বিনোদন ডেস্ক, ১১ জুন ২০২৫: অ্যালোভেরা অনেক গুণের অধিকারী। ত্বকের যত্ন থেকে থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে লাগে এটিই। আর আপনি বাড়িতে খুব সহজেই অ্যালোভেরা চাষ করতে পারেন। টবে অ্যালোভেরা চাষ একটি সহজ ও লাভজনক উদ্যোগ, বিশেষ করে শহুরে বা ছোট জায়গায়।
টবে অ্যালোভেরা চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক -
১. সঠিক টব নির্বাচন
প্রায় ৬-২০ ইঞ্চি ব্যাসের টব ব্যবহার করুন। টবের নিচে জল নিষ্কাশনের জন্য ছিদ্র থাকা আবশ্যক। টেরাকোটা বা সিরামিক টব উত্তম, কারণ এগুলো মাটির আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২. মাটির মিশ্রণ প্রস্তুতি
৫০ শতাংশ পটিং সয়েল, ৩০ শতাংশ বালি ও ২০ শতাংশ পার্লাইট মিশিয়ে একটি হালকা ও জল নিষ্কাশনক্ষম মাটি তৈরি করুন। এছাড়া ক্যাকটাস বা সাকুলেন্ট মিক্সও ব্যবহার করতে পারেন, যা সহজে বাজারে পাওয়া যায়।
৩. অ্যালোভেরা রোপণ পদ্ধতি
রুটবলটি টবের মাঝখানে রেখে চারপাশে মাটি ভরুন। পাতাগুলো যেন মাটির সংস্পর্শে না আসে, কারণ এতে পচন হতে পারে।
রোপণের পর ৩-৪ দিন জল না দিয়ে মূলগুলোকে স্থিতিশীল হতে দিন।
৪. আলো ও অবস্থান
অ্যালোভেরা ৮-১০ ঘন্টা সূর্যালোক পছন্দ করে। তবে সরাসরি তীব্র রোদে পাতাগুলো পুড়ে যেতে পারে, তাই কিছুটা ছায়াযুক্ত জায়গা এর জন্য ভালো। তবে,ঘরের দক্ষিণ বা পশ্চিমমুখী জানালা বা ছাদে রাখলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
৫. সেচ ও যত্ন
শীতকালে প্রতি ২-৩ সপ্তাহ পরপর এবং গ্রীষ্মকালে ৭-১০ দিনে একবার জল দিন। মাটি শুকিয়ে গেলে জল দেওয়া উচিৎ।
৬. সার প্রয়োগ: প্রতি মাসে সাকুলেন্ট সার প্রয়োগ করুন। অতিরিক্ত সার প্রয়োগের প্রয়োজন নেই।
৭. প্রজনন: প্রাপ্তবয়স্ক গাছ থেকে ছোট শাখা আলাদা করে নতুন টবে রোপণ করতে পারেন।
৮. রোগ ও পোকামাকড়
পাতার কিনারায় বাদামী দাগ বা পোকা দেখা দিলে তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নিন। নিম তেল বা ইনসেকটিসাইড সাবান দিয়ে স্প্রে করতে পারেন।
এমনিতে অ্যালোভেরা গাছে বিশেষ কোনও পোকামাকড়ের আক্রমণ সাধারণত হয় না। তবে অতিরিক্ত জল বা অল্প আলোতে পাতা হলুদ বা নরম হয়ে যেতে পারে। এমন হলে অবস্থান পরিবর্তন ও সেচ কমিয়ে দিন।
অ্যালোভেরার উপকারিতা-
চর্মরোগ: সানবার্ন, ক্ষত বা ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে ব্যবহার হয় ।
স্বাস্থ্য: হজমে সহায়ক, ডিটক্সিফাইং ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করতে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment