প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৪ জুন ২০২৫, ১৩:৫৫:০১ : ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের মধ্যে উত্তর কোরিয়াতেও আলোড়ন বিরাজ করছে। শুক্রবার ইজরায়েল ইরানের পারমাণবিক ঘাঁটিতে আক্রমণ করার সাথে সাথেই উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উনও সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তার দেশের অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেন এবং গোলাবারুদ উৎপাদনের বিষয়ে একটি বড় নির্দেশ দেন।
কিম আধিকারিকদের বলেন যে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে বোমা ও গোলা তৈরির গতি আরও বাড়ানো উচিত, কারণ এখন বিশ্ব একটি আধুনিক যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যেখানে শক্তিশালী অস্ত্রই হবে আসল শক্তি। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ-এর বরাত দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
কিম জং উন শুক্রবার ধাতব চাপ এবং সমাবেশ ইউনিট পরিদর্শন করতে এসেছিলেন। সেখানে তিনি ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে গোলাবারুদের উৎপাদন অগ্রগতি পরীক্ষা করেছিলেন। এর পরে, আধিকারিকদের তিরস্কার করে তিনি বলেন যে যদি আধুনিক যুদ্ধের চাহিদা অনুসারে শক্তিশালী গোলা তৈরি করতে হয়, তাহলে অবিলম্বে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
কিম বিশেষভাবে জোর দিয়েছিলেন যে অস্ত্র কারখানাগুলিতে অটোমেশন অর্থাৎ মানবহীন উৎপাদন প্রচার করা উচিত। তিনি বলেন, "যদি আমাদের নতুন এবং শক্তিশালী শেল তৈরি করতে হয়, তাহলে উৎপাদন প্রক্রিয়া আরও যুক্তিসঙ্গত করতে হবে। কারখানাগুলি এমনভাবে ডিজাইন করুন যাতে ন্যূনতম মানুষের হস্তক্ষেপ থাকে এবং মেশিনগুলি নিজেরাই কাজ করে।"
গত কয়েক মাস ধরে, কিম জং উন ক্রমাগত সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার কথা বলছেন। বিশেষ বিষয় হল, আজকাল উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব খুব গভীর হয়ে উঠছে। মে মাসে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তর কোরিয়া এখন পর্যন্ত রাশিয়ায় ২০ হাজারেরও বেশি কন্টেইনারে অস্ত্র পাঠিয়েছে।
একদিকে, উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার বিষয়ে তীব্র বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকলেও, কিম ক্রমাগত তার যুদ্ধ নীতি তীব্র করে তুলছেন। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি নতুন সরকার গঠিত হয়েছে, তবে উত্তর কোরিয়ার চোখ এখন সরাসরি আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলির দিকে। কিম জং-এর বক্তব্য এবং সিদ্ধান্তগুলি আবারও এশিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
No comments:
Post a Comment