ভগবান শিবের উগ্র রূপ শান্ত হয়ে যায় এখানে! জানুন এই অলৌকিক মন্দিরের রহস্য - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, June 4, 2025

ভগবান শিবের উগ্র রূপ শান্ত হয়ে যায় এখানে! জানুন এই অলৌকিক মন্দিরের রহস্য



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৪ জুন ২০২৫, ১০:৩০:০১ : উত্তরাখণ্ডের পবিত্র ভূমি ঋষিকেশ আধ্যাত্মিকতা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের এক অনন্য মিশ্রণ। এই তীর্থস্থানটি এখানে অবস্থিত প্রাচীন মন্দিরগুলির জন্য যেমন যোগ এবং ধ্যানের জন্য বিখ্যাত, তেমনি এখানে অবস্থিত প্রাচীন মন্দিরগুলির জন্যও বিখ্যাত। এই মন্দিরগুলির মধ্যে একটি হল বীরভদ্র মন্দির, যা ঋষিকেশের আমবাগ আইডিপিএল কলোনি এলাকায় অবস্থিত। এই মন্দিরটি কেবল ধর্মীয় বিশ্বাসের কেন্দ্র নয়, এর একটি অত্যন্ত গভীর ঐতিহাসিক এবং পৌরাণিক তাৎপর্যও রয়েছে।

এই মন্দিরের পুরোহিত প্রদোষ থাপিয়াল বলেন যে বীরভদ্র মন্দিরটি শত শত বছরের পুরনো বলে মনে করা হয়। এর বিশ্বাস সরাসরি ভগবান শিবের সাথে যুক্ত। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, যখন দক্ষ প্রজাপতি ভগবান শিবকে তাঁর যজ্ঞে আমন্ত্রণ জানাননি এবং একই অপমানের কারণে মাতা সতী যজ্ঞের আগুনে তাঁর প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন, তখন ভগবান শিব ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর জটাযুক্ত চুল পৃথিবীতে ছুঁড়ে মারেন। সেখান থেকে তাঁর ভয়ঙ্কর অবতার বীরভদ্রের জন্ম হয়। বীরভদ্র দক্ষের যজ্ঞ ধ্বংস করেন এবং সমগ্র বিশ্বে ভয় ছড়িয়ে পড়ে।

কথিত আছে যে ঋষিকেশের বীরভদ্র অঞ্চলে ভগবান শিব বীরভদ্রকে শান্ত করেছিলেন, তখন থেকে এই স্থানটি বীরভদ্র শিবলিঙ্গ নামে বিখ্যাত হয়ে মন্দিরের রূপ ধারণ করে। বীরভদ্র মন্দিরের এই শিবলিঙ্গটি স্বয়ংপ্রকাশিত বলে মনে করা হয়। এখানে ভগবান শিবের উগ্র ও শান্তিপূর্ণ দুই রূপের পূজা করা হয়। মন্দিরের স্থাপত্য প্রাচীন রীতির। ভক্তরা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করার সাথে সাথে আধ্যাত্মিক শক্তি অনুভব করেন। এই মন্দিরটি কেবল স্থানীয় মানুষের বিশ্বাসের কেন্দ্র নয়, দেশ-বিদেশ থেকে আগত ভক্তদের জন্যও একটি বিশেষ স্থান।

স্থানীয় মানুষ বিশ্বাস করেন যে এখানে কেবল দর্শন করলেই জীবনের ঝামেলা দূর হয় এবং শিবের কৃপায় সমস্ত ইচ্ছা পূর্ণ হয়। শ্রাবণ মাসে এবং শ্রাবণ সোমবারে বীরভদ্র মন্দিরে প্রচুর সংখ্যক ভক্ত সমবেত হন এবং জলাভিষেক করে ভোলেনাথের আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। প্রতি বছর মহাশিবরাত্রিতে এখানে একটি বিশাল ও জমকালো মেলার আয়োজন করা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এই মেলায় আসেন এবং রাত জাগরণ, ভজন-কীর্তন এবং বিশেষ পূজা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই মেলা কেবল ধর্মীয় কার্যকলাপের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা এবং স্থানীয় হস্তশিল্পের এক ঝলকও এখানে দেখা যায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad