Wednesday, June 11, 2025

ভালোবাসার ছদ্মবেশে মৃত্যু: হানিমুনে গিয়ে স্বামীর রক্তে হাত রাঙাল স্ত্রী!


এক নবদম্পতির জীবনে ভালোবাসা ও বিশ্বাসের জায়গা নিয়ে তৈরি হলো চরম পরিণতি। সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে রঘুবংশী পরিবারের পুত্র রাজা রঘুবংশীর রহস্যজনক মৃত্যু, যাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভ ও আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সমাজজুড়ে।


রাজার শোকাহত বাবা সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করেন, "আমার ছেলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তো দূরের কথা, স্ত্রীর  মনটুকু পর্যন্ত পায়নি সে।" তিনি দাবি করেন, বিয়ের পর থেকেই সোনমের আচরণ সন্দেহজনক ছিল, এবং তার পরিবারের সদস্যরাও জানতেন যে সোনম অন্য এক যুবকের সাথে সম্পর্ক রাখছিলেন। পারিবারিক অশান্তি ছিল প্রায় নিয়মিত ঘটনা — এমনকি প্রতিবেশীরাও মাঝে মধ্যেই চিৎকার ও ঝগড়ার শব্দ শুনতে পেতেন।

সন্তানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়া রাজার বাবা বলেন, “আমরা আমাদের সন্তানের বিয়ে খুব ধুমধাম করে করেছি। এখনও আমাদের ঘর সজ্জিত, কিন্তু ছেলে নেই। এই যন্ত্রণার কোনও তুলনা হয় না।”

তিনি আরও বলেন, “সোনম আমার ছেলেকে মিথ্যা বলেছে। হানিমুনে গিয়ে শাশুড়িকে ফোনে একাদশী উপবাসের গল্প শোনালেও হোটেলে বসে খুনিদের সঙ্গে খেয়েছে।”

হত্যাকাণ্ডে মূল ষড়যন্ত্র:

ঘটনার পেছনে নাম উঠে আসছে রাজ কুশওয়াহা নামে এক যুবকের। জানা গেছে, বিয়ের দিনেই রাজ কুশওয়াহা সোনমকে বোঝায় রাজাকে শিলংয়ে নিয়ে যেতে, যেখানে পরিকল্পনা মাফিক হত্যা করা হবে। রাজা হত্যার সময় সোনম নিজেই নাকি বলেছিল, “হত্যা করো তাকে!”

সূত্র অনুযায়ী, এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত একটি কনট্রাক্ট কিলিং, যাতে রাজা রঘুবংশীকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়। সোনমের পরিবার এই সম্পর্কে অবগত ছিল বলে অভিযোগ।


ঘটনার পর জনতা অভিযুক্তদের মারধর করে। ক্ষুব্ধ রাজা রঘুবংশীর বাবা সমাজের উদ্দেশ্যে বলেন,
“আমি রঘুবংশী সমাজের কাছে আবেদন জানাচ্ছি — সোনম ও তার পরিবারকে সমাজ থেকে বহিষ্কার করা হোক। যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত।”



তিনি আরও বলেন, “এই মামলায় আরও অনেকের নাম সামনে আসবে, বিশেষ করে সোনমের বাবার কারখানার কর্মীদের।”

একটি বিয়ের পরিণতি এমন মর্মান্তিক পরিণতির দিকে গড়াবে, কেউ কল্পনাও করেনি। বিশ্বাসভঙ্গ, ষড়যন্ত্র ও ঠাণ্ডা মাথার খুন — সব মিলিয়ে ঘটনাটি গোটা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সকলের প্রশ্ন, এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার কবে এবং কীভাবে মিলবে?

No comments:

Post a Comment