লালের চেয়ে হলুদ তরমুজ বেশি উপকারী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে ওজন কমাতে সহায়ক

লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৭ মে ২০২৫: গ্রীষ্মকাল আসার সাথে সাথে বাজারে মৌসুমী ফল আসতে শুরু করে। এর মধ্যে একটি হল তরমুজ, যা গ্রীষ্মকালে অন্যতম পছন্দের ফল। স্বাদে অসাধারণ হওয়ার পাশাপাশি এটি শরীরকে ঠাণ্ডাও করে। সাধারণত যখন আমরা তরমুজের কথা বলি, তখন লাল রঙের রসালো ফলের কথা মনে আসে, কিন্তু আপনি কি কখনও হলুদ তরমুজের কথা শুনেছেন? হ্যাঁ, হলুদ তরমুজ কেবল সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। এটি খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং শরীর প্রাকৃতিক পুষ্টিও পায়। আসুন জেনে নিই হলুদ তরমুজের আশ্চর্যজনক উপকারিতা-

লাল তরমুজের চেয়ে হলুদ তরমুজ বেশি উপকারী

পুষ্টিগুণে ভরপুর: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, লাল তরমুজের চেয়ে হলুদ তরমুজ বেশি উপকারী। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি ছাড়াও এতে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং বিটা-ক্যারোটিনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

ওজন কমাতে সহায়ক: যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য হলুদ তরমুজ খাওয়া উপকারী হতে পারে। এতে খুব কম ক্যালোরি থাকে এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা থাকে, যা অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে।

হজমে উপকারী: ভারী এবং ভাজা খাবারের কারণে গ্রীষ্মে গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং আলসারের মতো সমস্যা সাধারণ হয়ে ওঠে। হলুদ তরমুজে উপস্থিত ফাইবার হজম ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

গ্রীষ্মে হাইড্রেশনের একটি ভালো উৎস: হলুদ তরমুজ প্রচুর পরিমাণে জলে ভরপুর, যা গ্রীষ্মকালে শরীরে জলশূন্যতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। এটি জৃশূন্যতা রোধ করে শরীর ঠাণ্ডা রাখে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করে: এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করে। এটি ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

হজমশক্তি উন্নত করে: ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফলটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং মলত্যাগ সহজ করে। এটি খেতে হালকা, দ্রুত হজম হয় এবং বদহজমের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ: হলুদ তরমুজে বিটা-ক্যারোটিন নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। এটি দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে এবং বয়সের সাথে সাথে তাদের রক্ষা করতে সাহায্য করে।

ত্বককে তরুণ এবং উজ্জ্বল করে: এটি ত্বকের কোষ মেরামত করে, বলিরেখা কমায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে। এটি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও কার্যকর।