তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিতর্ক ফের চর্চায়। দলীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক এক মন্তব্য ঘিরে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কসবা এলাকার এক কলেজছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় কল্যাণ ও মদন মিত্রের বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই দল নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে, জানিয়ে দিয়েছে — এমন বক্তব্য ব্যক্তিগত, দলের মত নয়।
এই ঘটনার পরেই কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র ইঙ্গিতপূর্ণ ভঙ্গিতে তাঁদের ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে কটাক্ষ করেন। সেই মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমি নারীবিদ্বেষী নই। তবে একজন নারীকে ঘৃণা করি, তিনি হলেন মহুয়া মৈত্র।”
তিনি আরও জানান, “আমি সব মহিলাকেই সম্মান করি। কিন্তু একজন সাংসদ, যিনি সংসদের নৈতিকতা কমিটি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন, তাঁকে সম্মান করা যায় না।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, মহুয়া সম্প্রতি প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্রকে বিয়ে করেছেন এবং সে উপলক্ষে ছুটিতে ছিলেন। এই বিষয়েও ইঙ্গিত করেন কল্যাণ, বলেন, “দেড় মাস হানিমুন কাটিয়ে দেশে ফিরে আমার পেছনে লাগা শুরু করলেন বুঝি?”
এদিকে মহুয়া নাম উল্লেখ না করে নিজের পোস্টে জানান, “ভারতে নারীবিদ্বেষ কোনও রাজনৈতিক দলের সীমায় আবদ্ধ নয়। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস এমন মন্তব্যকে সমর্থন করে না এবং প্রতিবাদ জানায়।”
এখন দলীয় শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তির প্রশ্নে এই বিতর্ক দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, সে দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
No comments:
Post a Comment