কতদিন অন্তর বিছানার চাদর বদলে ফেলা উচিৎ? নোংরা ব্যবহার করলে এইসব মারাত্মক ক্ষতি - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, June 11, 2025

কতদিন অন্তর বিছানার চাদর বদলে ফেলা উচিৎ? নোংরা ব্যবহার করলে এইসব মারাত্মক ক্ষতি


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ জুন ২০২৫: স্বাস্থ্যের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো সুস্বাস্থ্যের জন্য, মানুষ প্রায়শই খাবারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা বলে, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই অনেক বিষয় উপেক্ষা করেন। এর মধ্যে একটি হল বিছানার চাদরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। অনেকেই বিছানায় একই চাদর মাসের পর মাস পেতে রাখেন। বিছানায় ঘুমালে আপনার ত্বক, ঘাম, চুল, ধুলো এবং ব্যাকটেরিয়া সেখানে জমা হয়। যদি সময়মতো বিছানার চাদর পরিবর্তন না করা হয়, তাহলে অনেকরকম ত্বকের রোগ, অ্যালার্জি এবং সংক্রমণ হতে পারে। এখন প্রশ্ন হল, কত দিনের মধ্যে বিছানার চাদর পরিবর্তন করা উচিৎ এবং নোংরা বিছানার চাদর ব্যবহারের অসুবিধাগুলি কী হতে পারে?


স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ৭ থেকে ১০ দিন অন্তর বিছানার চাদর পরিবর্তন করা উচিৎ। যদি আপনার প্রচুর ঘাম হয় অথবা আপনার ঘরে প্রচুর ধুলো জমে থাকে, তাহলে ৫ দিনের মধ্যে বিছানার চাদর পরিবর্তন করা উচিৎ। এছাড়াও, যদি পোষা প্রাণীও আপনার বিছানায় আসে, তাহলে প্রতি ৩ থেকে ৫ দিন অন্তর বিছানার চাদর পরিবর্তন করা উচিৎ। যদি আপনার বিছানার চাদর পরিষ্কার থাকে, তাহলে আপনার ভালো ঘুম হবে এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যার ঝুঁকিও কমবে। তাই, মানুষের বিছানার চাদরের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে যত্ন নেওয়া উচিৎ। এই বিষয়ে অবহেলা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।


চিকিৎসকদের মতে, কিছু পরিস্থিতিতে, প্রতিদিন বা ২-৩ দিনের মধ্যে বিছানার চাদর পরিবর্তন করা উচিৎ। ত্বকের সংক্রমণ, ডেঙ্গু জ্বর, ভাইরাল জ্বরের ক্ষেত্রে, প্রতি ২ দিন অন্তর বিছানার চাদর পরিবর্তন করার চেষ্টা করা উচিৎ। এছাড়াও, হাঁপানি এবং ধুলোর অ্যালার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ২-৩ দিন অন্তর বিছানার চাদর পরিবর্তন করা উচিৎ। ছোট শিশু এবং বয়স্কদের বিছানার চাদরও সপ্তাহে কমপক্ষে ২ বার পরিবর্তন করা উচিৎ, যাতে তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।


এখন প্রশ্ন হল, নোংরা বিছানার চাদর ব্যবহার করলে কী হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেল, মৃত ত্বকের কোষ এবং ত্বকের ঘাম বিছানার চাদরে জমা হয়। এগুলো সবই নোংরা চাদরে ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের আবাসস্থল তৈরি করে, যা ব্রণ, ফুসকুড়ি এবং চুলকানির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিছানার চাদরে উপস্থিত ধুলো এবং ধূলিকণা শ্বাসযন্ত্রের রোগ বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর ফলে অ্যালার্জি, হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়া এবং হাঁপানির আক্রমণ হতে পারে। যদি আপনার শরীরে কোনও ধরণের আঘাত বা কাটা থাকে, তাহলে নোংরা চাদর থেকে ব্যাকটেরিয়া ক্ষতস্থানে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে ত্বকের সংক্রমণ বা সিস্ট হতে পারে।


নোংরা এবং দুর্গন্ধযুক্ত বিছানার চাদর আপনার ঘুমের মানকেও প্রভাবিত করে। একটি পরিষ্কার বিছানা মনকে প্রশান্ত করে এবং শরীরকে শিথিল করে, যার ফলে গভীর এবং শান্তিপূর্ণ ঘুম আসে। একটি পরিষ্কার বিছানার চাদরে ঘুমানো ত্বককে সুস্থ রাখে, ঘুমের উন্নতি করে, মানসিক চাপ কমায়, ঘরের পরিবেশ পরিষ্কার রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ করে। আপনার বিছানার চাদর ধোয়ার সঠিক উপায়ও গুরুত্বপূর্ণ। সর্বদা গরম জলে বিছানার চাদর ধুয়ে নিন, যা ব্যাকটেরিয়া এবং ধুলোর মাইটকে মেরে ফেলে। ধোয়ার পর বিছানার চাদর রোদে শুকিয়ে নিন। আসলে, সূর্যের রশ্মি একটি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক। বালিশের কভার এবং কম্বলও পরিষ্কার করুন, কারণ এগুলিতেও ময়লা জমে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad