুনের ঘটনায় এক মহিলাকে এবং তার প্রেমিককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। রবিবার গুয়াহাটিতে বন বিভাগের অফিসের কাছে স্যুটকেসে এক বালকের বিকৃত দেহ পাওয়া যায়। মৃতের নাম মৃণ্ময় বর্মণ, বয়স ১০ বছর। নবোদয় জাতীয় বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে। বাসিস্তা এবং ইন্দিরা নগরের মাঝামাঝি এক নির্জন রাস্তার ধারে স্থানীয় এক ভাঙ্গাচোরা জিনিস বিক্রেতা তাকে দেখতে পান। এরপর তিনি দ্রুত পুলিশকে খবর দেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি শনাক্ত করায় এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ ওই বালকের মা দীপালি রাজবংশী ও তার প্রেমিক জ্যোতিময় হ্যালোইকে হেফাজতে নেয়। এরপর যখন তাদের দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন তারা দুজনেই ১০ বছর বয়সী বালকটিকে খুনের অপরাধ স্বীকার করে। 

গুয়াহাটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) মৃণাল ডেকা পিটিআইকে জানিয়েছেন যে, শিশুটির মা শনিবার একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন, যেখানে তিনি জানান, তার ছেলে টিউশন থেকে বাড়ি ফিরে আসেনি।

তিনি বলেন, "আমরা দ্রুত তদন্ত শুরু করি এবং বশিষ্ঠ মন্দিরের কাছে ঝোপের মধ্যে একটি স্যুটকেস পেয়েছি। ছেলেটিকে মেরে টুকরো করে জিনিসপত্রের ভেতরে ভরে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।"  

ডেকা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময়, মায়ের প্রেমিক অপরাধ স্বীকার করে এবং পুলিশকে স্যুটকেসের অবস্থানে নিয়ে যায়। তাঁর সংযোজন, "আমরা লোকটিকে গ্ৰেফতার করেছি। পুলিশ তার মাকেও হেফাজতে নিয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে তার সম্ভাব্য ভূমিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।" 

ডিসিপি বলেন, ফরেনসিক দল এবং সিআইডি আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন। তিনি বলেন, "আমরা মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি, এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।"

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একজন পুলিশ আধিকারিক জানান, একটি ক্লিনিকে কর্মরতা দীপালি প্রথমে ভান করেছিলেন যে তার ছেলে নিখোঁজ এবং পুলিশের কাছে রিপোর্ট দায়ের করেছিলেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার পরস্পরবিরোধী বক্তব্য সন্দেহ জাগিয়ে তোলে। তদন্তের পর, আমরা জানতে পারি যে তিনি দুই মাস আগে তাঁর স্বামী বিকাশ বর্মণের কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন এবং অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেলের অফিসে অস্থায়ী পিয়ন জ্যোতিময় হালোইয়ের সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিল। তারা দুজনেই পরিকল্পনা এবং শিশুটিকে নির্মমভাবে খুব করে। 

পুলিশ জানিয়েছে যে, বর্তমানে দীপালি তাঁদের হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির স্কুল ব্যাগটিও উদ্ধার করেছে।