ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৩ জুন ২০২৫: গাড়ির ধাক্কায় ধড় থেকে আলাদা হয়ে গেল নাবালকের মাথা। অত্যন্ত ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের হাথরাস জেলায়। ১১ বছর বয়সী ওই নাবালক বাসে বসে ছিল এবং জানালা দিয়ে মাথা বের করে রেখেছিল। সেই সময় পাশ দিয়ে যাওয়া একটি পিকআপ গাড়ির ধাক্কায় তার মাথা কেটে ধড় থেকে আলাদা হয়ে যায়। দুর্ঘটনাটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, শিশুটির ধড় বাসের মধ্যেই থেকে যায় এবং মাথাটি মাটিতে পড়ে যায়। যে কেউ এই দৃশ্যটি দেখেছে, তাঁর আত্মা কেঁপে উঠেছে।
ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে থানা হাথরাস জংশন এলাকার কৈলোরা মোড়ের কাছে। ১১ বছর বয়সী আলী তার পরিবারের সাথে তার তুতো ভাইয়ের বিয়েতে যোগ দিতে মকসুদ নগর থেকে এসেছিল। সে বরযাত্রী যাওয়ার জন্য বাসে জানালার ধারে সিটে বসেছিল। সিকান্দ্ররাও এলাকার মেওয়ালি গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল বরযাত্রীর গাড়িটির কিন্তু তার আগেই পথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাস থেকে মাথা বের করে তাকানোর সময়, পাশ দিয়ে যাওয়া টাটা ম্যাজিক পিকআপের ধাক্কায় আলীর মাথা কেটে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। আলীর ধড় বাসের ভেতরেই রয়ে যায় এবং তাঁর মাথা রাস্তার ওপর গড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর বাসের ভেতরে চিৎকার ও হইচই শুরু হয়ে যায়। চালক বাস থামিয়ে দেন। নেমে তিনি দেখেন, আলীর কাটা মাথা মাটিতে পড়ে আছে। পরবর্তীতে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ মৃতদেহটি হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পরই বিয়ের আনন্দ শোকে পরিণত হয়। পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মৃতের সাথে উপস্থিত শাহাবুদ্দিন বলেন, 'সবাই বাসে বসে ছিলেন। আলী জানালার কাছে ছিল। হঠাৎ একটা বিকট শব্দ হয়। আমরা যখন তাকালাম, রক্তে ভেজা ধড় বাসের সিটে ছিল, কিন্তু মাথাটি অনুপস্থিত ছিল। বাসটি তৎক্ষণাৎ থামানো হয়। আমরা যখন নেমে তাকালাম, তখন মাথাটি মাটিতে পড়ে ছিল। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।'
No comments:
Post a Comment