ইউক্রেনের ১১৭ ড্রোন দিয়ে ৪০টি রুশ যুদ্ধবিমান, ৫টি বিমানঘাঁটি ধ্বংস!"দেড় বছরের পরিকল্পনা", বললেন জেলেনস্কি

প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০২ জুন ২০২৫, ০৮:৩০:০১ : রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পথে নয়। এখন ইউক্রেন রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে ইউক্রেনীয় সামরিক আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জেলেনস্কি বলেছেন যে ইউক্রেন প্রায় দেড় বছর আগে এই হামলার পরিকল্পনা শুরু করেছিল। ইউক্রেন রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ করেছিল।

X-এ জেলেনস্কি লিখেছেন, "ইউক্রেনের নিরাপত্তা অভিযানের প্রধান ভ্যাসিল মালিউক আজকের অভিযানের উপর একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। ফলাফল দুর্দান্ত ছিল। পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল এক বছর, ছয় মাস এবং নয় দিন আগে। এটি ছিল আমাদের দীর্ঘতম পাল্লার অভিযান। অভিযানের প্রস্তুতির সাথে জড়িত আমাদের লোকদের সময়মতো রাশিয়ান অঞ্চল থেকে ডেকে আনা হয়েছিল। ইউক্রেনের এই সাফল্যের জন্য জেনারেল মালিউককে ধন্যবাদ। আমি ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবাকে অভিযান সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছি। এই মুহূর্তে সবকিছু বলা যাবে না, তবে ইউক্রেনের এই কর্মকাণ্ড ইতিহাসের বইতে লিপিবদ্ধ থাকবে। রাশিয়া যুদ্ধ শুরু করেছে, রাশিয়াকে শেষ করতে হবে। ইউক্রেনের গৌরব!''

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার জানিয়েছে যে ইউক্রেনীয় ড্রোন পাঁচটি বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে, অজানা সংখ্যক বিমানের ক্ষতি করেছে। এর আগে, ইউক্রেন দাবী করেছিল যে তারা রবিবার একটি অভিযানে রাশিয়ান ঘাঁটিতে বিশাল ড্রোন হামলা চালিয়ে প্রায় ৪০টি রাশিয়ান বিমান ধ্বংস করেছে।

এই অভিযানে মোট ১১৭টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল এবং একই সংখ্যক ড্রোন অপারেটর ছিল জড়িত। বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন করা কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রবাহী বাহকগুলির ৩৪% লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, "আজ, কিয়েভ সরকার মুরমানস্ক, ইরকুটস্ক, ইভানোভো, রিয়াজান এবং আমুরে অবস্থিত বিমানঘাঁটিতে FPV ড্রোন ব্যবহার করে একটি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। ইভানোভো, রিয়াজান এবং আমুরের সামরিক বিমানঘাঁটিতে সমস্ত সন্ত্রাসী হামলা ব্যর্থ করা হয়েছে।" রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, "মুরমানস্ক এবং ইরকুটস্ক অঞ্চলের সামরিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি এলাকা থেকে ছোড়া FPV ড্রোনের ফলে বেশ কয়েকটি বিমানে আগুন লেগেছে। তবে আগুন নিভে গেছে।"

জেলেনস্কি রাশিয়ার উপর চাপ বাড়াতে চান। ধারণা করা হচ্ছে যে ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় দফা শান্তি আলোচনার আগে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর উপর চাপ সৃষ্টি করতে চান। রাশিয়ান কর্মকর্তা ভ্লাদিমির মেডিনস্কির নেতৃত্বে একটি রাশিয়ান প্রতিনিধিদল সোমবারের আলোচনার জন্য ইতিমধ্যেই তুরস্কে পৌঁছেছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ইউক্রেনে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আশা খুব কম।